লেপচা খা
সুদিনের
মুসাফির যদিও আমি, তবু
জীবনেরই
আর এক ব্যঞ্জনা যেন
ঠিকমতো
উচ্চতায় নিজেকে উন্নীত করতে পারলে
খুলে
যায় কত না দুয়ার!
বক্সা
ফোর্টে দোকানদার বলেছিলেন,
‘একবার
পৌঁছন, দেখবেন কষ্টের কথা মনেও থাকবে না।’
মনে
হয়েছিল সান্ত্বনা নিছক।
পশ্চাতে
মিহিন কুয়াশামাখা উত্তুঙ্গ পর্বত
সম্মুখে
বেলাশেষের চেনা সূর্য অদ্ভুত কোমল মায়াবী
নিম্নে
চিকন শ্বেতকায় জয়ন্তী নদী।
পায়ে-পায়ে
ঝরনা গাছ ফুল পাখি প্রজাপতি
টুকরো
সবজিখেত কোথাও, ক’টি গরু-মুরগি, সঙ্গী সারমেয় –
কুটিরে
পাঁচজনের একাধারে পরিবার ও পাড়া।
স্ত্রী
কি পুরুষ – কঠোর শ্রমের জীবন
প্রাণোচ্ছলতা
তবু, তবু সহজ হাসিটি ডুপ্পা যুবক-যুবতীর
জংখা
ভাষায় গান সন্ধ্যার বৌদ্ধমন্দিরে।
দূরের
কুক্কুটধ্বনি করে বসতি-প্রমাণ
নরম
আলোয় নির্ভার সুরশিশুরা খেলে আপন খেয়ালে
শস্য
ঝাড়ে মা – টলমল শিশুটি ছড়ায়!
এত
প্রাণবান তুমি, হে ভূধর প্রবীণ!
* * *
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন