জগন্মাতা নাকি তিনি
অরবিন্দ পুরকাইত
জাঁকজমকের মণ্ডপেতে একটু কালো রেখো
সব হারানোর বেদনাটা একটু গায়ে মেখো।
শোকের চিহ্নধারক-ঘরে দুর্গামাতা আসুন
কুসন্তানে মানুষ করে একটু ভালবাসুন।
কুসন্তান হয় নাকি যদিও কুমাতা না হয়
জগন্মাতা দায়দায়িত্বের রাখুন পরিচয়।
কর্মক্লান্ত ঘুমায় মেয়ে— ছিঁড়ে খাচ্ছে তাকে
তাদের শাস্তি দিতে অত অস্ত্র কোথায় থাকে!
আপন ছেলেমেয়ে নিয়ে আসেন বছর পরে
রাখেন খবর ঠিকমতো কী হচ্ছে মর্ত্য-ঘরে!
নেতা-নেত্রী আসে যেমন, কাজ সেরে যায় চলে
জগন্মাতার এমনধারা আচরণ কী বলে!
তাঁর হাতেই তো চাবিকাঠি লোকে পুতুল-নাচে
তিনি মানুষ করলে তারা সুখ-শান্তিতে বাঁচে।
ভুবনজোড়া আসন নাকি, সব চলে তাঁর হাতে
অমল ধবল ভুবনখানি দেখব সে কোন প্রাতে!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন