আবাসভূমি থেকে বলছি
প্রচণ্ড পিপাসা, ফেলে যাওয়া তলানি বিসলেরি,ভয় থেকে জলটা মুখে তুলতে দিলনা । নামার সময় পাশের সিটের ব্যক্তি এগিয়ে দিলেন বোতলটা,পরীক্ষা করার ইচ্ছে হল(যেটা প্রায়শ হয়) ।
মেশানো ছিল কিছু,প্রাকৃতিক ছবি তুলবে, হঠাৎই তুলিতে মেঘ+--
চুরি গেছে সব!লোকটার কাছে কোনকিছু হয়ে ওঠা মানে ভালো থাকা । দশটা পাঁচটার ডিউটি শেষে বাজার করে বাড়ি ফেরা । তথাকথিত স্বপ্নঘোরের বাইরে উঠে বসা অথবা গাল দেওয়া । ইদানীং সে সুবিমল মিশ্র পড়ছে তাই এসিতে শোয়না,বেশিরভাগ সময় রামায়ণ চামারের মতো আচরণ করে । অদ্ভুত বিড়বিড় করা বন্ধ,রাস্তায় ছেড়া চটির মতো বাহা পরবের অপেক্ষা করে।
চিৎকার করে বলে, 'হে প্রভু,জমিদার মানুষ ৫০ টাকার ভাড়া বাড়িতেও থেকেছি, নোংরা কলঘর, ঝুড়ির নিচে রাখা মুরগির মতো জীবন,অলস শব্দ কারবারির ঘুম থেকে কোনভাবেই বেরতে পারছি না,আর তুমি বলছো চলে যেতে?'
এরপরে লোকটা খুঁজতে বেরবে তাকে,যে ওকে ভালবাসবে বলেছিল! একটা আস্তাবল, ৭২ এর আগের,কিছু শুকনো মুড়ি! কোথায় লুকিয়েছে দেশ! অথৈ জল,আর সে-,চুড়ান্ত অপরাধী নিচুস্তরের যিনি খাবার দিয়েছিলেন!-তারও জরিমানা, তাকে বাঁচিয়েছিল ইসলাম । ---এদের কারোরই আজ দেশ নেই!
হঠাৎ লোকটা চিৎকার করতে শুরু করে
হে প্রভু এতো প্রশ্ন করছো কেন!!
ভিতরের ঘড়িটা টিকটিক করছে,শিরায় নেমে এলো পর্দা,জড়িয়ে ধরলো সিল্ক অনুভূতির চাদর। মেঘ করেছে বৃষ্টি হবে,নইলে তোমাকেই উত্তর পদে যেতে হবে বাজার। থলি পূর্ণ হলে ফিরে এসো, অমীমাংসিত আমার পাণ্ডুলিপির রূপকার হে প্রভু অক্সিজেন কমছে ক্রমশ । অসমাপ্ত মাংসাশী তুমি,সিগারেট পোড়া দেখেছ!! আচারের জারে হাত রেখে তুমি কাল্পনিক শুয়ে থাকো, এদিকে আহত বধ্যভূমি জলমগ্ন হচ্ছে,সামনে পড়ে আছে প্রিয় আচরণ বমির মতন । প্রভু! বমি করেছো কখনো!! রক্তবমি!! কারফিউ হয় তোমার শহরে! অথবা কোনদিন নরক ছুঁয়ে মৃত বটগাছের গুড়ির বিপরীতে বসা সন্ন্যাস দেখেছ!! এতো প্রশ্ন করছো! বরাহ অবতারে তুমি কিকি খেতে! অথবা পাক ঘেঁটে কিকি পেয়েছিলে যদি বলে দিতে বুঝতে সুবিধে হতো,নিভন্ত দিন থেকে কেবলি শুকনো পাতায় আগুন দিও প্রভু, কারণ তুমি বৃষ্টি এনেছো ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন