তরাস
চন্দন মিত্র
ভোট শেষ হয়েছে। গণনাও শেষ। গতকাল ফলাফল ঘোষিত হয়েছে। স্কুল-কলেজ-অফিস-কাছারি যথারীতি খুলে গেছে। ট্রেন থেকে নেমে অটো-ড্রাইভারের বামপাশের সিটে বসে প্রতিদিনের মতো বাঁদিকের দৃশ্য দেখতে দেখতে যাচ্ছি। একজন যাত্রী হাত দেখালে গাড়ি থেমে যায়। ছাড়ার আগেই এক বন্ধ দোকানের দরজায় একটি নিরুদ্দিষ্ট বিজ্ঞাপনে চোখ পড়ে— একটি কিশোরীর ছবি। কিছুক্ষণ পরে আবারও গাড়ি থামে এক যুবক নেমে যায়। সেই ফাঁকে আমার চোখ টেনে নেয় ল্যাম্পপোস্টে সাঁটানো আর একটি নিরুদ্দিষ্ট বিজ্ঞাপন; পাশাপাশি একটি বালক ও একটি যুবকের ছবি। অফিসের স্টপেজে নেমে পড়লাম। যে দোকানে প্রতিদিন চা খাই, সেই দোকানের দেয়ালেও দেখি এক দম্পতির ছবি সম্বলিত একটি বিজ্ঞাপন। সব বিজ্ঞাপনগুলি বেশ স্পষ্ট ঝকঝকে সম্ভবত গতকাল সন্ধ্যায় অথবা আজ সকালে সাঁটানো হয়েছে। পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশের নাগরিক আমি, চা হাতে নিয়ে একটি সিগারেট ধরিয়ে ফেলি। যতদূর মনে পড়ে বিগত বছর দশেক আমি সিগারেট ছুঁইনি।
================
চন্দন মিত্র
ভগবানপুর (হরিণডাঙা)
ডায়মন্ড হারবার, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন