Featured Post

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

ছবি
   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা ১২-১৪ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৫-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # *) ব্যবহার করবেন না। ৫) লেখার নীচে একটি ঘোষণা দিন:  'লেখাটি স্বরচিত ও অপ্রকাশিত'। মেল আইডি :  printednabapravat@gm

কৃষ্ণেন্দু দাসঠাকুরের কবিতা



মা, আর মা
*******************


শহরের শপিংমলে,লাখ আর কোটির গল্পে পূজো আসে
মোড়ে মোড়ে 'জাগো দূর্গা,জাগো দশভুজা' দূর্গা জাগে
বড় বাড়ির সাথে,নতুন পড়ে ঘট আসবে। রীতি,গোটা পাড়ার।মা--আমাদের নতুন জামা,নতুন কাপড়

জানি না কে,কবে দিয়েছিল।সংসারের মঙ্গল কামনায় যত্নে রাখা সুতির শাড়িটা প্রতিবারের মতো বোনকে বের করে দেয়। বোন তখনও বুঝতে...চোখের জল গোপন করতে, শেখেনি।আমরা শিখেছিলাম
চিৎকার করে উঠল,"পাশের বাড়ির দীপা পঞ্চমীর দিন থেকে পড়ছে, এবেলা ওবেলা পড়েও শেষ হবে না।"
আচ্ছা মা,এরপরও কীসের মঙ্গল,কীসেরই বা অমঙ্গল। ও'ঘট টান মেরে ফেলে দাও

মেদহীন আঙুল পূজোতে নতুনের গন্ধ মাখেনি
বন্ধুরা জিজ্ঞেস করেছে।অভাবও সেই কবেই আমাদের বড়ো করে দিয়েছে। ভেতর ভেতর এক সমুদ্র মোচড় নিয়েও গুছিয়ে মিথ্যা বলতে পারতাম 
তবু কোন অভিযোগ ছুড়ে দিইনি।গণসাক্ষর করাইনি। দিস্তা দিস্তা কাগজ দিয়ে আকাশ করে দিয়েছি
চারিদিকে ঢাকের আওয়াজ, ধুনোর গন্ধ, পেটের ভেতর ধোঁওয়ার কুণ্ডলী তৈরী করত, নাড়ি ছিঁড়ে নিত
মা আমাদের লুচি, আমাদের নারকোল নাড়ু... মাথার ভেতরটা ক্রমশ ঝিম ধরে আসে
মাইকে ভেসে আসে"রূপং দেহী,ধনং দেহী, যশ দেহী"
চিৎকার করে বলি দুঃখং দেহী,বজ্ঞনাং দেহী,সহ্যং দেহী

টিউশানি পড়ানো টাকায় বোনকে বাজি কিনে দিয়ে, সরে পড়তাম।এখুনি শেষ হবে।পাশে পাশে ছোট খাটো পটকার দোকান।মা বলবে,দাদা আসুক...এবারের পূজো শেষ

মোড়ল বাড়ির ঠাকুরের ভাসান।আজ সব দুঃখ ভুলে গেছি। বড়ো বাড়ির মেয়েদের গায়ে দামি কাপড়, গা ভর্তি সোনা। চোখে মেকী জল,হেসে ফেলতাম।রেগে আড়চোখে তাকাতো
মা'কে ভাসিয়ে সবাই তারস্বরে চিৎকার করে উঠল-- আসছে বছর... আর আসিস না মা 
                                  ---০০---


কৃষ্ণেন্দু দাসঠাকুর।
গ্রাম+পোঃ- কান্দরা
জেলা- পূর্ব বর্ধমান
সূচক:৭১৩১২৯
প্রয়োজনে:৯২৩২৮৩০৭৭৬

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় লেখা

প্রবন্ধ ।। লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা ।। শ্রীজিৎ জানা

মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা 2024 সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি

সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ : "ত্রয়ী কাব্য" -- সুনন্দ মন্ডল

কবিতা ।। বসন্তের কোকিল তুমি ।। বিচিত্র কুমার

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৭৯তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮০তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩১ অক্টোবর ২০২৪

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

উৎসবের সৌন্দর্য: সেকালে ও একালে।। সৌরভ পুরকাইত

মুদ্রিত নবপ্রভাত উৎসব ২০২৩ সংখ্যার ডাউনলোড লিঙ্ক