পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৭৯তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ছবি
  সূচিপত্র কবিতা ।। তৈরি হয় এক নতুন বিপ্লবের পটভূমি ।। প্রণব কুমার চক্রবর্তী কবিতা || প্রতিবাদ || জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় কবিতা ।। সেই মেয়েটি রাত জাগে ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। শপথ ।। দীপঙ্কর সরকার কবিতা ।। কোরাস রাত ।। বন্দনা পাত্র কবিতা ।। তিলোত্তমার বিচার চাই ।। দীনেশ সরকার অণুগল্প ।। ব্যাকবোন ।। বিশ্বনাথ প্রামাণিক কবিতা ।। আন খুঁজে আন শিরদাঁড়াটা ।। জয়শ্রী সরকার কবিতা ।। জীবন এখন ।। লাবণী পাল কবিতা ।। তিলোত্তমার বিচার চাই! ।। গোবিন্দ মোদক কবিতা ।। যুদ্ধ , প্রতিনিয়ত ।। সুমিত মোদক মুক্তভাবনা ।। কী বলব! ।। বন্দনা সেনগুপ্ত প্রতিবেদন ।। বিচার পাক অভয়া ।। জয়শ্রী বন্দ্যোপাধ্যায় অভয়ার যে চিঠিটা আজো পাওয়া যায়নি ।। আশীষকুমার চক্রবর্তী কবিতা ।। জগন্মাতা নাকি তিনি ।। অরবিন্দ পুরকাইত কবিতা ।। মেয়েটির মৃত্যু দেখে ।। তুষার ভট্টাচাৰ্য কবিতা ।। অন্ধকারের আলো ।। বিবেকানন্দ নস্কর কবিতা ।। ঘোষণা ।। প্রতীক মিত্র কবিতা ।। অপেক্ষায় ।। রণেশ রায় কবিতা ।। গ্লানি ।। সুজন দাশ কবিতা ।। বিনীত আবেদন ।। শংকর ব্রহ্ম কবিতা ।। তুই যে মেয়ে তিলোত্তমা ।। অশোক দাশ কবিতা ।। শোক সন্তাপের দুর্গা ।। সুদামকৃষ্ণ মন্ডল ক

কবিতা ।। তৈরি হয় এক নতুন বিপ্লবের পটভূমি ।। প্রণব কুমার চক্রবর্তী

ছবি
তৈরি হয় এক নতুন বিপ্লবের পটভূমি প্রণব কুমার চক্রবর্তী  চক্রবৃদ্ধিহারে ক্রমশ বেড়েই চলেছে দাম্ভিকতা  সুবোধ বালকেরা সব  শঙ্খ নিনাদে দিচ্ছে অবিরাম জয়ধ্বনি পরনে রঙ-বেরঙের সাজ ... অথচ এই দেশের  অবাধ গনতন্ত্রে  এখনো ভুখা শঙ্কিত মানুষ অবাক বিস্ময়ে চেয়ে থাকে                                               আকাশের দিকে ..... ধর্ষিতার আর্তনাদ চাপা দিয়ে বীর-পুঙ্গবদের গলায়  সারাক্ষন বেজে চলে                               আনন্দের গান ... হৃদয় জ্বললে  লাঞ্ছিত হলে অন্য কোনও অধিকার অথবা                                             ক্ষমতার স্তাবকতা  আঁকা হয়না  মানবিক কবিতার কোনও অক্ষরলিপি  কুঁড়ে খাওয়া হৃদপিন্ড থেকে                          উথলে ওঠে রক্ত সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে তা থৈ মন্ত্রে নেচে ওঠে উন্মত্ত মানুষ  অন্ধকার পথে আলোর দিশা জ্বালাতে মনের আগুনে পরে নেয়                             নতুন আগ্নেয় সাজ  তৈরি হয় এক নতুন বিপ্লবের পটভূমি .... ===================== প্রণব কুমার চক্রবর্তী  এইচ এন রোড , গোল বাগান , কুচবিহার  পৌরসভা গ্যারেজের বিপরীত দিকের গলি  কুচবিহার পিন ৭৩৬১০১

কবিতা || প্রতিবাদ || জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়

ছবি
প্রতিবাদ  ||  জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় ফুলেরা প্রতিবাদ করে। যদিও নীরব তবু... আরও কয়েকটা ঘণ্টা ও সময়ের পথ বেয়ে তারা নিতে চায় আলো হাওয়া জগতের সুখ নিষ্ঠুর মানুষ স্বার্থপূরণের জন্য তাকে ছিঁড়ে নেয়, আর কলঙ্কিত করে -- হোক তা পুজোর ডালি, মালা ও পসরায়,বাহারি চুলে বা কানে ফুল কাঁদে, কেঁদে যায়... কেউ শোনে না পুণ্য,পয়সা,পুলক বা লোভ তাকে অমানবিক করে। শিশুর শৈশব কেড়ে যারা সুখ পায় -- তারা মানুষ নামেই পরিচিত,যারা অকারণে আঘাত করে তাদেরও মানুষই তো বলে,যারা মানুষের রক্ত আর মাংসের গন্ধে পাগল তাদের মাঝে মাঝে অ- উপসর্গ লাগিয়ে দিলেও ' মানুষ ' শব্দটি ল্যাজের ভূষণ হয়ে ঝুলে আছে দেখি ! হায়নার মতো বা কমোডো ড্রাগনের মতো যারা শুধু খাদ্য আর প্রজনন ছাড়া কিছুই জানে না -- তোমরা তো তাদের চেয়ে নীচ, শুধু খাদ্য আর প্রজনন নয় আত্মরক্ষার যত কূটকৌশল তোমরা দখলে রেখেছো, যাকে বলে কবচকুণ্ডল, কর্ণের মতো তা সহজাত নয়, কূটনীতিজাত অজেয় সম্পদ হে হায়নার দল,হে কমোডো ড্রাগন তোমরা খেয়ে যাচ্ছো জীবন যৌবন ধন...  সবকিছু আর নিশ্চিন্তে ভাবছো এভাবেই -- এভাবেই তোমাদের দুর্গটি সুরক্ষিত থাকবে, শত অন্যায়েও তোমাদের কিস্‌সুটি হবে না ভুলে গ্যাছো মানুষে

কবিতা ।। সেই মেয়েটি রাত জাগে ।। সুপ্রভাত মেট্যা.

ছবি
সেই মেয়েটি রাত জাগে  সুপ্রভাত মেট্যা  সেই মেয়েটি রাত জাগে। জাগে সারারাত। সে ডাক্তার। তার সেবা-নিয়োজিত প্রাণ, ভয়হীন, নির্ঘুম,  নিঝুমরাত একা জাগে। শুশ্রূষায় ঝুঁকে পড়ে চোখ।  অবিরত স্নেহ, মায়া, নিরাময়ের তরল ওষধি  তার আলো হওয়া মুখে, ভাসে।  কী চমৎকার জ্যোৎস্নায় মোড়া সাদা শার্ট!  শাড়ির আঁচলে সুখ, আহা! ও কার ছায়াঘন হাত?  নৃশংস, হিংস্র, এগিয়ে আসে বুকে? ওরা কারা? কাদের লালায়িত জিহ্বা, ব্যাঘ্র-নখর,  ক্ষতবিক্ষত করে, করে গেছে দেহ!  ওরা কি মানুষ? বোন আছে? মেয়ে? মা আছে ঘরে?  ছিঃ ছিঃ ছিঃ! একি মানবিক?  পৈশাচিকতারও একটা সীমা আছে, পিশাচ তা জানে;  অথচ মানুষ জানে না! ========================== কবির নাম :- সুপ্রভাত মেট্যা  গ্রাম :- বলরামপুর  পোষ্ট :- জয় বলরামপুর  থানা :- তমলুক  জেলা :-পূর্ব মেদিনীপুর  পিন:- ৭২১১৩৭

কবিতা ।। শপথ ।। দীপঙ্কর সরকার

ছবি
শপথ দীপঙ্কর সরকার  বেঘোর রাস্তা পড়ে আছে কাদের যেন রাত দখল  একটু পড়েই হাওয়া গরম স্লোগানে স্লোগানে ভরে  উঠবে পাতা। মুখে মুখে We want justice. স্বাধীন দেশ তবু এক শ্রেণির লোক বড্ড পরাধীন। লিঙ্গ বৈষম্যে বিভাজন নয়। হে পুরুষ তুমিও এসে যাও এ লড়াই তীব্র কঠিন। যারা খুবলে খায় নারীর নির্যাস, নৃশংস খুনেও পিছ পা নয়। তাদের বিরুদ্ধে এ জেহাদ এসো হাতে রাখো হাত, আজ অঙ্গীকারের দিন বেপরোয়া মনোভাব। চেয়ে দ্যাখো প্রতিটি নগর ও জনপদ মিছিলে ছয়লাপ। বীভৎস সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে  রুখে দাঁড়ানোর এই তো সময় নারী ও পুরুষ  নির্বিশেষে উঁচিয়ে ধরো মুষ্ঠিবদ্ধ হাত। ================ দীপঙ্কর সরকার  কাঁঠাল পুলি  (সিংহের হাটের কাছে) চাকদহ নদীয়া  ৭৪১২২২

কবিতা ।। কোরাস রাত ।। বন্দনা পাত্র

ছবি
কোরাস রাত বন্দনা পাত্র  গাঢ় মেঘ জমছিল সারাদিন বেহুঁশ আকাশে, ভিখিরী হোল সময়, একটাই চাওয়া এ দেশে  বেহুঁশ নয়, হুঁশে ফেরা একটা উন্মুক্ত আকাশ চাই  নাবিক হয় অশান্ত সমুদ্রে প্রায় প্রতিটি সকলেই।  রাতের ভয়ংকর শব্দ কোনও ক্যামেরায় নেই বন্দী কোরাস হয়েছিল দুর্ভিক্ষ সময়ের রাত, অভিসন্ধি  ছিল কয়েক ডজন মেঘ মিলে মৃত এক ক্রীতদাস  নিয়ে আসবে বলে,  মাটির উপর আগুন আকাশ  সমবেত জনগণ প্রণাম করে,আয় মা,তুই আশ্বিনে শিউলি পড়েছে ঝরে পথের এখানে ওখানে... আকাশে আকাশে সংগীত ভেসে আসে  মুগ্ধ হয় মন কাশ ফুলে ঢোল বাজা কোরাসে। গভীর হয় রাত, মন বলে দুর্গার প্রভাত.... কোন্ নীড়ে আছি বসে রাতে কি ব্যাঘাত? কখন আসবে মা ভয়ার্ত রাত যাবে কবে? কোরাস যেন করাত্ হচ্ছে দিন দিন ভবে...। বিচ্ছেদে বৃষ্টিতে নিঃসঙ্গ একাকী ঘরে ঘরে জেগে থাকুক প্রাণ আধুনিক রাত্রির ঘ্রাণ... তবুও সেই ভয় যেন চলে যায় অনেক দূরে, কোরাসে কোরাসে হোক শুভ রাত্রির আহ্বান।। ============

অণুগল্প ।। ব্যাকবোন ।। বিশ্বনাথ প্রামাণিক

ছবি
ব্যাকবোন  (Backbone)   বিশ্বনাথ প্রামাণিক   কথাটা চাউর হতেই আগুন জ্বলে উঠল। যারা নিজেদের ভয়ঙ্কর রকমের আস্তিক বা নাস্তিক বলে মনে করে থাকে, তারাও সদলবলে ছুটে এল। ছুটে এল গোবিন্দের মা থেকে শুরু করে ফিরোজার নানি, অভিপ্সার পিসি থেকে সুদেস্নার স্বামী। গ্রামে গঞ্জে, শহরে নগরে অলিতে গলিতে শুধু একটাই কথা – বিনি পসসায় মেরুদণ্ড সারাচ্ছে গো .... শুধু তোমাকে নাইনে দাঁড়াতে হবে, ব্যাস! দুটো পরীক্ষা মাত্তর দিতে হবে তোমার – হাত দুটো মুঠো করে উপরে উঠছে কিনা, আর চোখ দিয়ে আগুন বেরুচ্ছে কিনা!       কথাটা শুনেই ভোরের ট্রেন ধরতে উঠে পরে সখিনা বিবি। অনেকদিন ধরে তার চোখে আগুন জ্বলে বটে, কিন্তু হাত কিছুতেই উপরে ওঠে না, পা-ও নড়ে না – হাত তুলতে গেলি কেমন ঘাড়ের খাছে খচ্‌ খচ্‌ করে নাগে। ব্যাথায় কাতরাতে কাতরাতে আবার শুয়ে পড়ে। তার মরদটা গলা পযন্ত মদ গিলে এসে, তবে চোখি আগুন জ্বালতি পারে, হাত তুলে তার পইঠে পরিখে কইরে দেখে নেয় – মরদ আছে নাকি, করমে কেরমে ভেড়া বনে যাচ্ছে...                      বিয়ের হয়ে যেদিন প্রথম এ বাড়িতে পা দিয়েছিল, তার শাউড়ির কথাগুলো এখনও মনে পড়ে সখিনার – ও গহর, শোন মনি, তরে একখান কতা কই,

কবিতা ।। তিলোত্তমার বিচার চাই ।। দীনেশ সরকার

ছবি
তিলোত্তমার বিচার চাই   দীনেশ সরকার   'কল্লোলিনী তিলোত্তমা' নাম থেকে তোর শহর তিলোত্তমাই মুছে গেল! নেই সুরক্ষার বহর!     হায়না-শৃগাল দিকে দিকে ওৎ পেতে সব আছে সুরক্ষিত কেহ নহে আজ, চিল-শকুনও নাচে। শাসনযন্ত্রে ঘুণ ধরেছে, নেতা-মন্ত্রী জেলে, দাদা-দিদির আস্ফালন যে যত্র-তত্র মেলে।   কোটি-কোটি তিলোত্তমা গর্জে উঠেছে আজ 'তিলোত্তমার বিচার চাই আর শেষ হোক দূর্নীতিরাজ।'         প্রতিবাদের ঢেউ উঠেছে শহর থেকে গ্রামে দিবা-রাত্রি এক করে সব প্রতিবাদে নামে। প্রতিবাদের আগুন যেন আছড়ে পড়ছে দেশে, 'তিলোত্তমার বিচার চাই আজ' এক সুরেতেই মেশে। ঘরের কোণে এখনও যারা মুখ লুকিয়ে আছো পথে এসে দাঁড়াও বন্ধু, বাঁচার মতো বাঁচো। প্রতিবাদে সামিল হয়ে গলা মেলাও ভাই, 'তিলোত্তমার বিচার চাই! তিলোত্তলার বিচার চাই!'  *********************** দীনেশ সরকার ১৪০ ডি, হিজলি কো-অপারেটিভ সোসাইটি, প্রেমবাজার, খড়গপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর ---- ৭২১৩০৬  

কবিতা ।। আন খুঁজে আন শিরদাঁড়াটা ।। জয়শ্রী সরকার

ছবি
আন খুঁজে আন শিরদাঁড়াটা   জয়শ্রী সরকার  শিরদাঁড়াটাই নেই যে রে তোর, কোথায় ফেলে এলি? মানুষ তোকে বলবে না কেউ এটাই ভুলে গেলি! এ্যাদ্দিন তো সুখেই ছিলিস উন্নত মস্তকে  কোন্ ড্যারাতে গিয়েছিলিস? ধরলো যে ভূত তোকে! শিরদাঁড়াটা খুঁজে পেলে মুক্তি পাবি ওরে  গোলামগিরি করতে করতে থাকবি ঘুমের ঘোরে ! লোভ-লালসায় থাকতে থাকতে হয় যে মাথা নত  শিরদাঁড়াটাও বাঁকতে থাকে পরজীবীর মতো! শিরদাঁড়াহীন মানুষগুলোর স্বরযন্ত্রই অচল  সত্যি বলবে কেমন করে? চলবে থেকে সচল। কোথায় রে তোর মায়ের স্নেহ, বাবার ভালোবাসা  আন খুঁজে আন শিরদাঁড়াটা, পাবি সুখের বাসা! সুখের বাসা সত্যি খাসা, ছোট্ট সোনামণি  তোর মাঝেতেই খুঁজে পাবে হীরে মাণিক খনি।  তোর চোখেতে চশমা রঙিন, খোল তো রে আজ আগে  দেখতে পাবি চোখের পাতায় শিরদাঁড়াটাই জাগে! ******************************************* জয়শ্রী সরকার, দিনান্তিকা, প্রেমবাজার, খড়গপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিমবঙ্গ - ৭২১৩০৬

কবিতা ।। জীবন এখন ।। লাবণী পাল

ছবি
জীবন এখন  লাবণী পাল ভিক্ষায় সুখ, ভিক্ষাই সেরা, ভিক্ষাতে বড় শান্তি, ভিক্ষার ঝুলি ভরা থাকলেই রোজগার চাপ নাস্তি। বাকিটা পোষাতে আছে মাস্তানি, খেয়োখেয়ি আর লুটপাট, ধর্ম জাতের ছাঁকা তেলে ভাজা খাস্তা কচুরি উৎপাত। একটু পেলেই জীবন ধন্য, আর নেই কোনও ঝঞ্ঝাট, ফেসবুক আর ইনস্টাতে মেতে রিলস্-এ ঢোকাও সব ছাঁট। বিদ্যা -শিক্ষা নট নেসেসারি, ব্যক্তিগত ও পণ্য, ঘটে থাক ছাই, স্ট্যাটাস বাড়াতে ফলোয়ার্স হবে গণ্য। ভিক্ষার ঝুলি, সাথে পদধূলি, জুটে যাবে ফ্রীতে কেষ্ট। কষ্ট করার নেই দরকার, সেইটেই হবে বেস্ট ও। গুন্ডা-গর্দি শিখে নিস যদি বিন্দাস হবে মস্তি - ভিখারীর বেশ, সেরা অবশেষ, তাইতেই রবে স্বস্তি।

কবিতা ।। তিলোত্তমার বিচার চাই! ।। গোবিন্দ মোদক

ছবি
তিলোত্তমার বিচার চাই! গোবিন্দ মোদক এবার পুজোতে কিছু চাই না গো মা  শুধু কিছুটা ক্রোধ দিও তীব্র থেকে তীব্রতর উচ্চারণের ক্ষমতা  দিও আরো আরো ঘৃণার দুর্লঙ্ঘ্য পাহাড় নৈরাশ্য জয় করবার বর দিও মাগো  দিও যন্ত্রণা সহ্য করবার সাহস দিও লেলিহান আগুনে পোড়া         প্রতিবাদ করবার সমূহ শক্তি যাতে দু'হাতের বজ্র মুষ্ঠি তুলে         বলে উঠতে পারি –  তিলোত্তমার বিচার চাই! তিলোত্তমার দু'চোখ দিয়ে অশ্রুর বদলে  যে রক্তের ধারা বয়েছে মাগো  তার প্রতিটি বিন্দুর হিসাব না নিয়ে  পথ ছাড়বো না।  মাগো, তুমি তো জানো না  আমরা যে অসুর নিয়ে ঘর করি  তা তোমার পদতলের অসুরের থেকেও  আরো ভয়ংকর, আরো আরো নিষ্ঠুর, সাংঘাতিকের চেয়েও সাংঘাতিক! মাগো বিচার চাই। চাই —  ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি যেন আর না ঘটে! তুমিও সমস্বরে বলো মাগো — তিলোত্তমার বিচার চাই! ========================= প্রেরক: গোবিন্দ মোদক।  সম্পাদক: কথা কোলাজ সাহিত্য পত্রিকা।  রাধানগর, ডাক- ঘূর্ণি, কৃষ্ণনগর, নদিয়া।  পশ্চিমবঙ্গ।