পুরনো জীর্ণ মন্দিরে একসময় বহু লোকের সমাগম হত।
দুই পরিবার মুখোমুখি সারারাত জাগত,
সমস্ত গ্রাম ছাপিয়ে আস্ত মানুষ আনন্দের জোয়ার বইয়ে দেবে বলে বর্তমানে, অতীতের সমস্ত দুঃখ ভুলে ।
আমিও থাকতাম ভিড়ের মধ্যে শ্রীময়ী,
কিছু গানের কথা মাথার মধ্যে ঘুরপাক খেত ,
কেউ বোঝে না নারী হলেও হৃদয় যে নেচে ওঠে ,
কেউ বোঝে না আনন্দ ছাড়া তৃপ্ত হয় না মন ।
কতদিন আগের সে নীরব মন্দিরে এই ভাবে রব উঠত,
যেন জীর্ণ মন্দির জানে ,
সে রূপের বর্ণনা দিতে পারতো। দেয়নি, পরিবার দুটি পাছে কষ্ট পায়।
জমিদারবাড়ির মানুষজন তারা তো জানতেনই , গানগুলি আসলে ঠাকুরের জন্য, বড়বাবু তার রচয়িতা ।
ভিড়ের ভেতর বহু মানুষের মাঝে একটি মুখ
নীরব প্রেমিক হতে হতে ছায়া হয়ে গেছে ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন