মন্দাবস্থা! অর্থনীতির বেসুরো স্তনন। স্মের জনজীবন টলোমলো। কর্মনাশা অবস্থা মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমিয়ে এনেছে স্যন্দিত দুঃখ জীবন ধারণে। ফলে বাজারে কার্যকর চাহিদার অভাব।তাই জোগানও কম হতে থাকে যা উৎপাদনকে বন্ধের দিকে ঠেলে দেয় স্থায়ীভাবে। পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরা। কর্ম সংস্থানের অভাবে সরাসরি ধাক্কা জীবনধারণে।সৌমনস্যবিমুখ ক্রন্দনজড়িমা !আয়হীনতার দুষ্টচক্রে স্বাভাবিক জীবন অসহায়ভাবে বাহ্যিক সাহায্য প্রার্থী। সরকারি সাহায্যে বাঁচিয়ে রাখা জীবনের লাবডুব। জীবনের স্বপ্নজড়িমা এক ধাক্কায় পথে।কাজ হারিয়ে ঘরে ফেরা মানুষগুলো গৃহবন্দী। অন্তরীন কর্মহীন। দুমুঠো ভাতের গন্ধ চায় অভিলাষী জীবন। শিশুর ক্রন্দন শুধু সময় থমকে দাঁড়িয়ে শোনে।
চুম্বকে এই হলো মহামারীতে অর্থনীতি ও জনজীবনের কথা। তাই স্বাধীনতার মূল সুর আজ বেসুরো জ্যান্ত ক্ষুধার কাছে।"দো গজ দূরী/মাস্ক হ্যায় জরুরী" কেড়ে নিয়েছে জনজীবনের স্বাভাবিক প্রাণ চঞ্চলতা।আর এখানেই মুখ ভার করে বসে স্বাধীনতা।কৃষিকাজ থমকে।পরিবহন অনেকাংশে বন্ধ। "বন্দে মাতরম্" বড়ো ফিকে তাই আজ দিনগত পাপক্ষয়ে আটকে থাকা জনজীবনে।
পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী যা মুদ্রাস্ফীতির দ্যোতক। কারখানা কার্যকর চাহিদার অভাবে উৎপাদন বন্ধের বিন্দুতে। শূণ্য কারখানায় শুধু শ্রমিকের ক্রন্দনেরা পরিণদ্ধ।পরিভৃতি শূণ্যতা। জীবন বোধ যেখানে কানাগলিতে আছড়ে পড়ছে, সেখানে "সারে জাঁহাসে আচ্ছা" মনের কোণে আর ঝড় তোলে না উড়তে থাকা পতাকা চোখের তারায় আয়না ধরলে।
নকডাউনের অর্থনীতিতে স্বাধীনতা চিন্তামগ্ন দাঁড়িয়ে থাকে আগুনখেকো সময়ে। তার চিন্তার ভাঁজ কপালে।গতাসু জীবনকে স্বাভাবিকতার ছন্দে আনতে হবে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে হবে। শুধু সরকারি অনুদানে তা কার্যত অসম্ভব। মহামারীতে ভেঙ্গে পড়া অর্থনীতির হাত ধরে দাঁড়িয়ে দিশাহীন স্বাধীনতা একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকে রাতের আকাশে জ্বলতে থাকা শুকতারার দিকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন