আনমন ***
ভালো লাগছে না, আসলেই কিচ্ছু ভালো লাগছে না... একটা মলিন ক্ষীণ হলদেটে আলো এসে পড়েছে পুবমুখো বারান্দার গ্রীলের কারুকাজে।এমন মনখারাপ-খারাপ বিকেল গুলো আজকাল ঘন ঘন আসে...ওদের চুপিচুপি বলবার অনেক গোপন কথা আছে,তার একটা দুটো মোটে শোনা, সব গল্প সবসময় ভাল্লাগে না,না শুনতে, না বলতে... অথচ ওরা এলেই একগুঁয়েমিরা আনমন,পাঁজর ভেদ করে শব্দের কুঁড়ি ফোটে,তাই মাঝেমাঝে মুখর হয় কলম খানা,সব অভিমান সমঝোতা গুলো নীরবে হেসে ওঠে...দূর বহুদূরে কোথাও কোন নিমগ্ন নগরীতে বাজতে থাকে মারঁবার বন্দিশ "থর থর কাঁপে জিয়রা উন বিন"... তবুও কতকিছু লিখতে চেয়েও লেখা হয় না,মনে হয় এই যত না বলা না লেখা শব্দগুলো কেউ ঠিক বুঝে নেবে যেভাবে বুঝে নেয়
প্রতিটি খিদের বর্ণমালা মায়ের ভাত এঁকে দেওয়া শস্যশ্যামলা চোখ...ঠিক সেভাবেই যেভাবে আকাশের ঠিকানা খুঁজে নেয় বিষাদ যাপন, অথচ কিছুই যেন লেখা হয় না... এই চাপান উতোর বেলা এই অতৃপ্তির সন্তাপ ঘুরেফিরে আসে ইদানীং বারেবার...
ভালো লাগে না... একটুও...
অথচ কিভাবে যেন এই হলুদ রোদ গুলো ফ্যাকাসে হেমন্ত হয়ে যাচ্ছে ইদানীং, দেখে দেখে অনেক প্রশ্ন জাগে মাঝেমধ্যে...
এইসব বিচ্ছিরি টানাপোড়েনের দিনগুলো অনেক মুখের ভীড় জমিয়ে তোলে, যারা ভুলে গেছে, যাদের ভুলে গেছি,যাদের ভুলে যেতে গিয়েও মনে পড়ে এমনই সময়ে অসময়ে সেই তারা আসে...চাওয়া পাওয়ার হিসেবে যাদের আশা পূর্ণ করতে পারিনি বলে সরে গেছে যারা সেই তারাও মনে পড়ে।
জন্ম না হওয়া সেই কবিতার কচি মুখ গুলো আসে দল বেঁধে, বড় অভিমানী চাউনি ওদের,যে মমতার কোল চেয়েছিল ওরা দিতে পারিনি তাদের, নিত্যদিনের রোজনামচার হাজারো জটিলতা আর দৌড়ে বেড়ানোর দমবন্ধ কুয়াশা ঘিরে ধরলে ওদের উপেক্ষা করি,ওরা ছেড়ে যেতে চায়,তবুও অসফল পাথর চাপা বুকেও এক এক সময় ভেঙে পড়ি...
ওই ভেঙে পড়া গুলো ঝম ঝম করে বাজতে থাকে, রোজ এক নতুন মৃত্যু যাপন করি,রোজ মরণের সাথে সংগম শেষে আবার বেঁচে উঠি কোন দুরাশায় জানিনা ! কোথাও যেন নিষ্ফলা কোন গল্প এক জন্মান্তর এর কবিতা লিখে যেতে চায়... সে কবিতা কি আমার ? সেই কবিতা আমার...
প্রতিটি খিদের বর্ণমালা মায়ের ভাত এঁকে দেওয়া শস্যশ্যামলা চোখ...ঠিক সেভাবেই যেভাবে আকাশের ঠিকানা খুঁজে নেয় বিষাদ যাপন, অথচ কিছুই যেন লেখা হয় না... এই চাপান উতোর বেলা এই অতৃপ্তির সন্তাপ ঘুরেফিরে আসে ইদানীং বারেবার...
ভালো লাগে না... একটুও...
অথচ কিভাবে যেন এই হলুদ রোদ গুলো ফ্যাকাসে হেমন্ত হয়ে যাচ্ছে ইদানীং, দেখে দেখে অনেক প্রশ্ন জাগে মাঝেমধ্যে...
এইসব বিচ্ছিরি টানাপোড়েনের দিনগুলো অনেক মুখের ভীড় জমিয়ে তোলে, যারা ভুলে গেছে, যাদের ভুলে গেছি,যাদের ভুলে যেতে গিয়েও মনে পড়ে এমনই সময়ে অসময়ে সেই তারা আসে...চাওয়া পাওয়ার হিসেবে যাদের আশা পূর্ণ করতে পারিনি বলে সরে গেছে যারা সেই তারাও মনে পড়ে।
জন্ম না হওয়া সেই কবিতার কচি মুখ গুলো আসে দল বেঁধে, বড় অভিমানী চাউনি ওদের,যে মমতার কোল চেয়েছিল ওরা দিতে পারিনি তাদের, নিত্যদিনের রোজনামচার হাজারো জটিলতা আর দৌড়ে বেড়ানোর দমবন্ধ কুয়াশা ঘিরে ধরলে ওদের উপেক্ষা করি,ওরা ছেড়ে যেতে চায়,তবুও অসফল পাথর চাপা বুকেও এক এক সময় ভেঙে পড়ি...
ওই ভেঙে পড়া গুলো ঝম ঝম করে বাজতে থাকে, রোজ এক নতুন মৃত্যু যাপন করি,রোজ মরণের সাথে সংগম শেষে আবার বেঁচে উঠি কোন দুরাশায় জানিনা ! কোথাও যেন নিষ্ফলা কোন গল্প এক জন্মান্তর এর কবিতা লিখে যেতে চায়... সে কবিতা কি আমার ? সেই কবিতা আমার...
===================================
বিদিশা দাস
বারাসাত
কলকাতা ৭০০১২৪
বারাসাত
কলকাতা ৭০০১২৪
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন