বুকভর্তি পাঁজরের কপাটে রক্ত জমাট...
শিকলে বেঁধেছে দেশ মাতৃকাকে নপুংসকেরা
ওই অমানবিক নির্যাতনকারী মানব মৃত্যুদূত
অন্ধকার কারাগারেও বন্দীনীর নিষ্পাপ আলো
নিদ্রাহীন বিষন্ন তনুর কাতর যন্ত্রণা,
দেশ মাতৃকার নির্বাক চিৎকার স্বাধীনতা দাও স্বাধীনতা।
রাজা রাজতন্ত্র নেই ,এখন শুধুই গণতান্ত্রিক লড়াই
যুদ্ধ সমাপ্ত হয়েছে অনেক যুগ আগেই
একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে দেশ এখনো পরাজিত- পরাধীনতার গ্লানি মেখে।
মায়ের চিৎকার কেউ শুনছে,অনেকে শুনেও
ইচ্ছাকৃত নিজেকে করছে বধির,
যারা শুনছে তারাই আবার বিপ্লবের গায়ে আঁকছে রক্ত বিন্দু
বিদ্রোহী সুরে গাইছে বন্দেমাতরম্ ।
নেতা-মন্ত্রী সাংবাদিক নিজেদের মিডিয়ায় বিজ্ঞাপনের প্রচারে ব্যস্ত,
মাস্ক মুখোশে নিজেদের মনুষ্যত্বে ধরেছে ছদ্মবেশ!
অরাজকতা-অমানবিক, শৃঙ্খল হীনতায় দেশ কাতর।
শ্রমিকরা কর্মহীন, কৃষকরা নোনা ঘামে স্নাত উপোষী পেট,
যুবকের বেকারত্বের জ্বালা ,পথের শিশু মাতৃদুগ্ধ হারা, ধর্ষিতারা কামুক প্রেমের শিকার...
ধর্ষকের শাস্তি নেই , ক্ষুধার্ত মানুষের ভীড় অলিতে গলিতে । এটাই কি স্বাধীনতা তবে?
এক্সিলেটরের মতো রাজনৈতিক দল উপরে উঠছে
নেতা-নেত্রীর ভাষণ, মিছিল ,সমাবেশ
কিন্তু বন্দিনী দেশ মাতৃকার রক্ত ক্ষরণে ভ্রূক্ষেপ নেই , হারিয়ে যাচ্ছে মায়া মমতা ,স্নেহ ভালোবাসা।
কেউ আওয়াজ তুলছে না,সবাই নির্বাক বোবা হয়ে
ফ্যাকাশে চোখে দিন গুনছে,
সৈন্যদল শুধু পাহাড়া দিচ্ছে সীমানা....
বন্দিনী দেশ মাতৃকা বোবা কান্নায় চিৎকার করে বলছে এইতো তোমাদের স্বাধীনতা প্রাপ্তির ৭৪ বছর।
-------------------
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন