তাপসী লাহা
পুণ্যতিথি মানে স্বপ্নের সাজুঘরে বেসামাল দাম্পত্য, টুকরো ক্ষয়াভ গন্ধ, ভিজে থাকা ঘরের কোণ যা সবকিছু ঠিক নেই এমন এক গানের রুনরুন করুণা। উচ্চতা অনেক দুর হতে পারে তবে ঘরের ভরাট নিঃসঙ্গতা এক তসবীরের মত ছাপোষা আয়নায় থেকে থেকে চমকে ওঠে ছবি তোলার কালে, বার বার আঁচড়েও ত্রুটি থেকে যায়।ভ্যাপসা পচনের কিছু নাকে এসে ধাক্কা খায়। শুঁটকি মাছের মত সংসার এক নিরাভরণ কারবালা, কেউ মশলা সহযোগে তাকে দিয়ে রসনা তৃপ্ত করে, কেউ মুখ ভ্যাংচায় তার কৌলিন্যহীন কদর্যতায়, তবু কেটে বেরোতে পারে না সে বাঁধন। বাঁধনের ফাঁস যে গেছে আছে মনের সেসব অজ্ঞাত দুর্গম জঙ্গলাকীর্ণ ঘনায়মান বিস্তারে যেখানে রীতি, গতি সহযোগে এক অন্য যাত্রার পথ অতিক্রম করা হচ্ছে অন্য একটি রুটম্যাপ মেনে। ভেবেছিলে এল ডোরাডো পৌঁছে যাচ্ছে এলে বেলে সেকেলে নগর। ক্ষোভে, রাগে, চূড়ান্ত অজ্ঞানে দুষছে ম্যাপকে। একটু নীচে তাকাও বরং, পায়ের ছাপগুলো লক্ষ্য করো ভাল করে। আঙুলের ছাঁপগুলো কিন্তু উল্টো অভিমুখে। না তুমি ব্রেম্হদত্তি নও।ভুলপথের নাবিক অথবা শিকার। ব্রেম্হদত্তিরাও কি তাই? না আসলে ওটা অন্য প্রসঙ্গ। আলোচনা সময়সাপেক্ষ। ওরাও তারা দেখতে দেখতে অন্ধকার হয়ে গেছে কোন এক হোঁচটের মত।বার বার ডুবে গেছে গলায় হাড়ি গলিয়ে। মরার পরই জানতে পারলো পরমতম শত্রুটি তার বিরহবেদনায় অশ্রুপাত করেছে এত। দেখে চোখ ভিজে গেছে, অথচ তাকে আশ্বস্ত করার হাতটি তো সে ক্ষুইয়ে ফেলেছে ততক্ষণে। আপশোষে ঈর্ষাকরা মানুষগুলোর অন্ধকার ছিদ্রগুলো দিয়ে প্রবেশ করে দিব্যি মানুষবেশী প্রেতাত্মা হয়ে শুধরে নিচ্ছে ভুল। শুধু পচা, শুঁটকি হয়ে যাওয়া মাছের মত কিছু প্রমাদগন্ধ তাদের বিচলিত, শঙ্কিত করে কখনো সখনো।
(ক্রমশ...)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন