সুদখোর
রক্ত জল করা ফসল বিকোয় জলের দামে
বছর শেষে কানাকড়ি পরে থাকে তলানিতে
তারও ভাগ লাগে গ্রামের মহাজনকে
যাঁতাকলের রস পিষে নেয় সে সবার।
কৃষক নয়তো মজুর গোলামী খাটে আজীবন
বউ ছেলে মেয়ে বন্ধক দিতে হয় গতর গেলে।
একেকটা অসহায় জীবনের সলতে
বেঁচে থাকে খড়ের চাল জড়ানো ঘরে।
নির্দয় মহাজন এক টাকা ধার দিলে অসময়ে
সময়ে উসুল করেন ঢের বেশি দামে।
নিঃস্ব মজদুর হাতের মুঠোয় যা ধরেন মেলে
পোষাই না টাকার গন্ধওয়ালা বড়লোকের।
-----------
ছাপাখানা
আলো আঁধারী জীবন চড়ে
কালির সুখটানে আঁকা নীরবতা।
শব্দরা কথা বলে অক্ষরের গায়ে
ভালোবাসা মায়া স্নেহের চিরকুট
বয়ে আনে খটখট টাইপে
নানা রঙা ফসলি হয়ে বেরিয়ে আসে।
জীবন কলের চাকার আগে আগে ঘোরে
ব্যর্থ কেন হবে?
নদীর খেয়ালে জল যেমন স্বচ্ছ
কালির আমদানিতে লেখাও তেমন সরল।
কয়েকটা ঘন্টা অতিক্রমের সময় চায়
তারপর এঁকে দেবে পদটিকা।
বেনামি নয় স্বপ্নের মতো
যন্ত্রের শহরে হাতে হাতে ঘুরবে পত্রাবলি।
কারসাজি শুধু একটি ছাপাখানার
যাদুর মতো নিয়মের কারাগার।
--------------
কাঠিয়া, মুরারই, বীরভূম
মুঠোফোনে- 8637064029
No comments:
Post a Comment