google-site-verification=aFCzFTmuVjPqPlrdWXeJSj2r_EMig_cypLnlmiUQpw0 re আমার স্বাধীনতা দিবস উদযাপন ।। অঙ্কিতা পাল - নবপ্রভাত মাসিক ব্লগ-সাহিত্যপত্র

Breaking

নবপ্রভাত মাসিক ব্লগ-সাহিত্যপত্র

NABAPRAVAT : A Monthly Bengali Literary Blogzine.

বুধবার, ১৮ আগস্ট, ২০২১

আমার স্বাধীনতা দিবস উদযাপন ।। অঙ্কিতা পাল


ছোটবেলায় প্রাথমিক স্কুলে স্বাধীনতা দিবস পালন করা হতো। তখন হয়তো স্বাধীনতার মানে জানতাম না কিন্তু আজ বুঝি। স্কুলে দিদিমণিরা খেলার মাঠে একটা ত্রিবর্ণ রঞ্জিত পতাকা বাঁশের মাথায় লাগিয়ে তাতে গাঁদা ফুলের ও বিভিন্ন ছোট ছোট কাগজের পতাকা দিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখতেন দেখতে বড়ো ভাল লাগতো। কিছুক্ষণ পর স্কুলের বড়দিদি পতাকা উত্তোলন করতেন। আমরা প্রত্যেকেই সারিবদ্ধ ভাবে সুন্দর করে দাঁড়িয়ে থাকতাম। তিনি স্বাধীনতা দিবসের উপর সুন্দর করে একটি বক্তৃতা দিতেন। দিদিমনিরা আমাদের হাতে ছোট ছোট পতাকা হাতে তুলে দিয়ে লাইন করিয়ে দাঁড় করিয়ে দিতেন। তারপর আমাদের যাত্রা শুরু হতো কিছু পথ গিয়ে আমরা আবার স্কুলে ফিরতাম, সেখান থেকে ফিরে আমাদের মিষ্টিও লজেন্স  দেওয়া হতো। 

    যখন আমি হাই স্কুলে গেলাম, তখন ছোটবেলার প্রাথমিক স্কুলের থেকে এখানকার স্বাধীনতা দিবসের একটু পার্থক্য লক্ষ্য করলাম। সেখানকার পরিবেশ আর এখানকার পরিবেশের মধ্যে যেন বিস্তর ব্যবধান। হাই স্কুলের মাঠটিও সুন্দর করে পতাকা দিয়ে সাজানো থাকতো বড়ো পতাকাটি বাঁশের উপরে লাগানো থাকতো।  বাশেঁর সাথে সুন্দর সুন্দর গোলাপ ও গাঁদা ফুল দিয়ে সাজানো থাকতো, পতাকা ঠিক নিচে একটি কাঠের বেদী তৈরি করে সাদা কাপড় দিয়ে ঢেকে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ছবি বসানো হতো।  সেখানে বিভিন্ন মানুষের সমাগম ঘটতো। প্রথমে মাননীয় বিডিও সাহেব জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে স্বাধীনতা সম্পর্কে একটি বক্তৃতা রাখতেন। তারপর প্রধান শিক্ষিকা থেকে শুরু করে স্কুলের অন্যান্য শিক্ষিকারা একে একে এসে সেই মনীষীদের ছবিতে মাল্যদান করতেন।
রবি ঠাকুরের লেখা  - "জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে "  জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সুচনা হতো। তারপর বিভিন্ন দেশাত্মবোধক গানে, নিত্য গীতিতে ভরিয়ে রাখতো স্কুলের ছাত্রীগন। শিক্ষিকা দাও তাদের সাথে গলা মেলাতেন এবং কবিতা আবৃত্তি করতেন। আমার ও এই অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করতে পেরে খুব ভালো লাগতো। দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের লেখা - "ধনধান্যে পুষ্পে ভরা" সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি হতো ।
 
তারপর দুপুরবেলায় লুচি, আলুর দম, মিষ্টি, জিলিপি খাওয়ার বিশেষ আয়োজন ছিলো। সর্বোপরি স্বাধীনতা দিবসে প্রচন্ড আনন্দে প্রাণ ভরে যেতো। 
 
 =====================
 
অঙ্কিতা পাল 
ভাঙ্গড় দক্ষিণ ২৪ পরগনা

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন