Featured Post

নবপ্রভাত পত্রিকার ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে গ্রন্থ-প্রকাশ : ১। সম্পূর্ণ পত্রিকার খরচে ও ২। পত্রিকার অনুদানে

ছবি
  নবপ্রভাত পত্রিকার ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে  গ্রন্থ-প্রকাশ বিষয়ক বিজ্ঞপ্তি ১। সম্পূর্ণ পত্রিকার খরচে এক ফর্মার ১০টি পুস্তিকা : এই প্রকল্পে লেখক-কবিদের থেকে কোনো খরচ নেওয়া হবে না।        পত্রিকার ৩০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে বইগুলি প্রকাশিত হবে। লেখক/কবিকে সশ্রদ্ধায় সৌজন্য সংখ্যা দেওয়া হবে।       যাঁদের আগে কোন বই হয়নি , তাঁরা অগ্রাধিকার পাবেন। নতুনদের উপযুক্ত লেখা না পেলে বাকিদের লেখা নিয়ে লক্ষ্যমাত্রা পূরিত হবে।       লেখা সকলেই পাঠাতে পারেন। মেলবডিতে টাইপ করে বা word ফাইলে ।   ই-মেল : nabapravat30@gmail.com  (এবং হোয়াটসঅ্যাপেও)। বইয়ের শিরোনামসহ ১৫টি কবিতা বা ১৫টি অণুগল্প পাঠাতে হবে , শব্দ সংখ্যা বা লাইন সংখ্যার বাঁধন নেই । মনোনীত হলে মানানসই বইয়ের ফরম্যাটে যে কটি যাবে রাখা হবে ।       সঙ্গে লেখক পরিচিতি , ঠিকানা , যোগাযোগের ( কল ও হোয়াটসঅ্যাপ )   নম্বর ও এক কপি ছবি দেবেন। লেখক পরিচিতিতে অবশ্যই জানাবেন, এটি আপনার প্রথম প্রকাশিত বই হবে অথবা পূর্ব প্রকাশিত গ্রন্থতালিকা। অনলাইন বা মুদ্রিত পত্রিকা বা সমাজ - মাধ্যমে প্রকাশিত লেখাও পাঠানো যাবে । তবে কোনও গ্রন্থভুক্ত লেখা

মুক্তগদ্য । । সুমিত মোদক




তেমন আর দেখা পাওয়া যায় না

কাকতাড়ুয়া 

..........


ধান জমিতে, সব্জি বাগানে কাকতাড়ুয়া প্রায় দেখা পাওয়া যেতো । আমাদের শিশু- কিশোর বেলায়। ওই সময় তো কাকতাড়ুয়া দেখে ভূত ভেবেই ভয় পেতাম। প্রতিটি ধানের জমিতে একাধিক কাকতাড়ুয়া থাকতো। আর একটু জোরে হাওয়া হলেই সে গুলি হাত পা নেড়ে যেন নৃত্য করতো। ছেলেবেলার শোনা গল্পের ভূতের মতো। মফঃস্বল বাস করি। কিন্তু, বেশির ভাগ আত্মীয় স্বজন প্রত্যন্ত গ্রামে থাকতো। তার ফলে  তাদের বাড়ি যেতে হলে পায়ে হেঁটে যেতে হতো। মেঠো পথ, তার দু পাশে ধান জমি, সব্জি বাগান । আর সেখানে শ শ কাকতাড়ুয়া। মা বাবা থাকলেও ওদিকে তাকাতে কেমন যেন ভয় ভয় করতো। 
#
একটু বড় হয়ে তবেই বুঝেছি, কাকতাড়ুয়া আসলে কি। গ্রামের চাষীরা জমিতে বা বাগানে কাকতাড়ুয়া লাগায়। মূলত কাক পাখি ও জন্তু তাড়ানোর জন্য । যে সকল পশুপাখি ফসল নষ্ট করতো, তাদের তাড়ানোর জন্য । হাওয়ায় কাকতাড়ুয়া হাত পা নেড়ে চলে। ওটা দেখে তারা ভয় পায়। কাছে আসেনা। ভাবে মানুষ বা অন্য কিছু। 
#
কাকতাড়ুয়া তৈরী হয় মূলত খড় দিয়ে। মানুষের মতো করে ভূড়ো করা হয়। করা হয় হাত পা। গায়ে পরিয়ে দেয়া হয় ছেঁড়া জামা।   আর মাথাটা করা হয় কালো ফুটো হাঁড়ি দিয়ে। চুন দিয়ে চোখ মুখ এঁকে দেওয়া হয়। দেখতে হয়ে ওঠে ছেলেবেলার ভাবনার ভূতুরে মতো। সেইটাকে একটা বাঁশের লাঠির সঙ্গে লাগানো হয়। হাত দুটো দুই দিকে মেলে ধরার জন্য কঞ্চি লাগানো হয়। তার পর সেটাকেই জমিতে লাগিয়ে দেওয়া।                   
#
আজ থেকে প্রায় কুড়ি বছর আগে পর্যন্ত যে হারে গ্রামে গ্রামে কাকতাড়ুয়া দেখা পাওয়া যেতো, এখন আর তেমন চোখে পড়ে না। তার কারণ, ফসল জমিতে যে হারে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা হয় তার ফলে জমি বা বাগানে পোকা মাকড়রের পাশাপাশি জীব জন্তু ও পাখির পরিমান একেবারে কমে গেছে।  তাই তাদেরকে তাড়ানোর জন্য আর কাকতাড়ুয়ার প্রযোজন হয় না। 
#
গ্রাম বাংলায় আনেক পাখি পতঙ্গ  পশুর মতো  কাকতাড়ুয়াও অবলুপ্ত প্রায় । 

........

Sumit Modak, " Sonajhuri " Po :Dighirpar Bazar, Falta, 24Pgs(s), Pin : 743503 , M: 9002977488  /8373837350                                                                                                                               

জনপ্রিয় লেখা

প্রবন্ধ ।। লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা ।। শ্রীজিৎ জানা

মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা 2024 সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি

সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ : "ত্রয়ী কাব্য" -- সুনন্দ মন্ডল

কবিতা ।। বসন্তের কোকিল তুমি ।। বিচিত্র কুমার

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। 'স্বাধীনতা, স্বদেশ ও স্বকাল' বিষয়ক সংখ্যা ।। ভাদ্র ১৪৩১ আগস্ট ২০২৪

উৎসবের সৌন্দর্য: সেকালে ও একালে।। সৌরভ পুরকাইত

কোচবিহারের রাস উৎসব ও রাসমেলা: এক ঐতিহ্যবাহী অধ্যায় ।। পার্থ সারথি চক্রবর্তী

নবপ্রভাত পত্রিকার ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে গ্রন্থ-প্রকাশ : ১। সম্পূর্ণ পত্রিকার খরচে ও ২। পত্রিকার অনুদানে

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান