google-site-verification=aFCzFTmuVjPqPlrdWXeJSj2r_EMig_cypLnlmiUQpw0 re ফিরোজ আখতারের অণুকথা - নবপ্রভাত মাসিক ব্লগ-সাহিত্যপত্র

Breaking

নবপ্রভাত মাসিক ব্লগ-সাহিত্যপত্র

NABAPRAVAT : A Monthly Bengali Literary Blogzine.

শুক্রবার, ১৭ মে, ২০১৯

ফিরোজ আখতারের অণুকথা




ভোটের প্রাপ্তি

.....................





ভোটেতে অনেক জ্বালা থাকা সত্ত্বেও বেশ কিছু প্রাপ্তি থাকে ৷ যত ভোটের অভিজ্ঞতা বাড়ে ততই এই প্রাপ্তি'র ভাণ্ডার পূর্ণ হতে থাকে ৷ নির্বাচন কমিশন একে দেশের সবথেকে বড়ো উৎসব হিসাবে বর্ণনা করেছেন । সত্যিই তাই ৷ উৎসবই বটে ৷ প্রতিটি ভোটে যেসব অভিজ্ঞতা হয় তা নিয়ে একটা উপন্যাসিকা রচনা হয়ে যায় ৷

ভোটকর্মীদের টিম ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ । সম্পূর্ণ অপরিচিত চার-পাঁচজনকে নিয়ে শুধুমাত্র দু'দিনের জন্য একটি টিম তৈরি হয় ৷ ভোটের একদিন আগে অর্থাৎ P1 দিনে DCRC তে উপস্থিত হতে হয় । তাঁরা দু'দিন একসঙ্গে থাকেন, একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করেন, কাজ করেন, মজা করেন, সুখদুঃখের গল্প করেন ৷ তারপর ভোট নিয়ে ফিরে আসে RC ( Receiving Centre ) তে । নির্দিষ্ট কাউন্টারে সবকিছু জমা দিয়ে রওনা দেন যে যার বাড়ি'র উদ্দেশ্য । পরে হয়তো আর কোনদিনই পরস্পরের সঙ্গে দেখা হয়না ।

কিছু কিছু জায়গা আছে অত্যন্ত দুর্গম ও অগম্য । সেখানে ভোট শুরুর দু'দিন আগে অর্থাৎ P2 দিনে রওনা হতে হয় ৷ ফিরতেও সময় লাগে দু'দিন । সব মিলিয়ে ৫ দিন ।

ভোটের বুথগুলি যদৃচ্ছভাবে বেছে দেওয়া হয় ৷ টিমও তৈরি হয় ও'ভাবেই ৷ তাই ভোটটা পুরোপুরি ভাগ্যের ব্যাপার । কেউ পড়েন DCRC থেকে অনেক দূরে আবার কেউবা পড়েন DCRC'র কাছে ৷ কারও বুথে ভোটারসংখ্যা হাজার-বারো'শ তো কারও বুথে ভোটারসংখ্যা চার থেকে ছ'শ ৷ যাঁদের বুথ পড়ে DCRC থেকে অনেক দূরে তাঁদের ভোটশেষে সবকিছু জমা দিয়ে বাড়ি ফিরতে অনেক রাত হয়ে যায় । কেউ কেউ রাতটুকু DCRC তেই কাটিয়ে দেন কোনরকমে ৷ ভোরে বাড়ি ফেরেন ৷ পঞ্চায়েত ভোটে যাঁদের বুথে ১০০০-১২০০ ভোটার থাকে, তাদের দুর্ভোগের সীমা থাকেনা ৷ রাত ১০টা-১১টা পর্যন্ত ভোট চলে ৷ তারপর সবকিছু জমা দিতে দিতে রাত ১টা-২টোও বেজে যায় ৷

ভোটে কারও কারও ডিউটি আসেনা ৷ অনেকে প্রভাবশালী কোন ব্যক্তি'র মাধ্যমে তাঁদের ডিউটি কাটিয়ে নেন ৷ অনেকের রিজার্ভ ডিউটি আসে ৷ যাঁদের রিজার্ভ ডিউটি আসে তাঁদের মধ্যে একটা শ্রেণি ভোটের আগেরদিন অর্থাৎ P1 দিনে গিয়ে আগেই ডিউটি নিয়ে নেন নিজে থেকেই ৷ কেউ কেউ হাজিরাখাতায় সই করে এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়ান ৷ তাঁদের নাম ধরে ডাকলেও কোন খোঁজ পাওয়া যায়না ৷ হঠাৎ করে সেক্টর অফিসারদের হাতে বেমক্কা ধরা পড়ে গেলে তখন অবশ্য জোর করে ট্যাগ করে দেত্তয়া হয় ।

এইভাবে প্রতি পাঁচ বছরে তিনবার ভোট আসে, ভোট যায় ৷ অভিজ্ঞতার ঝুলি পূর্ণ হতে থাকে ৷





পরিচিতি
...............

নাম - ফিরোজ আখতার
ঠিকানা - ১৮ই জায়গীর ঘাট রোড, ঠাকুরপুকুর, কোলকাতা - ৭০০০৬৩
চলভাষ - ৮৯৭২০২৪৫৪৫
ইমেল - firozzorif1979@rediffmail.com