google-site-verification=aFCzFTmuVjPqPlrdWXeJSj2r_EMig_cypLnlmiUQpw0 re সুমন কল্যাণের মুক্তগদ্য - নবপ্রভাত মাসিক ব্লগ-সাহিত্যপত্র

Breaking

নবপ্রভাত মাসিক ব্লগ-সাহিত্যপত্র

NABAPRAVAT : A Monthly Bengali Literary Blogzine.

সোমবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮

সুমন কল্যাণের মুক্তগদ্য



শীতল সুবাস



রাস্তার পাশে, পুকুর পাড়ে, গ্রামের উঁচু ডাঙাতে অস্থায়ী কুঁড়েতে মাটির উননে আগুন জ্বেলে গুড় তৈরীর দৃশ্য আমরা অনেকেই দেখেছি। বাতাসে শীতের আমেজ লাগতেই ওরাও হাজির হয় নদীয়া, মুর্শিদাবাদ থেকে আমাদের এই লালমাটি বীরভূমের গঞ্জ - গ্রামে।  ওরা শীতের অবিচ্ছেদ্দ্য অংশ। সারা বছরের অবহেলিত খেজুর গাছগুলিকে প্রকৃতি এই সময় রাখে রসেবসে। ওদের সূক্ষ্ম হাতের কাজে কান্ডের গা বেয়ে গড়িয়ে আসা রসে ভরে ওঠে মাটির হাঁড়িগুলি। গাছে নলি দেয়ার প্রথম দিকের রস থেকে তৈরি গুড়কে নলেন গুড় বলে। মন নেচে ওঠে গেয়ে ওঠে "খেজুর গাছে হাঁড়ি বাঁধো মন"।  হাঁড়ির রস শুকনো খড় আর খেজুর পাতার আগুনের আঁচে হাল্কা লালচে হয়ে যখন ডেঁকচি উপচে ওঠে তখন বড় সোহাগী হয় রহিম সেখ। কি যত্ন করে যে সে ওই গুড়কে আগলে রাখে তা আমি দেখেছি। গুড় ওজন করে দেওয়ার আগে সে অন্তত একটিবার তার নরম কন্ঠে বলবেই "আগে একটু খ্যায়ে দ্যাখেন, এ জিনিস পাবেন না গো"। আমি সেই রহিম চাচার বিশ্বাস বাড়ি বয়ে নিয়ে আসি প্রতি বছর। সারা ঘর সেই বিশ্বাস বাতাসে খেলা করে।
ওদের জন্য দু-চার লাইন-
"ওরা আসে কার্তিকে-অগ্রহায়নে
যায় শেষ ফাল্গুনে
ওদের কথা ভোরের শালিক জানে
শীত-রাতের আগুন জানে।
শুধু উত্তুরে হাওয়া নয়
ওরাও তো শীত বয়ে আনে।"

======================

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন