শীতের এ-বাংলায়
।উত্তরবায়ু দিয়ে গেল চিঠি
হেমন্ত যায় চলে
আনছি সে ঋতু দেরি নয় আর
চেনো যাকে 'শীত'বলে।
সাঁঝে কুয়াশায় সকালে শিশিরে
হিম হিম অনুভবে
বুঝেছে মানুষ শীতের পোশাক
লাগবে এবার তবে !
বের হয়ে আসে সোয়েটার টুপি
শাল ও চাদর যত
কম্বল লেপ রাত্রে শয়ণে
প্রয়োজন অন্ততঃ।
উঠেছে শীতের সব্জী বাজারে
সিম কপি মুলো লাউ
শাক পালঙের লাউ ও মেথির
সকালেই কিনে নাও ।
উঠছে কমলা আপেল পেয়ারা
শীতদেশ হতে ক্রমে
জয়নগরের মোয়া এল ওই
খাওয়াদাওয়া যাবে জমে।
আহা নলেনের গুড় আসে ওই
পিঠে সাথে মোলাকাতে
জমে পার্বণ শীত রজনীর
নবান্ন ঘ্রাণ তাতে !
আলুখেত দেখো সেজেছে সবুজ
সরিষা কনক সাজে
ভরিয়েছে মাঠ ভরিয়েছে মন
রোদের কাঁকন বাজে !
আসে পরিযায়ী পাখিরা এখন
সাঁতরাগাছির ঝিলে
গজলডোবায় নামে ঝাঁকে ঝাকে
আরো কত খালে বিলে।
বনভোজনের বাহানায় যারা
বেরিয়েছে কাছে দূরে
ডেকেছে প্রকৃতি আসলে তাদের
হৃদয় বেজেছে সুরে !
ফুলে ফুলে আজ ছেয়েছে বাগিচা
নয়নাভিরাম সাজে
আমন্ত্রণের বিনীত হাসিটি
দেখি যে তাদের মাঝে।
চলো ঘুরে দেখি প্রজাপতি কত
রঙ চুরি করে ওড়ে
ফুলেদের সাথে মিতালি ওদের
কেমনে উঠেছে গড়ে !
মেলায় যাবেনা হয় নাকি সেটা
মেলা দেয় হাতছানি
বইমেলা জমে এই শীতে বেশ
চলো বই কিনে আনি ।
নিজেদের নিয়ে নিজেরা আমরা
বড়ই ব্যস্ত থাকি
শীতের যে মজা সব মানুষেই
এমন পায় সে তা কি ?
কুঁড়েঘরে থাকে জোটেনা পোশাক
হতদরিদ্র যারা
থাকে ফুটপাতে আকাশের নীচে
শীতক্লেশ বোঝে তারা।
উষ্ণতা দিয়ো সুজন তাদের
শীত প্রশমণ করো
আনন্দ যাবে বেড়ে শতগুণ
প্রাণে খুশি করো জড়ো ।
...................................
কান্তিলাল দাস
কিসমত অপূর্বপুর (বেলতলা লেন)
ডাক : সিঙ্গুর
জেলা : হুগলি
ডাক-সূচক : ৭১২ ৪০৯
দূরভাষ : ৮৭৭৭৬৩৯৭৭০
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন