Featured Post
গল্প ।। অভাগীর ভাগ্য জয় ।। সমীর কুমার দত্ত
- লিঙ্ক পান
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
রুমি ও সুমি দুজন খুড়তুত ও জেঠতুত বোন। রুমির বাবা সুরেশ দাশ ও মা কেয়া দাশ ট্রেন দুর্ঘটনায় মারা যায়। রুমি অলৌকিকভাবে বেঁচে যায়। রুমি তখন ছয় মাসের। সুরেশ ও তার স্ত্রী কেয়া রেল লাইন পার হচ্ছিল। হয়তো তাদের খুব তাড়া ছিলো । হতে পারে। কিন্তু রেললাইনে তাদের তাড়াহুড়ো করা উচিত হয় নি। সেই সময় দু দিক থেকে দুটো থ্রু ট্রেন পাশ করছিলো। রেলওয়ে ট্রাকের মাঝখানে যখন তারা চলে এসেছিল,তখন তারা দেখতে পায় দুদিক থেকে থ্রু ট্রেন আসছে। তারা হতচকিত হয়ে পড়ে। কি করবে এগিয়ে যাবে না পেছিয়ে আসবে ঠিক করতে পারে না ওই ফ্র্যাক্শন অফ এ মিনিট সময়ে। তবুও পার হয়ে যাবার চেষ্টা করেছিলো। সঙ্গে মহিলা। সুরেশের কোলে আবার বাচ্চা ছয় মাসের মেয়ে। দেরি হয়তো হতো কিন্তু কোনো রকম ঝুঁকি নেওয়া উচিত হয় নি। ফলে যা হবার তাই হলো। দুজনের দেহ ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলো মুহূর্তের মধ্যে শত শত যাত্রীর চোখের সামনে। এর মধ্যে অলৌকিকভাবে বেঁচে গেলো ছয় মাসের ওই মেয়েটা। বাবার কোল থেকে ছিটকে এসে পড়লো ভিড়ে ঠাসা প্ল্যাটফর্মের একদম সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এক যাত্রীর গায়ের ওপর। কি জানি বাবাই হয়তো তাকে ছুঁড়ে দিয়েছিলো হবে। বরাত ভালো লোকটি তাকে লুফে নিতে পেরেছিলো। সকলেই ঐ দৃশ্য প্রত্যক্ষ করতে একাগ্রচিত্তে ওই দিকেই তাকিয়ে ছিলো। তারাও অনেকে সহযোগিতা করে ছিলো বাচ্চাটিকে ধরার। বাচ্চাটি তাতে সামান্য চোট পেয়েছিলো। পাশেই ছিলো রেলওয়ে হসপিটাল। বাচ্চাটিকে সেখানে ভর্তি করে দেওয়া হলো। বাচ্চাটি আর পি এফের তত্ত্বাবধানে হসপিটালে রইলো । পুলিশ সুরেশের পকেট সার্চ করে আই ডি কার্ড পায়। লাশ দুটি মর্গে পাঠিয়ে লোকাল থানা মারফৎ সুরেশের বাড়িতে খবর পাঠায়। সুরেশের দাদা রমেশ মর্গে গিয়ে বডি দুটি ও বাচ্চাটিকে সনাক্ত করে। পোস্ট মর্টেম হয়ে গেলে বাচ্চা সহ বডি দুটিকে বাড়ি নিয়ে যায়।
বাচ্চাটির পিতা মাতার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়ে যাবার পর রমেশ ও রানি বাচ্চাটিকে আইনগতভাবে দত্তক নিলো যাতে তাদের মেয়ের সঙ্গে সমানভাবে মানুষ হতে পারে। তখন থেকে বাচ্চাটি রমেশ ও রানির কন্যা হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠলো। যাতে তার শৈশবের ভয়ঙ্কর স্মৃতি তাকে তাড়া করে না বেড়ায়। তাহলে ওদের সংসারের সকলের থেকে ও মানসিক ভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। যাতে না পড়ে সেজন্য রমেশ ও রানিমা'র কাছে আর তার দিদি সুমির সাথে সমানভাবে মানুষ হতে লাগলো। রুমিও ওর জেঠু জেঠিমাকে নিজের বাবা মা আর জেঠতুত দিদিকে নিজের দিদি বলেই জানে।
রুমিকে মানুষ করতে টাকার কোন অভাব হয়নি ।কারণ সুরেশের অফিসের টাকা ,লাইফ ইন্স্যুরেন্সের অ্যাকসিডেন্টাল বেনিফিটের টাকায় ওর ভালোভাবে চলে যায়। তাছাড়া রমেশের আয় ভালো ছিলো। যদিও ওদের দুজনের বয়সের ব্যবধান বেশি নয়। মাত্র পাঁচ মাসের। তাই যমজ কন্যা রূপে মানুষ হতে লাগলো। রমেশের একটি পুত্রসন্তান ছিল কিন্তু সে ছিল লিউকোমিয়ার পেশেন্ট। বেশি দিন বাঁচেনি। মাত্র চার - পাঁচ বছর বয়সেই তার মৃত্যু হয়। সেজন্য এমনিতেই তারা শোকে জর্জরিত তার ওপর এই দুর্ঘটনায় তারা মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলো। তবুও রমেশ ও রানি মানসিকভাবে প্রস্তুত হয়ে গেলো, যে দায়িত্ব তার ভাই, সুরেশ ও ভ্রাতৃবধূ, কেয়া তাদের ওপর দিয়ে গেছে তা তারা যে কোন মূল্যে পালন করবেই । আর তাই রমেশ ও রানি তাদের ভাইঝি ও মেয়েকে সমানভাবে মানুষ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। দুই বোন কখনও বুঝতে পারেনি যে তারা এক বাবা ও এক মায়ের পেটের সন্ততি নয়। দুই বোনের মধ্যে ভাবও যতো ঝগড়াও ততো। কখনও ঝগড়াঝাটি হলে রমেশ ও রানিকে সামাল দিতে হয়।
রুমি ও সুমি দুজনেই বুদ্ধিমতী। দুজনেই উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হয়ে বি. এ. পড়ছে। দুজনের ইচ্ছা ক্রিকেটার হওয়া। একজনের আইডল মিতালী রাজ তো অন্য জনের ঝুলন গোস্বামী। রমেশও ওদের ইচ্ছাকে পূরণ করার জন্য ক্রিকেট একাডেমিতে ভর্তি করে দিয়েছে এবং ওদের খুব উৎসাহ দিয়েছে ভালো ক্রিকেটার হওয়ার। রমেশ ও সুরেশ দুজনেই ভালো ফুটবলার ছিলো। কলকাতার তিনটি নামী ক্লাবে খেলতো। ফুটবল খেলেই ওরা চাকরি পায় ইষ্টার্ন রেলওয়ের স্পোর্টসের কোটায়। দুই ভাইয়ের মধ্যে একটা আত্মিক সম্পর্ক ছিলো ঠিক যেন হরিহর আত্মা। একে অপরের প্রতি দায়িত্বশীল ছিল। ভাইপোর মৃত্যুতে সুরেশ ও কেয়া খুবই শোকাহত হয়ে পড়েছিলো। ক্রিকেট একাডেমি থেকে দুই বোন প্রতিশ্রুতিসম্পন্ন, উদীয়মান ক্রিকেটার হয়ে একাদিক্রমে স্কুলে, কলেজে, রাজ্য স্তরে এবং কাঙ্খিত জাতীয়স্তরের সুযোগ্যা হয়ে উঠে আজ দেশের গর্ব যে তারা দেশের হযে খেলছে, একজন ব্যাটসম্যান আর অন্যজন বোলার হিসেবে।স্বর্গ থেকে সুরেশ নিশ্চয়ই তার মেয়ে রুমিকে আর্শীবাদ করছে। আর তাই বুঝি দুর্ঘটনায় অনাথ হয়ে বেঁচে যাওয়া অভাগী রুমির ভাগ্য জয় ঘটেছে। তার এই কৃতিত্বের পিছনে তার দাদা, রমেশ ও বৌদি,রাণীর নিরলশ প্রচেষ্টার জন্য তাদের আত্মা নিশ্চয়ই শান্তি লাভ করেছে।
কথা প্রসঙ্গে রমেশ তার দুই মেয়েকে বলে, " দ্যাখো তোমরা এখন যথেষ্ঠ প্রতিষ্ঠিত। আমরা চাই তোমাদের বিয়ে ধূমধাম করে দি । হ্যাঁ,পাত্র তোমরা নিজেরাই নিজেদের মতো নির্বাচন করে নিতে পারো। তবে খুব ভেবেচিন্তে।কিন্তু আমার তো পেনশনটুকু ছাড়া আর কোন আয় ও সংস্থান তেমন নেই। তবে যা আছে মোটামুটিভাবে তোমাদের বিয়ে দিয়ে দিতে পারি। কিন্তু আমরা চাই ধূমধাম করে হোক। তাই তোমরা তোমাদের ভবিষ্যৎ গড়ে নাও। আমাদের কিছু দিতে হবে না। তোমরা অর্থ সঞ্চয় করো যাতে আমাদের মনের সাধ পূর্ণ হয়।
যেন এমন না হয় যে আমাদের অর্থ তেমন নেই বলে আমাদের দুই প্রিয় কন্যাকে যেমন তেমন ভাবে পাত্রস্থ করতে হয়। তোমরা সুখী হলেই আমরা খুশি।"
=================
Samir Kumar Dutta
Bally, Howrah
- লিঙ্ক পান
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
জনপ্রিয় লেখা
প্রবন্ধ ।। লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা ।। শ্রীজিৎ জানা
লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা শ্রীজিৎ জানা "সময় চলিয়া যায় নদীর স্রোতের প্রায়"। স্রোতের ধারা তার দু'প্রান্তে রেখে যায় ভাঙাগড়ার চিহ্ন। কালের দৃশ্যপটেও পরিবর্তনের ছবি অনিবার্যভাবেই চোখে পড়ে। সমাজ সময়ের ছাঁচে নিজেকে গড়ে নেয় প্রতিনিয়ত। সেখানে মনে নেওয়ায় বাধা থাকলেও,মেনে নেওয়ার গাজোয়ারি চলে না। ফলত কাল বদলের গাণিতিক হিসেবে জীবন ও জীবিকার যে রদবদল,তাকেই বোধকরি সংগ্রাম বলা যায়। জীবন সংগ্রাম অথবা টিকে থাকার সংগ্রাম। মানুষের জীবনযাপনের ক্ষেত্রে আজকে যা অত্যাবশ্যকীয় কাল তার বিকল্প রূপ পেতে পারে অথবা তা অনাবশ্যক হওয়াও স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে উক্ত বিষয়টির পরিষেবা দানকারী মানুষদের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হওয়া অস্বাভাবিক নয়। এক কালে গাঁয়ে কত ধরনের পেশার মানুষদের চোখে পোড়তো। কোন পেশা ছিল সম্বৎসরের,আবার কোন পেশা এককালীন। সব পেশার লোকেরাই কত নিষ্ঠা ভরে গাঁয়ে তাদের পরিষেবা দিত। বিনিময়ে সামান্য আয় হত তাদের। আর সেই আয়টুকুই ছিল তাদের সংসার নির্বাহের একমাত্র উপায়। কালে কালান্তরে সেই সব পেশা,সেই সব সমাজবন্ধুরা হারিয়ে গ্যাছে। শুধুমাত্র তারা বেঁচে আছে অগ্রজের গল্পকথায়,আর বিভিন্ন সাহিত্য
মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা 2024 সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি
লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি (লেখক ও সম্পাদকীয় দপ্তরের কথোপকথন আকারে) --কী পত্রিকা? --নবপ্রভাত। --মুদ্রিত না অনলাইন? --মুদ্রিত। --কোন সংখ্যা হবে এটা? --বইমেলা 2024। --কোন কোন ধরনের লেখা থাকবে? --প্রবন্ধ-নিবন্ধ, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া। --বিশেষ কোন বিষয় আছে? --না। যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে। --শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন আছে? --না। নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা 12-14 লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি 200/250শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। --ক'টি লেখা পাঠাতে হবে? --মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। --ফেসবুক বা অন্য কোন প্লাটফর্মে প্রকাশিত লেখা কি পাঠানো যাবে? --না। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। --পত্রিকা কোন সময়ে প্রকাশিত হবে? --জানুয়ারি 2024-এর দ্বিতীয় সপ্তাহে। --লেখা পাঠানোর শেষতারিখ কত? -- 17 ডিসেম্বর 2023। --কীভাবে পাঠাতে হবে? --মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। --লেখার সঙ্গে কী কী দিতে হবে? --নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) --বিশেষ সতর্কতা কিছু ? --১)মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন '
সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ : "ত্রয়ী কাব্য" -- সুনন্দ মন্ডল
সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ -- "ত্রয়ী কাব্য" ------------------------------------------------------------------------------ সুনন্দ মন্ডল নবীনচন্দ্র সেন সাহিত্যে তথা বাংলা কবিতার জগতে এক অবিস্মরণীয় নাম। তিনি চট্টগ্রাম জেলার নওয়াপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ১৮৪৭ সালে তাঁর জন্ম এবং মত্যু ১৯০৯ সালে। বঙ্কিমচন্দ্র তাঁকে 'বাংলার বায়রন' বলেছেন। জীবৎকালীন যুগে আত্মপ্রত্যয়ের মধ্যে জাতীয় চরিত্র আত্মস্থ করে নতুন সংস্কারে প্রয়াসী হয়ে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখেছেন।মধুসূদন-হেমচন্দ্র-নবীনচন্দ্র--এই তিন কবি বাংলা কাব্যধারায় প্রাণ সঞ্চার করেছিলেন। বিশেষত মহাকাব্য লেখার দুঃসাহস দেখিয়েছিলেন। এদিক থেকে মধুসূদন দত্ত একজন সফল মহাকাব্যিক। তাঁর 'মেঘনাদ বধ' কাব্যের মত গভীর ও ব্যঞ্জনাময় না হলেও নবীনচন্দ্র সেনের 'ত্রয়ী' কাব্য বিশেষ মর্যাদা দাবি করতেই পারে। তাছাড়া 'ত্রয়ী' কাব্যে ধর্মীয় ভাবধারার আবেগ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। নবীনচন্দ্র সেন বহু কাব্য লিখেছেন। যেমন- 'অবকাশরঞ্জিনী','পলাশীর যুদ্ধ', 'ক্লিওপেট্রা', 'রঙ্গমতী', 'খ্রীষ্ট', '
কবিতা ।। বসন্তের কোকিল তুমি ।। বিচিত্র কুমার
বসন্তের কোকিল তুমি বিচিত্র কুমার (০১) তোমার দু-আঁখির গহীন অরণ্যে একটা স্বপ্নের বহমান নদী রয়েছে, তারই রেশ ধরে আমি হেঁটে চলি অজানা বসন্তের পথে নীর উদ্দেশ্যে। সে চলার কোন শেষ সীমা নেই তাই আমার বিষণ্ণ একতারা সন্ন্যাস খুঁজে ফিরে , কবে তুমি বুঝবে অনুশ্রী মনের পর্দা খুলে একুশ বসন্ত তোমার রঙ ছিটিয়ে যাচ্ছে অচিনপুরে। এদিকে আমার দেহের প্রতিটি শিরা ধমনীতে প্রবাহিত হচ্ছে তোমার ভালোবাসার একটু উষ্ণতা পাবার জন্যে, শুধু অনুভবে তাণ্ডব উচ্ছাসিত হচ্ছে--- যেদিকে তাকাই --- ফুলে ফুলে ভ্রমর গুনগুনিয়ে উড়ে উড়ে পরে বসন্তের কোকিল গান গায় নব বসন্তে, তোমার দুই চোখে আমার একই ছায়া রয়ে যায় উতলা ভালোবাসার সীমান্তে। (০২) এক রক্তাক্ত বসন্তের স্মৃতি কোন এক উতলা বসন্তের সকালে পুষ্পবনে ফুটেছিল একটি টকটকে লাল গোলাপ, তার সাথে হয়েছিলো দেখা প্রথম ফাগুনে হয়েছিল দুজনার এ জীবনের আলাপ। তারপর প্রতিটি শীতের ভোরে অনেক রোদের পরশ মেখে ছুঁয়ে যেতে আমার বুকের বাঁ পাস শিশির রেখা, তখন প্রতিটি ভোর হয়ে যেত ভীষণ রকম মিষ্টি আর ছিলো শুধু বসন্তের ঘ্রাণ মাখা। প্রতিটি সকালে একঝাঁক মায়াবী পাখি অনুভবের
প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৭৯তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সূচিপত্র কবিতা ।। তৈরি হয় এক নতুন বিপ্লবের পটভূমি ।। প্রণব কুমার চক্রবর্তী কবিতা || প্রতিবাদ || জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় কবিতা ।। সেই মেয়েটি রাত জাগে ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। শপথ ।। দীপঙ্কর সরকার কবিতা ।। কোরাস রাত ।। বন্দনা পাত্র কবিতা ।। তিলোত্তমার বিচার চাই ।। দীনেশ সরকার অণুগল্প ।। ব্যাকবোন ।। বিশ্বনাথ প্রামাণিক কবিতা ।। আন খুঁজে আন শিরদাঁড়াটা ।। জয়শ্রী সরকার কবিতা ।। জীবন এখন ।। লাবণী পাল কবিতা ।। তিলোত্তমার বিচার চাই! ।। গোবিন্দ মোদক কবিতা ।। যুদ্ধ , প্রতিনিয়ত ।। সুমিত মোদক মুক্তভাবনা ।। কী বলব! ।। বন্দনা সেনগুপ্ত প্রতিবেদন ।। বিচার পাক অভয়া ।। জয়শ্রী বন্দ্যোপাধ্যায় অভয়ার যে চিঠিটা আজো পাওয়া যায়নি ।। আশীষকুমার চক্রবর্তী কবিতা ।। জগন্মাতা নাকি তিনি ।। অরবিন্দ পুরকাইত কবিতা ।। মেয়েটির মৃত্যু দেখে ।। তুষার ভট্টাচাৰ্য কবিতা ।। অন্ধকারের আলো ।। বিবেকানন্দ নস্কর কবিতা ।। ঘোষণা ।। প্রতীক মিত্র কবিতা ।। অপেক্ষায় ।। রণেশ রায় কবিতা ।। গ্লানি ।। সুজন দাশ কবিতা ।। বিনীত আবেদন ।। শংকর ব্রহ্ম কবিতা ।। তুই যে মেয়ে তিলোত্তমা ।। অশোক দাশ কবিতা ।। শোক সন্তাপের দুর্গা ।। সুদামকৃষ্ণ মন্ডল ক
প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮০তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩১ অক্টোবর ২০২৪
সূচিপত্র গল্প ।। উৎশব উৎসব ।। বন্দনা সেনগুপ্ত প্রবন্ধ ।। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ ।। শ্যামল হুদাতী প্রবন্ধ ।। বাংলায় প্রথম আত্মজীবনী লেখিকা রাসসুন্দরী দেবী ।। সবিতা রায় বিশ্বাস মগরাহাট (দক্ষিণ ২৪ পরগনা) এলাকার স্থানীয় কিছু কথ্যশব্দ, উচ্চারণ, বাগধারা ইত্যাদি (পর্ব-৬)।। অরবিন্দ পুরকাইত কবিতা ।। একটি মৃত্যু, অজস্র প্রতিবাদ ।। নাসির ওয়াদেন কবিতা ।। অন্ধকার জগৎ ।। সুপ্রভাত মেট্যা গুচ্ছকবিতা ।। আবদুস সালাম কবিতাগুচ্ছ ।। হীরক বন্দ্যোপাধ্যায় খোলা কবিতা ।। মানস মণ্ডল নিবন্ধ ।। সম্পর্ক ।। সংঘমিত্র ব্যানার্জি উপন্যাসিকা ।। উদয় ।। তপন তরফদার সিনেমা রিভিউ ।। ছবি : বহুরূপী, পরিচালক : রাজাদিত্য ব্যানার্জি ।। আলোচনা: জয়শ্রী ব্যানার্জি গল্প ।। গল্পটা মিথ্যে নয় ।। বিকাশকলি পোল্যে অণুগল্প ।। স্পিড ব্রেকার ।। দেবাংশু সরকার কবিতা ।। একটা পুরোনো অঙ্ক ।। রঘুনাথ চট্টোপাধ্যায় কবিতা ।। গোপন সম্মোহন ।। বিশ্ব প্রসাদ ঘোষ কবিতা ।। আগুনের পাখী হব ।। কাকলী দেব দুটি কবিতা ।। লালন চাঁদ কবিতা ।। বেঁচে থাকে ।। তীর্থঙ্কর সুমিত কবিতা ।। হে অনিন্দ্য, রক্তাক্ত মাকড়সার সর্বাঙ্গ ঋষি দৃশ্য খাও
উৎসবের সৌন্দর্য: সেকালে ও একালে।। সৌরভ পুরকাইত
উৎসবের সৌন্দর্য: সেকালে ও একালে সৌরভ পুরকাইত বাংলার উৎসব বাংলার প্রাণ। প্রতিদিনের জীবনযাপনের মধ্যে যখন মন ক্লান্ত হয়ে পড়ে তখন তাকে বেঁচে থাকার রসদ যোগায় এই উৎসব। কথায় বলে 'বারো মাসে তেরো পার্বণ'।মন আনন্দই চায়।তাই তাকে সজীবতা দিতে,পরিবারের,সমাজের ভালো-মন্দের কথা মাথায় রেখে মানুষ নিজেই সৃষ্টি করে নিয়েছে নানাবিধ উৎসবগুলিকে। একেবারে প্রাচীন কাল থেকে আজ পর্যন্ত মানুষ কখনোই উৎসব বিমুখ ছিল না।উৎসবই তাকে ঘর থেকে বাইরে টেনে এনেছে,চিনতে শিখিয়েছে আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার আনন্দকে। উৎসব আসলে প্রাণের সাথে প্রাণের যোগ, হৃদয়ের সাথে হৃদয়ের যোগ।রবীন্দ্রনাথ বলেছেন 'সত্য যেখানেই সুন্দর হয়ে প্রকাশ পায় সেইখানেই উৎসব'।হৃদয়ের সেই সুকোমল বৃত্তির জাগরণ যেন ফুটে ওঠা ফুলেরই মতো সত্য ও সুন্দর।এই জাগরণই উৎসব। তাই নানা কিছুর মধ্য দিয়ে,নানা উপলক্ষ্যে এই উৎসব প্রকাশ পায়। প্রাচীনকালে মানুষের হাতে না ছিল পসার, না ছিল পসরা।ছিল মনের আন্তরিকতা,মানুষকে কাছে টেনে নেবার ক্ষমতা।সেটাই ছিল উৎসবের সৌন্দর্য। তাই সেদিনের উৎসবে ক্ষুদ্র,তুচ্ছ উপকরণও প্রাণের উচ্ছ্বাসে মহৎ হয়ে উঠত।সেকালের উৎসবে লোক দেখানো ব্যাপার কিছু
"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান
"নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি। ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)। আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব
মুদ্রিত নবপ্রভাত উৎসব ২০২৩ সংখ্যার ডাউনলোড লিঙ্ক
মুদ্রিত নবপ্রভাত উৎসব ২০২৩ সংখ্যার সফ্ট কপি ডাউনলোড করতে ছবিতে ক্লিক করুন। ====০০০==== মুদ্রিত নবপ্রভাত উৎসব ২০২৩ সংখ্যাটি অনলাইনে অর্ডার করে বাড়িতে বসে পেতে পারেন অর্ডার করার লিঙ্ক: https://notionpress.com/read/nabapravat-utsab-2023 NABAPRAVAT30 কোডটি ব্যবহার করলে কম দামে পাবেন। (প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ৯৪৩৩৩৯৩৫৫৬ নিরাশাহরণ নস্কর। সম্পাদক, নবপ্রভাত।)
কোচবিহারের রাস উৎসব ও রাসমেলা: এক ঐতিহ্যবাহী অধ্যায় ।। পার্থ সারথি চক্রবর্তী
কোচবিহারের রাস উৎসব ও রাসমেলা : এক ঐতিহ্যবাহী অধ্যায় পার্থ সারথি চক্রবর্তী কথায় বলে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। রাজার শহর কোচবিহারের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা আরো অনেক বেশি। দুর্গাপূজা আর দীপাবলির মতো দু'দুটো বিরাট মাপের উৎসবের রেশ কাটতে না কাটতেই, এ শহর ভাসে রাস উৎসবের উন্মাদনায়। মদনমোহন ঠাকুর কোচবিহারের প্রাণের ঠাকুর। তাঁকে নিয়ে সবার আবেগ আর শ্রদ্ধা ও ভালবাসা এখানে বাঁধনছাড়া। এক অপূর্ব মিলনোৎসবের চেহারা নেওয়া এই উৎসব ঐতিহ্যবাহী ও ঐতিহাসিক। জন, মত, সম্প্রদায়ের উর্ধে এই উৎসবের গ্রহণযোগ্যতা। সময়ের কষ্টি পাথরে পরীক্ষিত! এক প্রাণের উৎসব, যা বহুদিন ধরেই গোটা উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ উৎসবে পর্যবসিত।কোচবিহারের এই রাস উৎসবকে কেন্দ্র করে যে মেলা হয় তাও সময়ের হাত ধরে অনেক বদলে গেছে। এসেছে আধুনিকতার ছোঁয়া! শৈশবে বাবার হাত ধরে যে মেলা দেখেছি তা চরিত্র ও আকৃতি দু'দিক থেকেই বদলে গেছে। গত পঁচিশ বছর ধরে খুব কাছে থেকে এই উৎসব ও মেলা দেখা, অনুভব করার সুযোগ হয়েছে। যা দিনদিন অভিজ্ঞতা ও প্রাপ্তির ঝুলিকে সমৃদ্ধ করে গেছে প্রতি ক্ষেত্রেই। খুব সংক্ষেপে এই উৎসবের ইতিহাস না জানাটা কিন্তু অবিচারই হবে বলে মনে
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন