গাঁয়ের বধূ
কে দেব দাস
"দিঘী ভরা জল করে টলমল-
ভাদ্রের ভরা নদী করে কল কল"!
ঝিল ভরা লাল শালুক-
ষোড়শীর দৃষ্টি-লাজুক লাজুক!
ঝিঙেফুল কানের দুল -
নববধূর অশ্রুজলে ভাসে দুই কুল!
মায়ের আদর,
বাপের স্নেহ ভূলিতে সে নারে-
পতিগৃহে পরবাসে, যেন সে-ডুবিল সাগরে!
গাঁয়ের বধূরা চলে দলে বলে -
জল আনিতে যায় নদীর কূলে!
নদীর জল সুশীতল -
বধূরা সবে মিলে করে গোসল !
নববধূ পথ চলে ছন্দে-
দেখে তাঁর রূপ-ভরে মন আনন্দে!
জলভরা কলসী কাঁখে,
ফিরে তাকায় পথের বাঁকে!
পায়ে তার বাজে নূপুরের নিক্কন-
হৃদয়ে তার প্রতিধ্বনি-বাজে অনুক্ষণ!
হৃদয় দোলায় ছন্দে,
না জানি কি আনন্দে-
কতকাল তারে দেখিনি এই অলিন্দে!
কল্পনার জানালায় রোজ দেখি তারে-
সে বুঝি থাকে, মিশিগানের ওপারে!
মনে হয় দেখেছি কতবার তারে-
সে যেন পূর্ব জনমের প্রথমা প্রিয়া রে!
দৃষ্টি নন্দন তার ছবি-বুকে আঁকে নবীন কবি!
নৌকা করে টালমাটাল-
নদীর ঢেউ উথাল পাথাল।
বেলাশেষে ক্লান্ত মাঝি -
নোঙর ফেলার সময় হয়েছে বুঝি!
ঐ ডাকে দূরে-যেতে হবে সুদূরের পারে!
পথচেয়ে অভিমানী যামিনী-
ভাঙ্গাতে হবে মান তার, সে যে আমার কামিনী!
_________________________
কে দেব দাস
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন