google-site-verification=aFCzFTmuVjPqPlrdWXeJSj2r_EMig_cypLnlmiUQpw0 re মায়াপুর ভ্রমণ ।। পিন্টু কর্মকার - নবপ্রভাত মাসিক ব্লগ-সাহিত্যপত্র

Breaking

নবপ্রভাত মাসিক ব্লগ-সাহিত্যপত্র

NABAPRAVAT : A Monthly Bengali Literary Blogzine.

বুধবার, ১৭ মে, ২০২৩

মায়াপুর ভ্রমণ ।। পিন্টু কর্মকার

 

মায়াপুর ভ্রমণ

পিন্টু কর্মকার


 অনেকদিন থেকে ইচ্ছে ছিল একটু মায়াপুর থেকে ঘুরে আসি। কিন্তু সময় ও কাজের চাপে কিছুতেই যাওয়ার মত একটা তারিখ ঠিক করতে পারছিলাম না। এবার সুযোগটা এসে গেল, সরকারি এইচ টি সি নিয়ে  আমি, আমার মিসেস, ছেলে, শ্বশুর ও মিসেসের কাকাতো ভাইকে  নিয়ে ২৮শে ডিসেম্বর ২০২২ বালুঘাট রেল স্টেশন থেকে নবদ্বীপ ধাম ট্রেনে চেপে দুটো 34 এর দিকে রওনা দিলাম চির আকাঙ্ক্ষিত মায়াপুরের উদ্দেশ্যে। আমি বরাবরের ট্রেনের জানালার পাশে বসতে ভালো ভালোবাসি। এবারও জানালার পাশে বসে যাত্রাপথে কত স্টেশন, গাছপালা, ঘরবাড়ি,  মানুষজন আরো কত কি দেখতে দেখতে প্রায় দশটার সময় আমরা নবদ্বীপ ধামে মানে নবদ্বীপ স্টেশনে পৌছালাম। শশুরের এক দূর সম্পর্কের আত্মীয় থাকায় আমরা ওদের বাড়িতে গিয়েই রাতটুকু কোন মত কাটিয়ে সকাল নটায় পুরনো মায়াপুরের দিকে রওনা দিলাম, ৬০ ফিট গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর মূর্তি, কথিত মহাপ্রভুর  জন্মস্থান, নিম গাছ  দেখে টোটো করে কিছুটা এগিয়ে এসে ভবতারিণী মন্দিরে ভোগ দিয়ে রিক্সায় করে বেশ কিছু মন্দির পরিদর্শন করলাম। তারপর ফেরিঘাট থেকে স্টিমারে চড়ে মায়াপুরে পৌছালাম।  আমরা একটা টোটো করে নাম হট্ট ভবনের কাছে গিয়ে ঠিক প্রসাদের টিকিট কেটে লাইনে দাঁড়ালাম। এক ঘণ্টার মধ্যে প্রসাদ খাওয়া সেরে একটু জিরিয়ে নিয়ে মায়াপুরের মূল মন্দিরের ভেতরে আমরা প্রবেশ করলাম। ভেতরে বিদেশী ভক্তদের কীর্তন শুনে মনটা খুব ভরে গেল। সে সময় গীতা মেলা চলছিল। আমি ও আমার মিসেস  বেশ কয়েকটা বই কিনলাম। তারপর ঘুরে ঘুরে গৌরাঙ্গ কুঠির, গোশালা, ভক্তদের অনেক সুসজ্জিত আবাসন দেখে মুগ্ধ হলাম। সন্ধ্যার সময় আমরা চন্দ্রোদয় মন্দিরে অনেক সীমারেখা পার করে ঐশ্বর্যময় বিগ্রহ দর্শন করে  চোখ জুড়িয়ে নিলাম। মন্দিরের ভেতর চলার পথে  রাশিয়ার ভক্তের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথোপকথন হয়। রাত্রের দৈর্ঘ্য বাড়ার আগেই কিছু কেনাকাটা করে স্টিমার চড়ে আমরা গতানুগতিকভাবে গন্তব্যে ফিরে এলাম। শ্বশুর আগে থেকেই  ব্যাগ পত্র নিয়ে অন্য এক দূর সম্পর্কের আত্মির বাড়িতে রাত্রিযাপনের বন্দোবস্ত করেন। সকাল পাঁচটায় ট্রেনে চেপে প্রায় বারোটার সময় বালুরঘাট স্টেশনে এসে পৌছালাম।  অনেকটা স্মৃতি এখনো রয়ে গেছে বেহিসেবি মনের খাতায়…


=================


    পিন্টু কর্মকার, কসবা, তপন, দক্ষিণ দিনাজপুর, 733127, পশ্চিমবঙ্গ


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন