ছোট হয়ে আসা তৃপ্ত বেলার টানে
গতিপথের পরিধির ভাগ কম,
দূরের ধান শীষে কুয়াশার সঙ্গম;
আনমনে দিক ভুলে গিয়ে —
এলোমেলো হাওয়া বিলি কাটে,
নাকি আলতো ছুঁয়ে মুচকি হাসে!
শীতের মাতাল আমন্ত্রণ ভাষ
এড়িয়ে যায় কার সাধ্যি?
রোদে-জলের ধুন্ধুমার পেরিয়ে
আলসেমিতে পাখা ঝাড়ে পাখি,
পাড়ি জমাতে চায় দেশান্তরে —
হিমের কাঁটা ছড়ানো পথের বাঁক
প্রবল হাতছানিতে শিখিয়ে দেয়
সংসারে একলা হওয়ার মজা।
শিশির ভেজা সবুজের মাথা —
পরিচয়ে যাকে কিনা অরণ্য বলে;
সে বুঝি অনুভবের ভেতরে নিহিত
মহান মৃত্যুর তুখোড় অভিনয়?
গ্রহ-নক্ষত্রের ওম বুকে নিয়ে
হয়তো আধোলাজে রাঙা হয় —
অথবা চকিতে হরিণীর মতো
বাঘের থাবাকে দুয়ো দিতে পারে,
অথবা পোশাকী নামে মরসুমি
বলে কত বাহারের গোপন ব্যথা।
পাপড়ির আড়মোড়া ভেঙে
অলির পরকীয়া সুরে মেতেই
গেয়ে ওঠে জীবনের জয়গান।
পুঁথিগত বিদ্যা সূত্র মেলাতে ব্যস্ত —
মনোময় অহঙ্কারে মেশানো সম্ভ্রম;
প্রতিহিংসারা নামান্তরে শক্তিশেল?
পরিণামে বাঁচা দীর্ঘ অভ্যাস
আলগোছে মাপে প্রকৃতির সখ্য!!
============
ঋষভ সরকার
পাইওনিয়ার পার্ক, লিচুতলা, বারাসাত, কোল ৭০০-১২৪
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন