Featured Post

নবপ্রভাত পত্রিকার ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে গ্রন্থ-প্রকাশ : ১। সম্পূর্ণ পত্রিকার খরচে ও ২। পত্রিকার অনুদানে

ছবি
  নবপ্রভাত পত্রিকার ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে  গ্রন্থ-প্রকাশ বিষয়ক বিজ্ঞপ্তি ১। সম্পূর্ণ পত্রিকার খরচে এক ফর্মার ১০টি পুস্তিকা : এই প্রকল্পে লেখক-কবিদের থেকে কোনো খরচ নেওয়া হবে না।        পত্রিকার ৩০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে বইগুলি প্রকাশিত হবে। লেখক/কবিকে সশ্রদ্ধায় সৌজন্য সংখ্যা দেওয়া হবে।       যাঁদের আগে কোন বই হয়নি , তাঁরা অগ্রাধিকার পাবেন। নতুনদের উপযুক্ত লেখা না পেলে বাকিদের লেখা নিয়ে লক্ষ্যমাত্রা পূরিত হবে।       লেখা সকলেই পাঠাতে পারেন। মেলবডিতে টাইপ করে বা word ফাইলে ।   ই-মেল : nabapravat30@gmail.com  (এবং হোয়াটসঅ্যাপেও)। বইয়ের শিরোনামসহ ১৫টি কবিতা বা ১৫টি অণুগল্প পাঠাতে হবে , শব্দ সংখ্যা বা লাইন সংখ্যার বাঁধন নেই । মনোনীত হলে মানানসই বইয়ের ফরম্যাটে যে কটি যাবে রাখা হবে ।       সঙ্গে লেখক পরিচিতি , ঠিকানা , যোগাযোগের ( কল ও হোয়াটসঅ্যাপ )   নম্বর ও এক কপি ছবি দেবেন। লেখক পরিচিতিতে অবশ্যই জানাবেন, এটি আপনার প্রথম প্রকাশিত বই হবে অথবা পূর্ব প্রকাশিত গ্রন্থতালিকা। অনলাইন বা মুদ্রিত পত্রিকা বা সমাজ - মাধ্যমে প্রকাশিত লেখাও পাঠানো যাবে । তবে কোনও গ্রন্থভুক্ত লেখা

প্রবন্ধ ।। স্বাধীনতা আন্দোলনে রাসবিহারী বসুর অবদান ।। শ্যামল হুদাতী


স্বাধীনতা আন্দোলনে রাসবিহারী বসুর অবদান 

শ্যামল হুদাতী 



রাসবিহারী বসু ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (আজাদ হিন্দ ফৌজ নামেও পরিচিত) গঠন করেন। জাপানে সোমা নামে এক পরিবার তাকে আশ্রয় দেয়। ওই পরিবারেরই তোশিকা সোমাকে তিনি বিবাহ করেন। রাসবিহারী বসুকে জাপান সরকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান 'সেকেন্ড অর্ডার অব দি মেরিট অব দি রাইজিং সান' খেতাবে ভূষিত করে।

 পূর্ব্ব এশিয়ায় ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন সংগঠনে প্রথম অবস্থায় তিনিই এ আন্দোলন পরিচালনা করেছিলেন।

 পাঞ্জাবে  স্বাধীনতা বিপ্লবের প্রথম নেতৃত্ব দেন দেরাদুন বনবিভাগের হেডক্লার্ক রাসবিহারী বসু । ১৯১৪ সালের ২৭শে ডিসেম্বব লর্ড হার্ডিংজ্ যখন দিল্লী নগরীতে শোভাযাত্রা করে প্রবেশ করছিলেন তখন তাঁহারই নেতৃত্বে যে বোমা মারা হয়েছিল তাতে বড়লাট ও তাঁহার পত্নী আহত হন এবং কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছিল । লেডী হার্ডিংজ্ বোমার শব্দে আঘাত পান এবং পরে মারা যান।

 ১৯১৪ সালে কলিকাতা রাজাবাজার বোমার আখড়া আবিষ্কারের ফলে সেখানকার কাগজপত্রে সরকার জানতে পারলেন যে, দিল্লীর এই ঘটনা রাসবিহারী ও তাঁহার দলবলেরই কীর্ত্তি। ১৯১৪ সালে সরকার এই সব নথিপত্র থেকে সংগৃহীত তথ্যাবলীর দ্বারা দিল্লী ষড়যন্ত্রের মামলা খাড়া করল।  তাঁহার সহকর্মীদের অনেকে ধরা পড়ল এবং অনেকের ফাঁসি হয়েছিল। রাসবিহারীকে গ্রেপ্তারের জন্য বারো হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয় এবং ভারতে সর্ব্বত্র তাঁহার ছবি প্রচার করা হয়। এত চেষ্টা সত্ত্বেও তিনি পুলিস ও গোয়েন্দাদের চোখে ধূল দিয়ে বাংলার ও পাঞ্জারের মধ্যে বিপ্লবসূত্র গ্রথিত করবার প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন।

 ১৯১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে বিষ্ণুগণেশ পিংলে নামক জনৈক মারাঠা যুবক অনেকদিন আমেরিকায় বাস করার পর স্বদেশে এসেছিলেন। তিনি আমেরিকায় 'গদর' ও অন্যান্য বিপ্লব-প্রতিষ্ঠানের সাথে বিশেষভাবে যুক্ত ছিলেন। তিনি ভারতে বিপ্লব জাগরণে সহায়তা করার জন্য  এসেছিলেন এবং বাঙ্গালী বিপ্লবীদের সাথে মিলিত হন। রাসবিহারীর সাথে সাক্ষাৎ করে বিপ্লব-ভাবাপন্ন লোকদের একত্র করে দেশকে কি প্রকারে স্বাধীন করা যায় সে সম্বন্ধে নানা পরামর্শ করলেন। রাসবিহারীর অত্যদ্ভূত সংগঠন শক্তি ছিল। তিনি পিংলে, মোহন সিং, কর্তার সিং, শচীন্দ্রনাথ প্রভৃতি বিপ্লবীগণের সাহায্যে দেশীয় সৈনিকদের মধ্যে বিদ্রোহ সৃষ্টি করার আয়োজন করলেন, কয়েকটি স্থানের সৈনিকেরা রাজী হয়েছিল। স্থির হল ১৯১৫ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারী বিদ্রোহ হবে। কিন্তু ইতিমধ্যে কৃপাল সিং নামক একজন বিশ্বাসঘাতক পুলিসের নিকট সব বলে দেয়। সরকার তখনই ব্রিটিশ সৈন্য এনে বারুদঘরে ও তোপখানায় বিশেষ পাহারার ব্যবস্থা করে সতর্ক হয়েছিল। সরকারের ভাবগতিক ও আয়োজন দেখে সৈনিকেরা ভয় পেল।

 চারদিকে খানাতল্লাস ধরপাকড় চলল। রাসবিহারীর এক বাড়িতে অনেক রিভলবার, গুলী, বোমা প্রভৃতি আবিষ্কৃত হল, কিন্তু সে-বারও পুলিস রাসবিহারীকে ধরতে পারল না। কয়েকদিন পরে মিরাটের এক কেল্লার মধ্যে পিংলে কতকগুলি বোমা সমেত ধরা পড়েন। সরকারী মতে বোমাগুলো এমন উপাদানে গঠিত যে, সেগুলো অনায়াসে অর্ধেক রেজিমেণ্ট উড়িয়ে দিতে পারত। বিচারে পিংলের ফাঁসী হল। তারপর ব্যাপক ভাবে খানাতল্লাস করে সরকার পক্ষ লাহোর ষড়যন্ত্রের মামলা আরম্ভ করলেন। এই সময় ভারতীয় বিপ্লববাদীদের বিপ্লবের ঐকান্তিক চেষ্টার ইতিহাস প্রকাশিত হল।

 বিপ্লবীদের সাথে আমেরিকাবাসী গদরের ঘনিষ্ঠ যোগ, আমেরিকার জার্মাণ কন্সাল ও গুপ্তচরদের থেকে সাহায্য গ্রহণের আয়োজন, বাংলার বিপ্লবীদের সাথে যুক্ত হয়ে সেখান থেকে বোমা ও অন্যান্য বিস্ফোরক আমদানী, ডাকাতি ও হত্যা প্রভৃতি বিপ্লবী কাজ জনসাধারণ জানতে পারল। বিচারে কয়েকজনের ফাঁসী ও কয়েকজন মুক্তি পেলেন। অবশিষ্ট কর্ম্মীদের কারাদণ্ড হল। কয়েক জনের দ্বীপান্তরও হয়েছিল; তারমধ্যে ভাই পরমানন্দের নাম উল্লেখযোগ্য। ব্রিটিশ সরকার ভারতরক্ষা আইনের সাহায্যে ১৬৮ জন পাঞ্জাবীকে বিপ্লবী সন্দেহে, ও Ingress Ordinance বিধি অনুসারে ৩৩১ জন লোককে অ্যারেস্ট করা হয়েছিল । প্রত্যাগত শিখদের মধ্যে ২,৫৭৬ জনকে নিজ নিজ গ্রামে নজরবন্দী রাখা হয়।

 লাহোর ষড়যন্ত্রে অনেক উচ্চ শিক্ষিত লোক ছিলেন। তাঁহারা সকলেই মৃত্যু বরণ করলেন অথবা কারাপ্রাচীরের অন্তরালে মৃত্যুর প্রতীক্ষায় দিন গণনা করতে লাগলেন। এই ঘটনার পর সশস্ত্র বিপ্লবের শেষ আশা নষ্ট হল। এই সকল রাজনৈতিক বিপ্লব দমনকল্পে শিখ সর্দ্দারগণ, পাঞ্জাবী জমিদার ও প্রধান ব্যক্তিগণ সরকারকে বিশেষভাবে সাহায্য করেছিলেন। তাঁহাদের সাহায্য ব্যতীত শুধু পুলিসের পক্ষে এরূপ ভাবে কাজ করা সম্ভব হত কি না সন্দেহ।

 রাসবিহারী লাহোরে বিদ্রোহ জাগরণে অসমর্থ হয়ে ১৯১৫ সালের ফেব্রুয়ারী মাসেই ছদ্মবেশে দেশত্যাগী হলেন। রাসবিহারীর নামে গ্রেপ্তারের পরোয়ানা ছিল।  সমস্ত বাধা অতিক্রম করে তিনি পুলিসকে ফাঁকি দিলেন। সেই সময় রবীন্দ্রনাথ জাপান যাচ্ছিলেন, রাসবিহারী P.N. Tagore নামে  ও রবীন্দ্রনাথের আত্মীয় বলে নিজের পরিচয় দিয়ে, তাঁহার পূর্বে জাপানে গিয়ে ব্যবস্থাদি করতে হবে এই অজুহাতে ছাড়পত্র প্রভৃতি নিয়ে চিরকালের জন্য দেশত্যাগী হলেন। রাসবিহারীর জাপান পৌঁছাবার এক মাস পরে বৃটিশ সরকার যখন বুঝলেন তিনি জাপানে আছেন, তখন জাপান সরকারকে বৃটিশ সরকার তাঁহাকে ভারতে পাঠাইয়া দেবার অনুরোধ করেন। জাপান সরকারও  রাজী হয়েছিল।

 সেই সময় একদিন রাসবিহারী জাপানী পোষাক পরে ছদ্মবেশে রাস্তায় বাহির হন। সেই রাত্রে বেশ তুষারপাত হয়েছিল। পথগুলি তখনও বরফে আবৃত ছিল। রাসবিহারী গলিপথ ধরে তদানীন্তন এক মামুলী মন্ত্রীর গৃহে উপস্থিত হন। মন্ত্রিকন্যা তাঁহাকে সাদর সম্ভাষণ করেন। তিনি মন্ত্রিকন্যার সাথে যখন চা-পান করছিলেন তখন জানতে পারলেন যে, দরজায় পুলিস দাঁড়িয়ে আছে। রাসবিহারী বুঝিলেন, এবার তাঁহাকে বুদ্ধি দিয়ে কাজ করতে হবে। তিনি ভাল করে জানতেন, যদি তিনি ধৃত হন তবে মৃত্যু সুনিশ্চিত।

পিছন দরজা দিয়ে তিনি মন্ত্রিকন্যার সাথে নিকটস্থ ঘেইসা বালিকাদের আড্ডায় গিয়ে তাহাদের পোষাক পরিধান করে এবং পরচুল লাগিয়ে ঘেইসা বেশে থাকতে লাগিলেন। তাঁহাকে ছয় মাস কাল জাপানী পুলিস খুঁজে পায়নি। 

 তিনি ঐ অঞ্চলের বিপ্লবীদের সংঘবদ্ধ করলেন এবং চীনদেশস্থ জার্ন্মাণদের তাঁহার অভিপ্রায় ব্যক্ত করলেন। সাংহাই-এর জার্ম্মাণ কন্সালের সাথে সাক্ষাৎ করে ভারতীয় বিপ্লবীদের কর্তব্য সম্বন্ধে অনেক পরামর্শ করলেন। ১৯১৫ সালের অক্টোবর মাসে সাংহাইতে একজন চীনার দ্বারা অনেকগুলি পিস্তল ও টোটা ভারতের বিপ্লবে সহায়তার জন্য প্রেরণ করেন। কিন্তু বৃটিশ পুলিস সন্ধান পেয়ে সব বাজেয়াপ্ত করে। বৃটিশ সরকারের অনুরোধক্রমে জাপ সরকার তাঁহাকে পাঁচদিনের মধ্যে সাংহাই ত্যাগ করিতে বাধ্য করেন। অতঃপর তিনি আট বৎসর আত্মগোপন করেছিলেন।

 এরপর তিনি জাপানে "ভারতীয় স্বাধীনতা লীগ" প্রতিষ্ঠা করে উহা পরিচালনা করেন। ভারতবর্ষ সম্বন্ধে তিনি জাপানী ভাষায় পাঁচখানা গ্রন্থ লিখেন এবং ডাঃ সাণ্ডারল্যাণ্ড লিখিত "ইণ্ডিয়া ইন বণ্ডেজ" পুস্তক জাপভাষায় অনুবাদ করেছিলেন। জাপ-ভাষায় তিনি একখানা সংবাদপত্র পরিচালনা করেছিলেন। উক্ত সংবাদপত্রে ভারত সম্পর্কে জাপ সংবাদপত্রসমূহেও বহু প্রবন্ধ লেখেন এবং জাপানীদের নিকট বহু বক্তৃতাও করেছেন। মহাযুদ্ধ আরম্ভ হইবার পূর্ব্বে টোকিওতে শিবমন্দির প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি অর্থসংগ্রহের কাজে ও করেন।

 ১৯৪২ সালের ১৫ই ফেব্রুযাবী সিঙ্গাপুরের পতন হয়। বৃটিশ সৈন্যগণ আগেই পালায়, কিন্তু ভারতীয় সৈন্যদলকে কিছু না জানিয়ে তাঁহাদের অনিশ্চিত ভাগ্যের উপর ফেলে রাখা হয়। ব্রিটিশ সমর-অধিনায়কগণের আদেশে সিঙ্গাপুরের সমস্ত ভারতীয় সৈন্য বিনাযুদ্ধে আত্মসমর্পণ করেন।

 এই সকল ভারতীয় সৈন্য ও প্রবাসী ভারতীয়গণকে যাহাতে জাপানীদের পক্ষে যুদ্ধে লাগাতে পারেন সেই হিসাবে মেজর ফুজিয়াবা নেতৃবৃন্দকে একটি সংঘ গঠন করতে বলেন। ইঁহারা ভারতের পূর্ণ স্বাধীনতাকে মূলমন্ত্ররূপে গ্রহণ করেছিলেন এবং জাপানের তাঁবেদার হিসাবে কাজ করতে অস্বীকার করেন। এরপর মার্চ্চ মাসের শেষে রাসবিহারীর সভাপতিত্বে টোকিওতে এক সম্মেলন হয়। এই সম্মেলনে কয়েকটি প্রস্তাবের মধ্যে একটিতে বলা হয়—পূর্ব্ব-এশিয়াপ্রবাসী ভারতীয়গণের পক্ষে স্বাধীনতা আন্দোলনের এটাই প্রকৃষ্ট সময়। এতদ্বারা গঠিত আজাদ হিন্দ ফৌজ কেবল সামরিক প্রয়োজনে জাপানের থেকে নৌবল ও বিমানবল প্রভৃতি চাইতে পারবে। ভারতবর্ষের ভবিষ্যৎ শাসনতন্ত্র রচনা করবার অধিকার একমাত্র ভারতীয় নেতৃবৃন্দেরই থাকবে এবং ভারতের জাতীয় কংগ্রেসই সেই অধিকারের মালিক।

 জুন মাসে ব্যাঙ্ককেও একটি প্রতিনিধি সম্মেলনে আজাদ হিন্দ আন্দোলনের মূল নীতি নির্ধারিত হয়। এই সম্মেলন হইতে গণতান্ত্রিক প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে আজাদ হিন্দ সংঘ গঠিত হয়। ইহার সভাপতি হন রাসবিহারী বসু। ভারতীয়গণের এই স্বাধীন প্রচেষ্টা জাপান কিছুতেই প্রীতির চোখে দেখতে পারেনি। বরঞ্চ সাম্রাজ্যবাদী জাপানের মনেও ভীতি ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছিল। পাছে সম্রাজ্যবাদের ক্ষতি হয় এই জন্য জাপান অচিরেই এই সংঘ-গঠিত সৈন্যবাহিনী ভেঙে দেয়।

 ১৯৪৩ সালের ২রা জুলাই সুভাষ চন্দ্র বোস সিঙ্গাপুরে পৌঁছেন। পুনরায় তিনি ২নং আজাদ হিন্দ ফৌজ সংগঠন করিবার নিমিত্ত ৪ঠা জুলাই এক সম্মেলন আহ্বান করেন। তাহাতে তিনি সভাপতি নির্বাচিত হন এবং সকল আন্দোলনের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এই সংঘ গঠিত পরিষদে রাসবিহারী বসু তাঁহার প্রধান পরামর্শদাতা ছিলেন।

 "রাজদ্রোহ কমিটি" সুপারিশ করেছিলেন যে, শ্রীযুক্ত বসু ভারতে প্রত্যাবর্ত্তন করামাত্র তাঁহাকে গ্রেপ্তার করতে হবে। তিনি বাস্তবিক নির্ব্বাসিতের জীবন যাপন করছিলেন। তাঁহার মৃত্যুতে একজন বিশিষ্ট ভারতীয় বিপ্লবীর জীবনের অবসান ঘটেছে।

----------------------

শ্যামল হুদাতী 
357/1/13/1, Prince Anwar Shah Road,
P.O. Jodhpur Park,
Kolkata - 700 068




মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় লেখা

প্রবন্ধ ।। লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা ।। শ্রীজিৎ জানা

মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা 2024 সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি

সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ : "ত্রয়ী কাব্য" -- সুনন্দ মন্ডল

কবিতা ।। বসন্তের কোকিল তুমি ।। বিচিত্র কুমার

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। 'স্বাধীনতা, স্বদেশ ও স্বকাল' বিষয়ক সংখ্যা ।। ভাদ্র ১৪৩১ আগস্ট ২০২৪

উৎসবের সৌন্দর্য: সেকালে ও একালে।। সৌরভ পুরকাইত

কোচবিহারের রাস উৎসব ও রাসমেলা: এক ঐতিহ্যবাহী অধ্যায় ।। পার্থ সারথি চক্রবর্তী

নবপ্রভাত পত্রিকার ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে গ্রন্থ-প্রকাশ : ১। সম্পূর্ণ পত্রিকার খরচে ও ২। পত্রিকার অনুদানে

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান