অনুতাপ
মিঠুন মুখার্জী
রজনী ও ব্রাত্যর পনের বছরের বিবাহিত জীবন একটা ভুল বোঝাবুঝিতে ইতি হয়ে যায়। সাত পাকে বাঁধা পড়ার দিন অগ্নিকে সাক্ষী রেখে দুজন দুজনকে যে কথা দিয়েছিলেন, তা মুহূর্তে মূল্যহীন হয়ে যায়। ব্রাত্য বলেছিলেন---"এই জীবন তোমার। যতদিন থাকবো অন্য কারো প্রবেশ নিষিদ্ধ।" কিন্তু সেই ব্রাত্যই সন্দেহের সূত্রপাত ঘটিয়েছিলেন। দশ বছরের অদ্বিতীয়া বাবা-মার সম্পর্কের ভাঙ্গনে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছিল। মার কাছে থাকলেও বাবার ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হয় সে। একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করে মেয়ে অদ্বিতীয়াকে মানুষ করেছিলেন রজনী। অদ্বিতীয়ার যখন আঠারো বছর বয়স, তখন একদিন হার্ট অ্যাটাকে ব্রাত্য দে মারা যান। বাবার মৃত্যুতে ভীষণ কষ্ট পেয়েছিল অদ্বিতীয়া। চোখের জলে বাবাকে শেষ দেখা দেখেছিল। রজনীর কষ্ট হলেও ঘৃণায় তা প্রকাশ পায়নি। ব্রাত্য চলে যাওয়ার পাঁচ বছর পর মিথ্যা সন্দেহের রহস্য উন্মোচিত হয়। রজনী জানতে পারেন, তার থেকে ব্রাত্যকে আলাদা করার এটা একটা চক্রান্ত ছিল। ব্রাত্য নির্দোষ। এই কাজ করেছিলেন ব্রাত্যের বৌদি। রজনী আজ খুবই অনুতপ্ত। কিন্তু সময় থেমে থাকে না।
==================
মিঠুন মুখার্জী
গ্ৰাম : নবজীবন পল্লী
পোস্ট+থানা -- গোবরডাঙা
জেলা -- উত্তর ২৪ পরগণা
পিন-- 743252
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন