Featured Post
আমার চোখে স্বাধীনতা দিবস ।। দীপঙ্কর বেরা
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
অন্য দিনের তুলনায় এই দিনে আমি একটা নিজস্ব মাত্রা পাই। স্কুল জীবনে এই দিনে আমি প্রথম প্রার্থনা হলে সবার সামনে 'চিত্ত যেথা ভয় উচ্চ যেথা শির' আবৃত্তি করার সুযোগ পাই। সেদিন স্বাধীনতা কি অতটা বুঝতে না পারলেও বুকে একটা আলাদা অনুভূতি টের পাই। স্কুলে আমার কিছুটা হলেও মর্যাদা বেড়ে যায়। বাড়িতেও আমি একটা নিজস্ব খুঁজে পাই। এ তো গেল সেদিনকার স্বাধীন অনুভূতি।
আমাদের মত নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে দুবেলা দুমুঠো খাওয়ার যোগাড়ে যেখানে সারাদিন কেটে যায় সেখানে কি স্বাধীনতা, কোথায় স্বাধীনতা, কেন স্বাধীনতা এসব ভাবার অবকাশ থাকে না। দু চার দানা খাওয়ার পেলেই টান টান হয়ে যেখানে হোক শোয়া আর ঘুম। ব্যাস, আর কিছু চাই না। তার মাঝে আমি দেখেছি বাবা মা দাদা দিদি পাড়া প্রতিবেশী সবার কাছে আমি আমার সীমানায় যা চেয়েছি পেয়েছি, যা দিতে চেয়েছি তাও পেরেছি, যা অর্জন করার মত হওয়া উচিত তাও হয়েছি। সেই তো আমার স্বাধীনতা।
যদি নিজের ইচ্ছে, নিজের চাহিদার মাপকাঠি তৈরি করতে পারি তাহলে কোন কিছুই পাওয়া দেওয়া বা ভাগ করার ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা হয় না।
কিন্তু আমরা কি করি? আরো চাই আর আরো চাই। এই আরও চাওয়ার মাঝে নিজের চাওয়া হারিয়ে যায়। ফলে ভেতর থেকে একটা পরাধীন ভাবনা, অন্যকে দমিয়ে নিজের চরিত্রের অবমূল্যায়ন লাগামছাড়া হয়ে ওঠে। যার ফলে জীবনের দৃষ্টি বদলে যায়। স্বাধীন ভাবনায় দাসত্ব চলে আসে।
স্বাধীনতা পালনে কুচকাওয়াজ স্যালুট পতাকা উত্তোলন জাতীয় সংগীত মিষ্টি বিতরণ ভাষণ ইত্যাদি আমাদের মত সাধারণের কাছে ঘরোয়া অনুষ্ঠানে হাজিরাতেই সীমাবদ্ধ। এছাড়া আর কিছুটি আমরা বুঝতে পারি না। পাওয়াও হয় না। দেশ জুড়ে উদযাপন আমাদের কি দেয় কতটুকু দেয় খুব একটা ভাবি না। সেখানে কিছু ভাল কথা শোনা, বলিদান বর্ণনা ইত্যাদি হয়। যা বেশিরভাগ শুধুই কথার কথা। তারপরে যে যার নিজের কাজে, নিজের অবস্থানে। তারপরের দিনগুলো একই আকাঙ্ক্ষায় একই ভাবনার জীবনযাত্রা।
আমার চোখে স্বাধীনতা আমাকে আমার মত স্বাধীন হতে শেখায়। নিজের আয়নায় দেশের জন্য দশের জন্য এগিয়ে চলা শেখায়। সন্তুষ্টি আমার মেরুদণ্ডে জাগ্রত। তাই স্বাধীন আমি উচ্চ শির। জয় হিন্দ।
=======০০০=======
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন