Featured Post

নবপ্রভাত পত্রিকার ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে গ্রন্থ-প্রকাশ : ১। সম্পূর্ণ পত্রিকার খরচে ও ২। পত্রিকার অনুদানে

ছবি
  নবপ্রভাত পত্রিকার ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে  গ্রন্থ-প্রকাশ বিষয়ক বিজ্ঞপ্তি ১। সম্পূর্ণ পত্রিকার খরচে এক ফর্মার ১০টি পুস্তিকা : এই প্রকল্পে লেখক-কবিদের থেকে কোনো খরচ নেওয়া হবে না।        পত্রিকার ৩০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে বইগুলি প্রকাশিত হবে। লেখক/কবিকে সশ্রদ্ধায় সৌজন্য সংখ্যা দেওয়া হবে।       যাঁদের আগে কোন বই হয়নি , তাঁরা অগ্রাধিকার পাবেন। নতুনদের উপযুক্ত লেখা না পেলে বাকিদের লেখা নিয়ে লক্ষ্যমাত্রা পূরিত হবে।       লেখা সকলেই পাঠাতে পারেন। মেলবডিতে টাইপ করে বা word ফাইলে ।   ই-মেল : nabapravat30@gmail.com  (এবং হোয়াটসঅ্যাপেও)। বইয়ের শিরোনামসহ ১৫টি কবিতা বা ১৫টি অণুগল্প পাঠাতে হবে , শব্দ সংখ্যা বা লাইন সংখ্যার বাঁধন নেই । মনোনীত হলে মানানসই বইয়ের ফরম্যাটে যে কটি যাবে রাখা হবে ।       সঙ্গে লেখক পরিচিতি , ঠিকানা , যোগাযোগের ( কল ও হোয়াটসঅ্যাপ )   নম্বর ও এক কপি ছবি দেবেন। লেখক পরিচিতিতে অবশ্যই জানাবেন, এটি আপনার প্রথম প্রকাশিত বই হবে অথবা পূর্ব প্রকাশিত গ্রন্থতালিকা। অনলাইন বা মুদ্রিত পত্রিকা বা সমাজ - মাধ্যমে প্রকাশিত লেখাও পাঠানো যাবে । তবে কোনও গ্রন্থভুক্ত লেখা

মুক্তভাবনা ।। কী বলব! ।। বন্দনা সেনগুপ্ত


কী বলব!

বন্দনা সেনগুপ্ত  



এত কিছু বলার আছে যে মনে হচ্ছে চেপে থাকলে বোধহয় দম আটকেই মরে যাব। অথচ, কাউকে কিচ্ছুটি বলছি না।


মেয়েটা ডিউটি করছিল। কি ডিউটি? না, সেবা। সে ছিল ডাক্তার। মেরে ফেলল কে? সেও ডাক্তার! জানি আপনারা বলবেন বিচারাধীন বিষয়। প্রমাণ হওয়ার আগে অপরাধী ঘোষণা করা যায় না। ঠিক কথা। কিন্তু, কিছু না করলেও দায়িত্ব প্রধানেরই। কত অভিযোগ আসছে। ওষুধ পাচার। অঙ্গ পাচার। মধুচক্র। নেক্রোফিলিয়া। ছাত্র ছাত্রীদের সুবিধা দেওয়া। জানি না ভবিষ্যতে আরও কি কি উঠে আসবে।


এই সবই আপনারা জানেন। তীব্র প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাচ্ছেন। কিন্তু, অনেকে প্রশ্ন করছে কেন? এখন কেন? কারণ, আমরা ভয় পেয়েছি। ধর্ষণ করে খুন কি আগে হয় নি? তাদের কারুর কারুর কি সাজা হয় নি? তাহলে এখন নতুন কি? কোথাও না কোথাও তো রোজই হচ্ছে। তাহলে? কারণ, এই মেয়েটির সঙ্গে আমরা একাত্ম বোধ করছি। ভয় পাচ্ছি আমার মেয়েটির সাথেও এমন হবে না তো? শুধু তাই নয়। সে ভয় তো আগেও ছিল। কিন্তু, এই নৃশংসতা ও প্রশাসনিক দুর্নীতি বড্ড বেশি খোলাখুলি হয়ে গেছে।


এও আপনারা সবাই জানেন। আমি ভাবছি অন্য কথা। মেয়েটিকে আমরা সবাই আমাদের ঘরের মেয়ে বানিয়ে ফেলেছি। তার মা বাবা তাকে কষ্ট করে পড়িয়ে দাঁড় করিয়েছে। মানুষ করেছে। শুধু চেহারায় নয়, সত্যিকারের মানুষ করেছে। সে সবার ভালোর জন্য অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে প্রাণ দিয়েছে।


যাঁরা অভিযুক্ত, তারাও কিন্তু একটা পরিবার থেকে এসেছেন। আমরা কি চাই আমার সন্তান এরূপ হোক? এত অপরাধ না হোক, একটাও অপরাধ করুক? জেলে যাক? চাই না। কেউ চাই না। তাহলে কেন এমন হয়? 


পরিবার সমাজের এক একটা অংশ। পরিবারে ঘুন ধরলেই এরকম হওয়ার সম্ভাবনা বেশি হয়ে ওঠে। যদি, লোভ বেশি হয়, যেন তেন প্রকারেন তাড়াতাড়ি টাকা রোজগার করার ইচ্ছা হয়, নীতি দুর্নীতির পাঠ যখন ভুল হয়ে যায়, তখনই অপরাধ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। তাই ছোট ছোট চুরি, নগন্য মিথ্যা কথা, লোভের বশে নিজের কোলে ঝোল বেশি টানতে দেখলেই, নিজের ও ছেলে মেয়ের রাশ টেনে ধরুন। আমার শাশুড়ি মা শেখাতেন সুমতি কুমতির কথা। সুমতির ভালো কথা, শুনতে হয়। কুমতি টানে বিপদের দিকে, তার কথা শুনতে নেই। নিজেকে সংযত করতে হয়। এই কথাগুলি জীবনের সর্বক্ষেত্রে প্রয়োগ করে চলতে হয়। বাড়ির বড়দের জন্য এটা একটা গুরু দায়িত্ব। কারণ, তাঁদের দেখেই তো অন্যেরা শিখবে। একটা মজার গল্প বলি। বাচ্চা ছেলে বন্ধুর পেন্সিল উঠিয়ে বাড়ি নিয়ে এসেছে। যথারীতি গার্জেন কল হয়েছে। বাবা অবাক। আমাকে বললেই আমি অফিস থেকে কত পেন্সিল এনে দিই। ওর বন্ধুর পেন্সিলের কি দরকার! ব্যাপারটা বুঝতে পারছেন? বাবা নিজের  চুরির কথাটা বুঝতেই পারছেন না, ছেলেকে কি শিখাবেন!


একটু আগে স্বামী সর্বপ্রিয়ানন্দ মহারাজের একটা ভিডিও দেখছিলাম। তিনি বলছিলেন, সংস্কার ও বৃত্তির কথা। সংস্কার, যা আমাদের মনের অবচেতনে থেকে আমাদের নিয়ন্ত্রণ করছে। এই ভাবনাগুলি আমাদের মনের সচেতন চিন্তায় এসে আমাদের বাক্য ও কর্মে পরিণত হয়। মানুষ কিছু শুভ অশুভ সংস্কার নিয়ে জন্ম গ্রহণ করে। কিন্তু, সচেতন চিন্তা ও চেষ্টার দ্বারা আমরা তাদের পরিবর্তন করতে পারি। অশুভ এবং অন্যায় চিন্তাকে, শুভ ভাবনা দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করতে শিখতেই হবে, নাহলে আমরা শুধু অন্যের জন্য নয়, নিজেদের জন্যও বিপদ ডেকে আনব।


মন খুব খারাপ। এমনকি, প্রধান বিচারপতির সততার দিকেও আঙ্গুল উঠছে। কে কাকে কী বলবে!


এমতাবস্থায়, যদি নিজের ও সবার ভাল চাই, তাহলে নিজের এবং পরিবারের সকলের চরিত্রের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রেখে চলতে হবে। 

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় লেখা

প্রবন্ধ ।। লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা ।। শ্রীজিৎ জানা

মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা 2024 সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি

সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ : "ত্রয়ী কাব্য" -- সুনন্দ মন্ডল

কবিতা ।। বসন্তের কোকিল তুমি ।। বিচিত্র কুমার

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। 'স্বাধীনতা, স্বদেশ ও স্বকাল' বিষয়ক সংখ্যা ।। ভাদ্র ১৪৩১ আগস্ট ২০২৪

উৎসবের সৌন্দর্য: সেকালে ও একালে।। সৌরভ পুরকাইত

কোচবিহারের রাস উৎসব ও রাসমেলা: এক ঐতিহ্যবাহী অধ্যায় ।। পার্থ সারথি চক্রবর্তী

নবপ্রভাত পত্রিকার ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে গ্রন্থ-প্রকাশ : ১। সম্পূর্ণ পত্রিকার খরচে ও ২। পত্রিকার অনুদানে

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান