Featured Post

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। নবপ্রভাত ৮৫ ।। চৈত্র ১৪৩১ মার্চ ২০২৫

ছবি
  সূচিপত্র নিবন্ধ ।। মরিয়ম মির্জাখানি: এক অনন্য গণিতসূর্য ।। ... নিবন্ধ ।। নারী দিবসে যা ভাবা উচিত ।। বিশ্বনাথ পাল প্রবন্ধ ।। প্রাচীনকাল থেকে নারীরা অবহেলিত, বঞ্চিত,... নিবন্ধ ।। আমার চোখে আদর্শ নারী ।। জয়শ্রী বন্দ্... ফিচার।। এই মুহূর্তে বাংলা সাহিত্যে নারীদের লেখালেখ... আফ্রিকার লোককথা ।। করোটিকে বিয়ে করা অবাধ্য মেয়েটি ... ছোটগল্প ।। মানবী ।। ভুবনেশ্বর মন্ডল নিবন্ধ ।। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অন্যতম নারী মু... নিবন্ধ ।। প্রিয় মহিলা সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবী ।। ... গল্প ।। উই ওয়ান্ট জাস্টিস ।। রবীন বসু প্রবন্ধ ।। নিপীড়িতা ।। শ্যামল হুদাতী ফিচার ।। রমণী রতন ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত প্রবন্ধ ।। নারী সমাজ : তখন-এখন ।। তপন মাইতি নিবন্ধ ।। বহমান কালের ধারায় নারী ।। দীপক পাল গল্প ।। আমার দুর্গা ।। অঞ্জনা গোড়িয়া (সাউ) গল্প ।। যোগ্য জবাব ।। সমীর কুমার দত্ত ছোটগল্প ।। আমি দুর্গাকে দেখেছি।। চন্দন দাশগুপ্ত গল্প ।। সম্পর্ক ।। গৌতম সমাজদার কবিতা।। নারী মানে ।। গোবিন্দ মোদক কবিতা।। নারী ।। সমর আচার্য্য ছড়া ।। নারী অসামান্যা ।। সৌমিত্র মজুমদার কবিতা ।। নারী দিবসে ।। বিবেকানন্দ নস্কর কবিতা ।। না...

নিবন্ধ ।। আপসহীন যোদ্ধা ।। শেফালি সর



আপসহীন যোদ্ধা

শেফালি সর

 উনিশ শতকের বাংলার আকাশ বাতাস কে চাপা হাহাকারে পরিব্যপ্ত করে তুলেছিল কম বয়সী বিধবা দের রোদন ভরা বসন্তের চিৎকার। বহু বাঙালি লেখক  এ বিষয়ে সাহিত্য কর্ম সম্পাদনা করেছেন। কিন্তু এক একটি আন্দোলনের চেহারা দিয়ে ব্রিটিশ সরকারকে আইন প্রণয়ন করতে বাধ্য করেছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। তাঁর ই ঐকান্তিক আন্দোলনের ফলে দি হিন্দু উইডোজ রিম্যারেজ Act ১৮৫৬ সালে পাশ হয়েছিল ১৬ ই জুলাই।

      বিদ্যাসাগর বুঝিয়েছিলেন বিধবা বিবাহ শাস্ত্রসম্মত.। বিধবা বিবাহ প্রচলিত হওয়া উচিত কিনা- এ বিষয়ে প্রস্তাব প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রক্ষণশীল হিন্দু সমাজ বিদ্যাসাগরের বিরুদ্ধে রে রে করে ওঠে। ব্রজনাথ তর্করত্ন,  কাশীনাথ তর্কালঙ্কার, রামতনু      তর্ক সিদ্ধান্ত, গঙ্গাধর কবি রাজ, দীনবন্ধু ন্যায় রত্ন, রাম দয়াল তর্করত্ন ও হারাধন কবিরাজ প্রমুখ ব্যক্তিগণ তীব্র নিন্দায় বিদ্যাসাগরের বিরুদ্ধে মুখর হয়ে ওঠেন। কিন্তু তিনি পিছুপা হননি।

১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি বিধবা বিবাহ প্রচলিত হওয়া উচিত কিনা - এ বিষয়ে দ্বিতীয় প্রস্তাব রচনা করে মানবিক জাগরনের পথ প্রশস্ত করেন. তারপর মদনমোহন তর্কালঙ্কারের সাহচর্যে সংস্কৃতযন্ত্র নামক ছাপাখানা প্রতিষ্ঠিত করে নবজাগরণের পথ প্রশস্ত করেন!

 এভাবেই তিনি মুদ্রণ শিল্পের জন্ম দিয়েছিলেন. তিনিই প্রথম বাংলা ভাষায় - কমা, সেমিকোলন, হাইফেন  প্রভৃতি যতি চিহ্ন এর সুচারু প্রয়োগ শুরু করেছিলেন. ঠিক এমনিভাবে নারী শিক্ষা প্রসারের  জন্য অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন. বুঝেছিলেন ভারতের সর্বাঙ্গীন বিকাশ ঘটাতে গেলে মা বোনেদের শিক্ষার আলোয় আনতে হবে. এসবের জন্য  তিনি তার সাধ্যমত লড়াই করেছেন। শেষে সফল হয়েছিলেন ১৮৫০ খ্রিস্টাব্দের মে মাসে - সহকর্মী বেথুন সাহেবের সাহায্যে মেয়েদের শিক্ষার জন্য অবৈতনিক স্কুল স্থাপন করেন, যার নাম ছিল বেথুন স্কুল। এই আপসহীন সংগ্রামী মানুষটি জীবনের অনেক দুঃখ কষ্টের সঙ্গে লড়াই করেছিলেন। বিদ্যাসাগরের সমাজ সংস্কার, নারী শিক্ষা বিস্তারের জন্য আপসহীন সংগ্রাম, অগাধ পাণ্ডিত্য  ও মাতৃভক্তি ইত্যাদি কোন কিছু পরিমাপ করার জন্য মাপকাঠি আমাদের হাতে নেই। তিনি বাঙালির মনে  একজন আপস হীন যোদ্ধা হিসাবে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

----------------:-------------------

                     শেফালি সর

                       জানাদাড়ি

                       গোপীনাথপুর

                       পূর্ব মেদিনীপুর

                           ৭২১৬৩৩

                              -----

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় লেখা

প্রবন্ধ ।। লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা ।। শ্রীজিৎ জানা

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

প্রচ্ছদ।। ৮৩তম সংখ্যা ।। মাঘ ১৪৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ।। প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮১তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩১ নভেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮৪তম সংখ্যা ।। ফাল্গুন ১৪৩১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮২তম সংখ্যা ।। পৌষ ১৪৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৭৯তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮০তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩১ অক্টোবর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। নবপ্রভাত ৮৫ ।। চৈত্র ১৪৩১ মার্চ ২০২৫

সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ : "ত্রয়ী কাব্য" -- সুনন্দ মন্ডল