Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

রম্যগল্প ।। হারাধন পোল্লে ।। মাখনলাল প্রধান

হারাধন পোল্লে

মাখনলাল প্রধান

             
ডাক্তার বোসের চেম্বার । খুব বড় ডাক্তার হলেও এটা তাঁর পাড়ার চেম্বার । রোগীর উপস্থিতি কম নেই । তারা কাছাকাছি এলাকার । সকলেই প্রায় চেনা । একগাদা লোকের মাঝে এসে ধপ করে বসে পড়ল হারাধন পোল্লে । একটু অন‍্যমনস্ক হয়েছে কম্পাউডার , অমনি সুড়ুৎ করে একেবারেই ডাক্তারের সামনে এসে হাজির ।
কম্পাউডার এসে কানে কানে ডাক্তারকে কিছু বলে গেল । তারপর
- কী রে হারাধন , ব‍্যাপারটা কী ? একেবারে গা ঘেঁষে বসলি যে আমার ? সরে বস ।আমার ড্রয়ার আছে ওখানে । টাকা পয়সা সব আছে ।
হারাধন যেন হালে পানি পেল- না ডাক্তার বাবু , আমি তোমার ড্রয়ার নিয়ে কী করব ।
- তোর নামে কম কিছু তো শুনিনি ।
-তাইলে সব তোমারে বলতে হবে ডাক্তার বাবু , কী শুনেছেন বলুন ।
-এইমাত্র খবর পেলাম , তুই নাকি চ‍্যাটার্জিদের লাউ চুরি করেছিস ?
- মিথ্যা কথা, সম্পূর্ণ মিথ্যা । ওরা দেখেছে আমাকে চুরি করতে ? বলতে পারবে ? শুধু শুধু মিথ্যা কথা বলে ।
- দেখেছে তো । তুই লাউ নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিলি ।
-নিয়ে আমি যাচ্ছিলাম ঠিকই । কিন্তু চুরি আমি করিনি ।
ডাক্তার চেঁচিয়ে ওঠে- ফের মিথ্যে কথা । তাহলে চুরিটা করল কে শুনি । তুই লাউ নিয়ে পালাচ্ছিলি , আর চুরি করল রাম দাস । মিথ্যাবাদী  !
- সত্যি বলছি ডাক্তার বাবু , আমি--
- তাহলে কে চুরি করল , বল ।
-সে কথা আমি বলব কেন ? যার চুরি হয়েছে সে চোর ধরুক ।
- তাহলে বোঝা গেল যে ,  তুই জানিস কিন্তু বলবি না ।
- আমি বলব কেন ? বললে তো হয়েই গেল ।
- বললে কী হবে ? বল না ।
- সব ধরা পড়ে যাবে ।
- ধরা পড়ুক । বিচার হোক । বল না । আমাকে বল , আমি কাউকে বলব না ।
- তুমি যখন বলছ , তখন বলতে আপত্তি নেই । বলেই ফেলি ।
-হ‍্যাঁ হ‍্যাঁ, বলে দে ।
মাথা চুলকে আমতা আমতা করে  বলল -আমি চুরি করিনি ডাক্তার বাবু ওসব আমি কোনোদিন করিনি । ছি : মন্দ কাজ ! যত নষ্টের গোড়া ,আমার এই হাত ।
-তোর হাতে কী হল ? দেখি ?
- সেজন্যই তো আসা গো , ডাক্তারবাবু !
- হাতে কী হয়েছে ? ও লাউ চুরি করতে গিয়ে হাতে --
- আজ্ঞে মোটেই না । এই , হাতই  সুড়ুৎ করে লাউটাকে কেটে আমাকে ধ‍রিয়ে দিয়েছে । আমি নিয়ে চলে এসেছি ।
- অ্যাঁ ! তোর হাত এত বড় চোর । বলিস কী !
-সেজন্যই তোমাকে দেখাতে এসেছি গো । এর একটা চিকিৎসা করুন না । কী রোগ এটা  ? দেখুন তো কী কান্ড করে ব‍্যাটা । আর লোক আমাকে দোষ দেয় । আমার না মাঝে মাঝে খুব কাঁদতে ইচ্ছে করে ।
-কাঁদতে ইচ্ছে করে, সে ভালো কথা ‌।কাঁদা খুব ভালো কাজ ।
-এই দেখুন না সেদিন , রাকেশের সাইকেলের হাওয়া খুলে দিল । বেচারা হাটে যাচ্ছিল , তার আর যাওয়া হল না ‌।
- তার মানে গত পরশু আমি গোস্বামী বাড়িতে রোগী দেখতে ঢুকে ছিলাম । আমারও  বাইকের হাওয়া হঠাৎ দেখলাম নেই । ভাবছিলাম লিক হয়ে গেছে কখন । এখন বুঝলাম তোর কাজ ।
- না না , আমি না । এই এই হাত , হতে পারে , হতে পারে । ওকে বিশ্বাস নেই । তবে আমি সঠিক বলতে পারব না । অতদূর চোখ যায় না । তাছাড়া কে কী করল-
- ব‍্যাটা বড্ড সেয়ানা । তিনি লাফিয়ে উঠে একটা কিছু খুঁজলেন তারপর- বল আর কী করেছিস ?
-আমি কিছু করিনি ডাক্তার বাবু । মা কালীর দিব‍্যি !
না না , তুই না , তোর হাত ।
একগাল হেসে বলল -ঠিক ধরেছেন । এতক্ষণে আপনি ঠিক বুঝতে পেরেছেন ।
- তারপর আর কী-
- ওই তো ওই আর কী । ও হ‍্যাঁ , একদিন হাটে একটা মাছ নিতে গিয়ে কখন দুটো মাছ ব‍্যাগে তুলে নিয়েছে ।
- ছি : ! ছি :! ছি : ! এটা একেবারে ছোটোলোকের কাজ ।
মুখ কাঁচুমাচু করে হারাধন বলল- সে কথাই তো বলছি । আপনি বলুন । কী করম ছোটোলোকের কাজ ।
-ছি : !
-আর সেদিন রতনকে কষে একখানা চড়--
-তুই তো মস্তান রে !
- হ‍্যাঁ ,সে কী মারামারি !।আমি কাকে থামাব বলুন । ও মারতে তো  , এ মারতে যায় । এক হাতে একে টেনে ধরতে গেলে ও মেরে দেয় ।ওকে ঠেকাতে গেলে এ চালিয়ে দেয় । সে কী লঙ্কাকান্ড । নেহাত রতন খুব সাহসী ছিল না , তাই বাঁচোয়া ।
- তুই দেখছি রাস্তায় মস্তানি শুরু করে দিবি ক'দিন পরে ।
- আর বলেন কেন । এই যে গত সপ্তাহে  ঝন্টু বসাকের সঙ্গে হয়ে গেল এক চোট ।  তার টাকে খামোখা তবলা বাজিয়ে দিল । সে বেচারা লাফিয়ে উঠে আমাকে দিল এক চড় কষিয়ে । আমি কি ছাড়তে পারি ? চলল দুমাদুম ।-তুই গালে হাত লাগালি  কেন বল ? যে করেছে তাকে বলতে পারিস না । হাত হল দোষী আর তুই গালে-
- হ‍্যাঁ তো  একদম সত্যি । ভীষণ ভুল করেছে । জানে না বোকা হাঁদা । আর কী করেছে বল ?
- করেছে তো অনেক কিছু । সব কী মনে পড়ে নাকি সব সময় বলা যায় । এমনিই আমি নির্বিবাদী লোক । কারও সাতে-পাঁচে থাকি না । হল কী খেতে বসে বউর ভাগের মাছ হঠাৎ উধাও হয়ে গেল । সে কী অবস্থা ! শেষ পর্যন্ত আমিই আমার ভাগেরটা তুলে দিলাম ।-,আমি তো কত খাই । তুমি খাও, খাও খাও । সারাদিন কত খাটাখাটনি কর ।
- তুই বউকে এত ভালোবাসিস ? তোর কত চওড়া বুক রে ।
- বাসি না আবার । প্রায় দিন তো বউর মাছটা আমাকেই খেতে হয় ।-
-তারপর-
-তারপর -তারপর- ও হ‍্যাঁ , সেদিন ট্রেনের মধ্যে জানেন এক ভদ্রমহিলার মানি ব‍্যাগ চু্রি হয়ে গেল । 
- অ্যাঁ , তুইই পকেটমার ! -চোর ! বেরো এখান থেকে , বেরো বলছি ।
- আহা-হা । শোনো তো । শুধু চিৎকার করেন । আগে শুনুন । শেষে আমিই আবিষ্কার করলাম যে ওটা আমার হাতেই আছে । চুরি যায় নি ।
-ভদ্রমহিলা কী বললেন ।
-কী আর বলবেন ।বললেন-ভাগ‍্যিস আপনি ছিলেন ।  কাছাকাছি বাড়ি হলে অন্তত স্টেশনের কাছে হলে লোক ডেকে সম্বর্ধনা দিতাম ।
-হা-হা-হা ! তোর তুলনা নেই রে হারা  !
-তুলনা করতে হবে না । এর একটা বিহিত করূন । এমন চিকিৎসা করবেন যাতে আমাকে না এসব  শুনতে হয় ।
-হ‍্যাঁ , ঠিক বলেছিস । একটা পার্মানেন্ট ব‍্যবস্থা ।
- ঠিক ঠিক । পার্মানেন্ট ব‍্যবস্থা ।
-,শুধু ছোট্ট একটা অপারেশন , ব‍্যাস ! সব পার্মানেন্ট ব‍্যবস্থা হয়ে যাবে । হাতটা কেটে বাদ দিয়ে দেব ।
-অ্যাঁ , হাতটা বাদ--আমার হাত গেলে কাজ করব কী করে ? না না তা হবে না ।
- ওটাই একমাত্র উপায় ।এ ছাড়া আর কোনো ঔষধ নেই ।
-কেন ইনজেকশন দিয়ে করা যায় না ?
-ওই প‍্যারালাইসিস রোগীর মতো ঝুলবে । সেটা দেখতে খুব কি খারাপ লাগবে না ?
-কেন হাতের চরিত্রটা বদলে দেওয়া যায় না ?
- হাতের আবার চরিত্র হয় নাকি ?
-কেন ? এই যেমন আপনার হাত । কেমন হাত বাড়িয়ে রোগীর রোগ ধরে ফেলেন ।
-ওটার জন্য একজন্ম অপেক্ষা করতে হবে । এ জন্মে বাদ দিলে পরজন্মে চরিত্রবান হাত গজিয়ে যাবে । সেজন্যই তো বাদ দেওয়া দরকার ।
- রক্ত পড়বে না তো ? আমার আবার রক্ত দেখলে মাথা ঘোরে ।
-মাথাটা অন্য দিকে ঘুরিয়ে রাখলেই হল ।
-ব‍্যথা লাগবে না ?
- তা একটু লাগবে । দশদিন বিছানায় শুয়ে থাকবি , তাহলে সব ঠিক হয়ে যাবে ।
-যন্ত্রণা করবে না তো ?
-করবে করবে । সেটার থেকে বড় কথা হাতের চরিত্র বদল ।
-তাহলে থাক ।
-তার মানে তুই এতক্ষণ আমার সময় নষ্ট করে এখন বলছিস থাক । তার মানে তুই আবার কারও গায়ে পায়ে পকেটে হাত দিবি  ।
-না না , হাত আমি কাটতে পারব না । আমার হাত ও আমি নিজে বুঝে নেব । আপনাকে চিকিৎসা করতে হবে না । চরিত্র শুধরাতে পারেন না আর কি চিকিৎসা করবেন । লোকে আপনাকে বড় ডাক্তার বলে কেন বলুন তো ?
-আমি তো সব কেটে বাদ দিয়ে চিকিৎসা করি তাই ।
-বুঝেছি আপনি কিছুই পারেন না । শুধু কাটেন । চরিত্র বদলাতে পারেন না ।
- পারি রে পারি । এমন একটা ওষুধ দেব না ,  রাতে খেয়ে ঘুমোবি , সকালে দেখবি তোর চরিত্র , তোর শরীর একদম পাল্টে গেছে । কেউ ছুঁয়েও দেখবে না । বরং জনা চারেক বন্ধু এসে তোকে কাঁধে তুলে নিয়ে চলে যাবে । কেউ মারবে না , গালি দেবে না , বরং অনেকেই তোর জন্য কাঁদবে ।
- না , আমি আপনার ওষুধ খাব না ।
- খাবি না তো খাবি না । কন্সালট‍্যান্সি ফি দে পাঁচ শো টাকা ।
-টাকা, এই নাও না । টাকা দিল । টাকা হাতে নিয়ে ডাক্তার চমকে উঠল ।
-এ টাকা তুই কোথায় পেলি ?
-কোথায় ছিল আবার । আমি ছেপেছি ।
ডাক্তার ড্রয়ার টেনে দেখে বললেন । আমার এখান থেকেই তুই চুরি করে ছিস ।
-টাকাটা কী আপনি ছেপেছেন ? নাকি টাকায় আপনার নাম লেখা আছে ?
-আমার টাকা চুরি করলি ? হায়-হায়-হায়-
-আপনি আমাকে একটা কথাও বলবেন না । আমি আগেই বলেছি, আপনাকে সাবধান করে দিয়েছি । আমি কারও  জিনিস নিই না । আমি এ বিষয়ে ভীষণ সচ্চরিত্র ।
-নিকুচি করেছে তোর সচ্চরিত্রের । আমি তোর হাত কেটে নেব । শয়তান-
-আমার হাত কাটলে আমি আপনার নাক কেটে নেব ।
হারাধনের হাতে কাঁচি দেখে ডাক্তার চমকে ওঠে । - আবার ওটা বের করেছিস ।  দে আমার কাঁচি দে ।
-কী আব্দার ! আমার কাঁচি । স্ট‍্যাম্প মারা আছে নাকি? বলুন বলুন । মিথ্যা কথা । আমার অমন সুন্দর জাদুকরের মতো হাতটাকে কাটতে চান । আমি এখন আপনার হাত কেটে দেব ।
ডাক্তার রেগে গিয়ে চিৎকার করে বলে- কাঁচিটা দে হারা ।
-কেন পাঁচশো টাকা ভিজিট দিলাম কী এমনি এমনি । তাহলে আমার টাকা ফেরত দিন ।
-তুই তো বড্ড পাজি । বেরোও এখান থেকে । এই মুন্না একটা লাঠি নিয়ে আয় তো ।
- একটা কাঁচির মায়া ছাড়তে পারছেন না । এত কিপটে মানুষ আমি আজও দেখিনি । এই নিন আপনার কাঁচি আমি চললাম । গোঁফ কাটার খুব অসুবিধা হচ্ছিল । যাক, অন্য কোথাও দেখি ।
 
===================
 

 
মাখনলাল প্রধান
সুকান্ত পল্লী, বোড়াল , কল : 700154

মন্তব্যসমূহ

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

জনপ্রিয় লেখা

মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা 2024 সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি

প্রবন্ধ ।। লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা ।। শ্রীজিৎ জানা

সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ : "ত্রয়ী কাব্য" -- সুনন্দ মন্ডল

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৬৭তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

কবিতা ।। বসন্তের কোকিল তুমি ।। বিচিত্র কুমার

কোচবিহারের রাস উৎসব ও রাসমেলা: এক ঐতিহ্যবাহী অধ্যায় ।। পার্থ সারথি চক্রবর্তী

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৭৪তম সংখ্যা ।। বৈশাখ ১৪৩১ এপ্রিল ২০২৪

অনুভবে, অনুধ্যানে অনালোকিত কবি গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী ।। সুপ্রিয় গঙ্গোপাধ্যায়

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৬৬তম সংখ্যা ।। ভাদ্র ১৪৩০ আগস্ট ২০২৩