Featured Post
ভ্রমণকাহিনি ।। অপার্থিব মায়াপুর ।। মিঠুন মুখার্জী
- লিঙ্ক পান
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
অপার্থিব মায়াপুর
মিঠুন মুখার্জী
নদীয়া জেলার একটি প্রসিদ্ধ ধর্মস্থান মায়াপুর। মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেবের মাতুলালয় এই মায়াপুরের উত্তর-পূর্বদিকে। মায়াপুর কথার অর্থ মায়াময় স্থান। রাধা-কৃষ্ণের মায়ায় আচ্ছন্ন হন গৌড়ীয় বৈষ্ণব ভক্তগণ। ১৪৮৬ সালে এই মায়াপুরের কাছেই নবদ্বীপে শচীমাতার গর্ভে জন্মগ্ৰহন করেছিলেন রাধা-কৃষ্ণের যুগল অবতার শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু। ভাগীরথী ও জলঙ্গীর নদী দুটি এখানে মিলেছে। ভাগীরথীর এক পারে নবদ্বীপ আর অন্য পারে রাধাকৃষ্ণের প্রিয় ক্ষেত্র মায়াপুর। বৈষ্ণব ধর্ম প্রচারের ও রাধা-কৃষ্ণের নাম প্রচার করার উদ্দেশ্য আবির্ভূত হয়েছিলেন প্রেমের ঠাকুর শ্রীচৈতন্যদেব। শুধু নবদ্বীপেই নয় মায়াপুরের পথে পথে তিনি একদা কৃষ্ণনাম বিলিয়েছেন। পাষান হৃদয় মানুষদের হরি নাম করতে বাধ্য করেছেন।
মায়াপুরসহ নবদ্বীপকে বাংলার মন্দিরনগরী বললে ভুল হবে না। মায়াপুর ও নবদ্বীপের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে অসংখ্য মন্দির। এই মায়াপুরের পূর্ব নাম ছিল মিয়াপুর। একদা এই জায়গাটিতে মিঞাদের বেশি বসবাস ছিল। ইস্কনরা আসার পর এই মিঞাপুরের নাম পরিবর্তন করে রাখে মায়াপুর। এই ইস্কন সংস্থাই মায়াপুরে রাধাগোবিন্দের মন্দির নির্মাণ করে। এই ইস্কনের সদর দপ্তর হলো মায়াপুর। তাদের উদ্দেশ্যে ছিল রাধাকৃষ্ণ নাম সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দেওয়া। এই সংস্থার প্রধান ছিলেন শ্রীল প্রভু পাদ। একদা সারা পৃথিবী থেকে বিদেশিরা এসে এই মায়াপুরে বসবাস শুরু করেন এবং সনাতন ধর্ম গ্ৰহন করেন। তারই বেশিসংখ্যক মানুষ এখন মায়াপুরের মন্দির দেখাশোনা করেন এবং সর্বদা কৃষ্ণনামে উন্মত্ত থাকেন। বংশ পরম্পরায় তারা কৃষ্ণনাম করে আসছেন।
বিশাল জায়গা নিয়ে এই মায়াপুর মন্দির চত্বরটি। এর চারপাশে বিভিন্ন পুষ্পসজ্জিত স্থান রয়েছে। মূল মন্দিরটি প্রাচীন হলেও এর গুরুত্ব সারা পৃথিবীর কৃষ্ণভক্ত মানুষের কাছে রয়েছে। বর্তমানে এই চত্বরের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে ভবন গড়ে উঠেছে। শঙ্খ,চক্র, গদা,পদ্ম,গীতা নামে ভবন গড়ে উঠেছে। এই ভবনগুলো ইস্কনদের বিভিন্ন প্রয়োজনে নির্মান করা হয়েছে। সারা পৃথিবী থেকে এই মন্দিরে বছরে প্রায় ছয় বিলিয়ন কৃষ্ণভক্তের আগমন ঘটে। তাদের থাকা থেকে শুরু করে প্রসাদের ব্যবস্থাও করা হয়েছে এখানে। বিনামূল্যে যেমন খাবারের ব্যবস্থা আছে তেমনি ত্রিশ টাকা থেকে শুরু করে চল্লিশ,পঞ্চাশ, সত্তর ও আশির টাকার কুপন কেটে খাবারের ব্যবস্থা আছে। থাকার জন্য মন্দির চত্বরে যেমন ঘর আছে তেমনি মন্দিরের বাইরে অসংখ্য লজ, হোটেল ও থাকার জায়গা আছে। সময়ের উপর এই সমস্ত ঘরগুলোর ভাড়া নির্ভর করে। তবে মন্দির চত্বরে থাকতে হলে আগে থেকেই বুকিং করে আসতে হবে।
মায়াপুর মন্দিরে পুজো ও আরতির বিভিন্ন সময় আছে। ভোর চারটার সময় প্রথম পুজো ও আরতি হয়। সেই সময় হাজার হাজার কৃষ্ণভক্তের সমাগম ঘটে। আরতি ও গানের তালে তালে তারা নৃত্য করেন। অপূর্ব সেই দৃশ্য। দেখলে মনে হয় দেখেই যাই। পুজো শেষে প্রসাদ বিতরন হয়। সন্ধ্যা বেলায় সন্ধ্যা আরতি হয় দেখার মতো। খোল - করতাল সহযোগে নামকীর্তনের মধ্যদিয়ে এক মায়াময় অপার্থিব পরিবেশ রচনা করা হয়। সকল বৈষ্ণব ভক্তের উপস্থিতিতে মন্দির চত্বর গমগম করে। কৃষ্ণপ্রেমে কেউ দিনের পর দিন এই ময়াপুরে পরে থাকেন, আবার কেউ সংসার জীবনে থেকেও মনের জ্বালা জুড়নোর জন্যে এখানে আসেন। রাস, রথযাত্রা , দোল পূর্ণিমা, জন্মাষ্টমী, রাধাষ্টমীর মতো দিনগুলোতে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক কৃষ্ণভক্তের আগমন ঘটে এই মায়াপুরে। এই উৎসবগুলো খুব আড়ম্বরের সঙ্গে পালন করেন ইস্কনের সদস্যরা। এই সময় থাকার ঘর পাওয়া খুব কঠিন হয়ে যায়। পাঁচশ টাকার ঘরগুলো দেড়হাজার-দুহাজার টাকা দিয়েও পাওয়া যায় না। পা ফেলার জায়গা পাওয়া যায় না মন্দিরের ভিতরে।
মায়াপুর মন্দিরের ভিতরে রয়েছে রাধাকৃষ্ণের ও জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রা দেবীর বিগ্ৰহ। প্রতিদিন এই সকল বিগ্ৰহের পূজা-অর্চনা ও আরতি করা হয়ে থাকে। শ্রীকৃষ্ণের অভিষেকও করা হয় খুব জাঁকজমকের মধ্য দিয়ে। মন্দিরের চারিপাশে একটি মনোমুগ্ধকর পরিবেশ কৃষ্ণভক্তদের সর্বদা আকর্ষন করে। এখানে মূল মন্দির ও চন্দ্রোদয় মন্দির ছাড়া দেখার মতো আছে বল্লালডিপি,গোশালা, শ্রীচৈতন্য গৌড়ীয় মঠ, অদ্বৈতভবন, শ্যামকুন্ড, রাধাকুন্ড ও নবদ্বীপের অসংখ্য মন্দির। গোশালায় দুশোর বেশি গরু আছে। মায়াপুরে এসে নবদ্বীপ দর্শন করে না গেলে ঘোরা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।
রাধা-কৃষ্ণের বিশেষ অনুষ্ঠানগুলো অনেকদিন ধরে খুব জাঁকজমকের সঙ্গে পালন করা হয়। দোল উৎসব, জন্মাষ্টমী, রাধাষ্টমী, রাস উৎসব, রথযাত্রায় অনেক আগে থেকেই এর আয়োজন করা হয়। উৎসবগুলো হওয়ার অনেক আগে থেকেই শ্রীকৃষ্ণভক্তরা মায়াপুরে ভিড় জমায়। উৎসবগুলোকে উপলক্ষ করে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সকল ভক্তেরা দেখার মতো দোল খেলায় মত্ত হয় দোল উৎসবে। চলে বিভিন্ন রং আর আবিরের খেলা। মন্দির চত্বর ভোরে ওঠে আলোর রোশনাই আর সুসজ্জিত কারুকার্যে। রাসের দিন মায়াপুরে দেখার মতো রাস উৎসব পালন করা হয়। এই রাস দেখে ভক্তচিত্তে বৃন্দাবনের রাধা-কৃষ্ণ ও গোপিনীদের রাসের চিত্র ফুটে ওঠে। কৃষ্ণের জন্মদিনকে কেন্দ্র করে জন্মাষ্টমী ও শ্রীমতি রাধারাণীর জন্মদিনের পুন্যলগ্নে রাধাষ্টমী পালন করা হয়। দুটো তিথিতে মানুষের ভিড় উপচে পড়ে।
মায়াপুরের নবনির্মিত চন্দ্রোদয় মন্দিরটি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু হিন্দু মন্দির। ৩৫ তলা বাড়ির সমান উচু মায়াপুরের এই ইস্কন মন্দিরটি।এই মন্দিরটি দেখতে অনেক সেবক ও ভক্ত ইউরোপ ও আমেরিকাসহ বিশ্বের নানা দেশ থেকে আসে। তাদের ইস্কনের অতিথিশালায় সামান্য ভাড়ায় থাকার ব্যবস্থা আছে ৷ যেকোনো ধর্মের মানুষ এখানে স্বাগত ৷
মায়াপুর কলকাতার সঙ্গে সড়ক যোগে যুক্ত ৷ এছাড়া কলকাতার শিয়ালদহ রেল স্টেশন থেকে ট্রেনে কৃষ্ণনগর এসে সেখান থেকে বাসে মায়াপুর পৌঁছনো যায় ৷ স্থাপত্যের নিদর্শন হিসেবে ভারতের স্থাপত্যরীতি বরাবর ধর্মীয় ভাবধারায় তার অবস্থান জানান দিয়েছে। আর পৃথিবীর সবচাইতে উঁচু এই মন্দির জানান দিয়েছে যে সে মিশরের পিরামিডের চাইতেও অনেক অনেক উঁচু। মন্দিরটি এখনো সম্পূর্ণভাবে নির্মিত হয় নি। বেশিরভাগ বিদেশিদের অর্থানূকুল্যে এই মন্দির নির্মিত হচ্ছে। আমেরিকার এ এফ বই ফাউন্ডেশনের আলফ্রেড বুশ ফল্ড এই মন্দির করতে ৬০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে বলে জানিয়েছেন।
মায়াপুরের ইস্কন কর্তৃপক্ষরা জানায় যে এই মন্দিরের কাজ শেষ হবার পর এটা পৃথিবীর সবচাইতে বিশাল মন্দির হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে এবং এটি দেখার জন্য দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসবে এখানে। মায়াপুর ইস্কনের ত্রিমাতৃক মডেলের এই মন্দির প্রায় ২২ একর ভূমির উপর অবস্থিত। যখন এটা স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তখন মায়াপুর প্রজেক্ট সোসাইটি নামে একটি চ্যারিট্যাবল বডি গঠন করা হয়, যারা এই প্রজেক্টের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে শুরু করে। এ বি এফ এর ডিরেক্টর মন্দির শুরু হওয়ার সময় আরও বলেন --- "এই কুড়ি একর গ্রামের মাঝে থাকবে সকল হাউজিং সুবিধাসমূহ যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। মায়াপুর ইস্কনের স্থাপত্য রীতি মায়াপুর ইস্কন উত্তর ভারতীয় নাগারা এবং অরিসসার কলিংগ মন্দিরগুলোর স্থাপত্য রীতি অনুসারে ডিজাইন করেছে। এটাতে তিনটি গম্ভুজ আছে যা মন্দিরটি অনেক দূর থেকে প্রতিয়মান হওয়ার সাক্ষ্য বহন করে। প্রথমেই থাকবে এক্সিভিশন হল। এখানে একটি প্লানেটেরিয়ামও থাকবে। এই এক্সিভিশন হল নয় তলা উচ্চতার হবে, যা সব চাইতে ছোট স্ট্রাকচার হবে। দ্বিতীয় স্ট্রাকচারটা কীর্তন হল। এটি আঠারো তলা উচ্চতা বিশিষ্ট । এর মাঝে থাকবেন শ্রীল প্রভুপাদ স্বয়ং। তৃতীয় স্ট্রাকচার হলের শিখারা বা শিখর প্রায় ৩৫ তলা সমান উচু । এটাই মন্দিরের মূল অংশ।"
কন্সট্রাকশনের ব্যবহৃত ম্যাটেরিয়েলস এই কমপ্লেক্সে কোন স্টিল ব্যবহার করা হয় নি। গঙ্গার মাটি থেকে বানানো ইটের দেয়াল দিয়ে এই উচ্চতা তৈরি করা হয়েছে। বাংলার আদি স্থাপত্য সমুহ এই মাটি দিয়েই বানানো হতো। তাই স্থপতি এখানে সেই পুরাতন স্থাপত্য রীতিই ব্যবহার করেছেন। মন্দিরটি গঙ্গা থেকে ৫ মিটার উচ্চতায় বানানো হয়েছে। মাটিতে আছে ২.৫ মিটার পুরু কংক্রিট স্লাব, যা ৪ একর জায়গা জুড়ে আছে --- এটা মায়াপুরের কাদা মাটি থেকে এই মন্দিরকে পতনের হাত থেকে রক্ষা করছে। এই কারনে মায়াপুরের চন্দ্রোদয় মন্দির হবে অনেক দিন স্থায়ী একটি মন্দির।
২০০০ সালে এই মন্দিরের ডিজাইন করার কাজ শেষ হয়। অনেক বার পরিবর্তনের পর এই শেষ ডিজাইন উঠে আসে সবার নজরে। যাতে যুক্ত হয়েছে হিন্দু ধর্মের অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শনের ছাপ। এটা গুরু দেশাম- এর একটা স্থাপত্য কলাই নয়--- এতে যুক্ত হয়েছে ট্র্যাডিশনাল বৌদ্ধিক ও হিন্দু স্থাপত্য কলার এক অদ্ভুত মিশ্রন, যা একে দান করেছে এক অমূল্য স্থাপত্যের স্বীকৃতি। এই স্থাপত্য কলাকে এক অসাধারণ রুপ দান করা কিন্তু ইস্কনের প্রথমবারের মতো চেষ্টা নয়। এর আগে ইস্কনের ব্যাঙ্গালোর মন্দিরটির মাঝে দেখা যায় ইস্কনের অপূর্ব মিশ্রনের সদিচ্ছা। এখানে একদম নতুন ভাবে ইস্কনের মন্দিরটা বানানো হয়েছে --- যাতে ব্যবহৃত হয়েছে এক অনন্য ডিজাইন।
বাংলার মন্দিরগুলোতে দেখা যায় গোলাকার দেয়াল ঘিরে থাকে টেরাকোটা, যাতে দেখানো হয় হাজার বছরের পুরানো ইতিহাস ও ঐতিহ্য। রামায়ণ ও মহাভারতের ইতিহাসও অঙ্কিত আছে এই সকল মন্দিরে। ইস্কনের এই নতুন মন্দিরটিতেও এই বাংলার টেরাকোটাও ঊঠে এসেছে। সবিনয়ে যেখানে মিশেছে আধুনিক গ্লাস ও কাঠের মিশ্রন। বাংলার মন্দিরের টেরাকোটা লক্ষণীয়। অবশেষে বলা যায় স্থাপত্য কলার অদ্ভুত নিদর্শন এই ইস্কনের মন্দিরে আছে। টেরাকোটা এবং গ্লাসের অদ্ভূত সমন্বয় ঘটেছে এখানে। যার মাধ্যমে সূর্যের আলো ও বাতাসকে নিয়ে তৈরি করা হবে এক সুন্দর পরিবেশ। এই পরিবেশে সর্বদা ভক্তের মন থাকবে ঈশ্বরের বন্দনায় আকুল। এই মন্দিরটির কাজ মহামারি করোনার কারনে দুই বছর বন্ধ ছিল। মন্দিরটি ২০২৪ সালে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ইস্কনের কর্তৃপক্ষরা।
মায়াপুর মন্দির সংলগ্ন ও আশেপাশে গড়ে উঠেছে বহু দোকান , হোটেল , ছোট বড় খাবারের দোকান। বহু মানুষের সংসার চলছে এই দোকানগুলো থেকে। বারোমাস আগত কৃষ্ণভক্তদের উপরই এরা নির্ভর করে থাকে। ঠাকুরের ছবি, পুজোর উপকরন, ফুলের দোকান, মুদিখানা, ফলের দোকান ছাড়াও আরও বিচিত্র সব দোকানের সমাবেশ ঘটেছে এই মন্দিরকে কেন্দ্র করে। মায়াপুর থেকে নবদ্বীপ ও নবদ্বীপ থেকে মায়াপুর পর্যন্ত নৌকা পারাপার করেও অনেকেই বারোমাস প্রচুর অর্থ উপার্জন করে। মন্দির পরিচালনার জন্য দেশ-বিদেশ থেকে প্রচুর অর্থ ডোনেশন স্বরূপ দান করা হয়। তাছাড়া মন্দিরে আসা কৃষ্ণভক্তদের কাছ থেকে প্রনামি বাবদ মন্দির কর্তৃপক্ষ কম টাকা উপার্জন করে না।
পরিশেষে বলাযায় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলায় অবস্থিত রাধাকৃষ্ণের দিব্যস্থান মায়াপুর সমগ্ৰ পৃথিবীর রাধাকৃষ্ণ ভক্তদের কাছে খুবই প্রিয় স্থান। উত্তরপ্রদেশের মথুরা-বৃন্দাবনের মতোই মায়াপুর কৃষ্ণভক্তদের বিশেষ আকর্ষণ করে। একদিকে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু, অন্যদিকে রাধাকৃষ্ণ এরই মাঝে গঙ্গাদেবী একসঙ্গে দেখতে হলে এখানে আসতেই হবে। এমন অসাধারন দৃশ্য ভোলার নয়।
===================
মিঠুন মুখার্জী
C/O-- গোবিন্দ মুখার্জী
গ্ৰাম : নবজীবন পল্লী
পোস্ট+থানা -- গোবরডাঙা
জেলা -- উত্তর ২৪ পরগণা
পিন-- 743252
- লিঙ্ক পান
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
জনপ্রিয় লেখা
প্রবন্ধ ।। লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা ।। শ্রীজিৎ জানা
লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা শ্রীজিৎ জানা "সময় চলিয়া যায় নদীর স্রোতের প্রায়"। স্রোতের ধারা তার দু'প্রান্তে রেখে যায় ভাঙাগড়ার চিহ্ন। কালের দৃশ্যপটেও পরিবর্তনের ছবি অনিবার্যভাবেই চোখে পড়ে। সমাজ সময়ের ছাঁচে নিজেকে গড়ে নেয় প্রতিনিয়ত। সেখানে মনে নেওয়ায় বাধা থাকলেও,মেনে নেওয়ার গাজোয়ারি চলে না। ফলত কাল বদলের গাণিতিক হিসেবে জীবন ও জীবিকার যে রদবদল,তাকেই বোধকরি সংগ্রাম বলা যায়। জীবন সংগ্রাম অথবা টিকে থাকার সংগ্রাম। মানুষের জীবনযাপনের ক্ষেত্রে আজকে যা অত্যাবশ্যকীয় কাল তার বিকল্প রূপ পেতে পারে অথবা তা অনাবশ্যক হওয়াও স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে উক্ত বিষয়টির পরিষেবা দানকারী মানুষদের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হওয়া অস্বাভাবিক নয়। এক কালে গাঁয়ে কত ধরনের পেশার মানুষদের চোখে পোড়তো। কোন পেশা ছিল সম্বৎসরের,আবার কোন পেশা এককালীন। সব পেশার লোকেরাই কত নিষ্ঠা ভরে গাঁয়ে তাদের পরিষেবা দিত। বিনিময়ে সামান্য আয় হত তাদের। আর সেই আয়টুকুই ছিল তাদের সংসার নির্বাহের একমাত্র উপায়। কালে কালান্তরে সেই সব পেশা,সেই সব সমাজবন্ধুরা হারিয়ে গ্যাছে। শুধুমাত্র তারা বেঁচে আছে অগ্রজের গল্পকথায়,আর বিভিন্ন সাহিত্য
মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা 2024 সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি
লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি (লেখক ও সম্পাদকীয় দপ্তরের কথোপকথন আকারে) --কী পত্রিকা? --নবপ্রভাত। --মুদ্রিত না অনলাইন? --মুদ্রিত। --কোন সংখ্যা হবে এটা? --বইমেলা 2024। --কোন কোন ধরনের লেখা থাকবে? --প্রবন্ধ-নিবন্ধ, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া। --বিশেষ কোন বিষয় আছে? --না। যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে। --শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন আছে? --না। নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা 12-14 লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি 200/250শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। --ক'টি লেখা পাঠাতে হবে? --মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। --ফেসবুক বা অন্য কোন প্লাটফর্মে প্রকাশিত লেখা কি পাঠানো যাবে? --না। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। --পত্রিকা কোন সময়ে প্রকাশিত হবে? --জানুয়ারি 2024-এর দ্বিতীয় সপ্তাহে। --লেখা পাঠানোর শেষতারিখ কত? -- 17 ডিসেম্বর 2023। --কীভাবে পাঠাতে হবে? --মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। --লেখার সঙ্গে কী কী দিতে হবে? --নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) --বিশেষ সতর্কতা কিছু ? --১)মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন '
সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ : "ত্রয়ী কাব্য" -- সুনন্দ মন্ডল
সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ -- "ত্রয়ী কাব্য" ------------------------------------------------------------------------------ সুনন্দ মন্ডল নবীনচন্দ্র সেন সাহিত্যে তথা বাংলা কবিতার জগতে এক অবিস্মরণীয় নাম। তিনি চট্টগ্রাম জেলার নওয়াপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ১৮৪৭ সালে তাঁর জন্ম এবং মত্যু ১৯০৯ সালে। বঙ্কিমচন্দ্র তাঁকে 'বাংলার বায়রন' বলেছেন। জীবৎকালীন যুগে আত্মপ্রত্যয়ের মধ্যে জাতীয় চরিত্র আত্মস্থ করে নতুন সংস্কারে প্রয়াসী হয়ে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখেছেন।মধুসূদন-হেমচন্দ্র-নবীনচন্দ্র--এই তিন কবি বাংলা কাব্যধারায় প্রাণ সঞ্চার করেছিলেন। বিশেষত মহাকাব্য লেখার দুঃসাহস দেখিয়েছিলেন। এদিক থেকে মধুসূদন দত্ত একজন সফল মহাকাব্যিক। তাঁর 'মেঘনাদ বধ' কাব্যের মত গভীর ও ব্যঞ্জনাময় না হলেও নবীনচন্দ্র সেনের 'ত্রয়ী' কাব্য বিশেষ মর্যাদা দাবি করতেই পারে। তাছাড়া 'ত্রয়ী' কাব্যে ধর্মীয় ভাবধারার আবেগ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। নবীনচন্দ্র সেন বহু কাব্য লিখেছেন। যেমন- 'অবকাশরঞ্জিনী','পলাশীর যুদ্ধ', 'ক্লিওপেট্রা', 'রঙ্গমতী', 'খ্রীষ্ট', '
কবিতা ।। বসন্তের কোকিল তুমি ।। বিচিত্র কুমার
বসন্তের কোকিল তুমি বিচিত্র কুমার (০১) তোমার দু-আঁখির গহীন অরণ্যে একটা স্বপ্নের বহমান নদী রয়েছে, তারই রেশ ধরে আমি হেঁটে চলি অজানা বসন্তের পথে নীর উদ্দেশ্যে। সে চলার কোন শেষ সীমা নেই তাই আমার বিষণ্ণ একতারা সন্ন্যাস খুঁজে ফিরে , কবে তুমি বুঝবে অনুশ্রী মনের পর্দা খুলে একুশ বসন্ত তোমার রঙ ছিটিয়ে যাচ্ছে অচিনপুরে। এদিকে আমার দেহের প্রতিটি শিরা ধমনীতে প্রবাহিত হচ্ছে তোমার ভালোবাসার একটু উষ্ণতা পাবার জন্যে, শুধু অনুভবে তাণ্ডব উচ্ছাসিত হচ্ছে--- যেদিকে তাকাই --- ফুলে ফুলে ভ্রমর গুনগুনিয়ে উড়ে উড়ে পরে বসন্তের কোকিল গান গায় নব বসন্তে, তোমার দুই চোখে আমার একই ছায়া রয়ে যায় উতলা ভালোবাসার সীমান্তে। (০২) এক রক্তাক্ত বসন্তের স্মৃতি কোন এক উতলা বসন্তের সকালে পুষ্পবনে ফুটেছিল একটি টকটকে লাল গোলাপ, তার সাথে হয়েছিলো দেখা প্রথম ফাগুনে হয়েছিল দুজনার এ জীবনের আলাপ। তারপর প্রতিটি শীতের ভোরে অনেক রোদের পরশ মেখে ছুঁয়ে যেতে আমার বুকের বাঁ পাস শিশির রেখা, তখন প্রতিটি ভোর হয়ে যেত ভীষণ রকম মিষ্টি আর ছিলো শুধু বসন্তের ঘ্রাণ মাখা। প্রতিটি সকালে একঝাঁক মায়াবী পাখি অনুভবের
প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৭৯তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সূচিপত্র কবিতা ।। তৈরি হয় এক নতুন বিপ্লবের পটভূমি ।। প্রণব কুমার চক্রবর্তী কবিতা || প্রতিবাদ || জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় কবিতা ।। সেই মেয়েটি রাত জাগে ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। শপথ ।। দীপঙ্কর সরকার কবিতা ।। কোরাস রাত ।। বন্দনা পাত্র কবিতা ।। তিলোত্তমার বিচার চাই ।। দীনেশ সরকার অণুগল্প ।। ব্যাকবোন ।। বিশ্বনাথ প্রামাণিক কবিতা ।। আন খুঁজে আন শিরদাঁড়াটা ।। জয়শ্রী সরকার কবিতা ।। জীবন এখন ।। লাবণী পাল কবিতা ।। তিলোত্তমার বিচার চাই! ।। গোবিন্দ মোদক কবিতা ।। যুদ্ধ , প্রতিনিয়ত ।। সুমিত মোদক মুক্তভাবনা ।। কী বলব! ।। বন্দনা সেনগুপ্ত প্রতিবেদন ।। বিচার পাক অভয়া ।। জয়শ্রী বন্দ্যোপাধ্যায় অভয়ার যে চিঠিটা আজো পাওয়া যায়নি ।। আশীষকুমার চক্রবর্তী কবিতা ।। জগন্মাতা নাকি তিনি ।। অরবিন্দ পুরকাইত কবিতা ।। মেয়েটির মৃত্যু দেখে ।। তুষার ভট্টাচাৰ্য কবিতা ।। অন্ধকারের আলো ।। বিবেকানন্দ নস্কর কবিতা ।। ঘোষণা ।। প্রতীক মিত্র কবিতা ।। অপেক্ষায় ।। রণেশ রায় কবিতা ।। গ্লানি ।। সুজন দাশ কবিতা ।। বিনীত আবেদন ।। শংকর ব্রহ্ম কবিতা ।। তুই যে মেয়ে তিলোত্তমা ।। অশোক দাশ কবিতা ।। শোক সন্তাপের দুর্গা ।। সুদামকৃষ্ণ মন্ডল ক
প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮০তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩১ অক্টোবর ২০২৪
সূচিপত্র গল্প ।। উৎশব উৎসব ।। বন্দনা সেনগুপ্ত প্রবন্ধ ।। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ ।। শ্যামল হুদাতী প্রবন্ধ ।। বাংলায় প্রথম আত্মজীবনী লেখিকা রাসসুন্দরী দেবী ।। সবিতা রায় বিশ্বাস মগরাহাট (দক্ষিণ ২৪ পরগনা) এলাকার স্থানীয় কিছু কথ্যশব্দ, উচ্চারণ, বাগধারা ইত্যাদি (পর্ব-৬)।। অরবিন্দ পুরকাইত কবিতা ।। একটি মৃত্যু, অজস্র প্রতিবাদ ।। নাসির ওয়াদেন কবিতা ।। অন্ধকার জগৎ ।। সুপ্রভাত মেট্যা গুচ্ছকবিতা ।। আবদুস সালাম কবিতাগুচ্ছ ।। হীরক বন্দ্যোপাধ্যায় খোলা কবিতা ।। মানস মণ্ডল নিবন্ধ ।। সম্পর্ক ।। সংঘমিত্র ব্যানার্জি উপন্যাসিকা ।। উদয় ।। তপন তরফদার সিনেমা রিভিউ ।। ছবি : বহুরূপী, পরিচালক : রাজাদিত্য ব্যানার্জি ।। আলোচনা: জয়শ্রী ব্যানার্জি গল্প ।। গল্পটা মিথ্যে নয় ।। বিকাশকলি পোল্যে অণুগল্প ।। স্পিড ব্রেকার ।। দেবাংশু সরকার কবিতা ।। একটা পুরোনো অঙ্ক ।। রঘুনাথ চট্টোপাধ্যায় কবিতা ।। গোপন সম্মোহন ।। বিশ্ব প্রসাদ ঘোষ কবিতা ।। আগুনের পাখী হব ।। কাকলী দেব দুটি কবিতা ।। লালন চাঁদ কবিতা ।। বেঁচে থাকে ।। তীর্থঙ্কর সুমিত কবিতা ।। হে অনিন্দ্য, রক্তাক্ত মাকড়সার সর্বাঙ্গ ঋষি দৃশ্য খাও
উৎসবের সৌন্দর্য: সেকালে ও একালে।। সৌরভ পুরকাইত
উৎসবের সৌন্দর্য: সেকালে ও একালে সৌরভ পুরকাইত বাংলার উৎসব বাংলার প্রাণ। প্রতিদিনের জীবনযাপনের মধ্যে যখন মন ক্লান্ত হয়ে পড়ে তখন তাকে বেঁচে থাকার রসদ যোগায় এই উৎসব। কথায় বলে 'বারো মাসে তেরো পার্বণ'।মন আনন্দই চায়।তাই তাকে সজীবতা দিতে,পরিবারের,সমাজের ভালো-মন্দের কথা মাথায় রেখে মানুষ নিজেই সৃষ্টি করে নিয়েছে নানাবিধ উৎসবগুলিকে। একেবারে প্রাচীন কাল থেকে আজ পর্যন্ত মানুষ কখনোই উৎসব বিমুখ ছিল না।উৎসবই তাকে ঘর থেকে বাইরে টেনে এনেছে,চিনতে শিখিয়েছে আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার আনন্দকে। উৎসব আসলে প্রাণের সাথে প্রাণের যোগ, হৃদয়ের সাথে হৃদয়ের যোগ।রবীন্দ্রনাথ বলেছেন 'সত্য যেখানেই সুন্দর হয়ে প্রকাশ পায় সেইখানেই উৎসব'।হৃদয়ের সেই সুকোমল বৃত্তির জাগরণ যেন ফুটে ওঠা ফুলেরই মতো সত্য ও সুন্দর।এই জাগরণই উৎসব। তাই নানা কিছুর মধ্য দিয়ে,নানা উপলক্ষ্যে এই উৎসব প্রকাশ পায়। প্রাচীনকালে মানুষের হাতে না ছিল পসার, না ছিল পসরা।ছিল মনের আন্তরিকতা,মানুষকে কাছে টেনে নেবার ক্ষমতা।সেটাই ছিল উৎসবের সৌন্দর্য। তাই সেদিনের উৎসবে ক্ষুদ্র,তুচ্ছ উপকরণও প্রাণের উচ্ছ্বাসে মহৎ হয়ে উঠত।সেকালের উৎসবে লোক দেখানো ব্যাপার কিছু
"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান
"নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি। ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)। আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব
মুদ্রিত নবপ্রভাত উৎসব ২০২৩ সংখ্যার ডাউনলোড লিঙ্ক
মুদ্রিত নবপ্রভাত উৎসব ২০২৩ সংখ্যার সফ্ট কপি ডাউনলোড করতে ছবিতে ক্লিক করুন। ====০০০==== মুদ্রিত নবপ্রভাত উৎসব ২০২৩ সংখ্যাটি অনলাইনে অর্ডার করে বাড়িতে বসে পেতে পারেন অর্ডার করার লিঙ্ক: https://notionpress.com/read/nabapravat-utsab-2023 NABAPRAVAT30 কোডটি ব্যবহার করলে কম দামে পাবেন। (প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ৯৪৩৩৩৯৩৫৫৬ নিরাশাহরণ নস্কর। সম্পাদক, নবপ্রভাত।)
কোচবিহারের রাস উৎসব ও রাসমেলা: এক ঐতিহ্যবাহী অধ্যায় ।। পার্থ সারথি চক্রবর্তী
কোচবিহারের রাস উৎসব ও রাসমেলা : এক ঐতিহ্যবাহী অধ্যায় পার্থ সারথি চক্রবর্তী কথায় বলে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। রাজার শহর কোচবিহারের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা আরো অনেক বেশি। দুর্গাপূজা আর দীপাবলির মতো দু'দুটো বিরাট মাপের উৎসবের রেশ কাটতে না কাটতেই, এ শহর ভাসে রাস উৎসবের উন্মাদনায়। মদনমোহন ঠাকুর কোচবিহারের প্রাণের ঠাকুর। তাঁকে নিয়ে সবার আবেগ আর শ্রদ্ধা ও ভালবাসা এখানে বাঁধনছাড়া। এক অপূর্ব মিলনোৎসবের চেহারা নেওয়া এই উৎসব ঐতিহ্যবাহী ও ঐতিহাসিক। জন, মত, সম্প্রদায়ের উর্ধে এই উৎসবের গ্রহণযোগ্যতা। সময়ের কষ্টি পাথরে পরীক্ষিত! এক প্রাণের উৎসব, যা বহুদিন ধরেই গোটা উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ উৎসবে পর্যবসিত।কোচবিহারের এই রাস উৎসবকে কেন্দ্র করে যে মেলা হয় তাও সময়ের হাত ধরে অনেক বদলে গেছে। এসেছে আধুনিকতার ছোঁয়া! শৈশবে বাবার হাত ধরে যে মেলা দেখেছি তা চরিত্র ও আকৃতি দু'দিক থেকেই বদলে গেছে। গত পঁচিশ বছর ধরে খুব কাছে থেকে এই উৎসব ও মেলা দেখা, অনুভব করার সুযোগ হয়েছে। যা দিনদিন অভিজ্ঞতা ও প্রাপ্তির ঝুলিকে সমৃদ্ধ করে গেছে প্রতি ক্ষেত্রেই। খুব সংক্ষেপে এই উৎসবের ইতিহাস না জানাটা কিন্তু অবিচারই হবে বলে মনে
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন