ওরে, ভোরের পাখি
অঙ্কিতা পাল
আমি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে সবার আগে সাধের সুন্দর ছাদ বাগান দেখতে যাই।
সেখানে বিভিন্ন রংয়ের জবা ,অপরাজিতা, কাগজ ফুল ,দোপাটি, গোলাপ ,পদ্ম, ব্লিডিং হার্ড , লাল পাতা , টাইম ফুল , রেইন লিলি , মানি প্ল্যান , কলাবতী, সূর্যমুখী, ঝাউ , অলকানন্দা ইত্যাদি ফুল ও গাছের সমাহার রয়েছে। তাদের একদিনও না দেখলে যেন দিনটাই খারাপ এমন মনে হয়, মনটাও কেমন প্রফুল্ল চিত্তে নিজের কাজ শুরু করে।
এই তো মাসখানেক আগের কথা - আমি সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ ছাদে গিয়েছিলাম দেখলাম দক্ষিণ পূর্ব দিগন্ত থেকে লাল সূর্য মামা কেবলি উঁকি দিচ্ছেন, আর রক্তিম আকাশের বুক চিরে কিচিরমিচির করতে করতে উড়ে চলেছে পাখির দল। সেই দৃশ্যটা আমার মনকে আরো শান্ত করে দিলো চোখ বন্ধ করে এক নির্মল শ্বাস বায়ু যেন অন্তরে প্রবেশ করেছিল।
উফ: কি অদ্ভুত না সেই প্রাকৃতিক দৃশ্য!
আমার জ্যেষ্ঠা কন্যা অহনার English literature পাঠ্য পুস্তকের ৯৪ পাতায় - " Emily Dickinson " এর লেখা " A Bird Came Down the Walk " কবিতাটি রয়েছে।
কবিতাটি আজও আমার মননে গাঁথা হয়ে রয়েছে । আমি একাকী বিছানায় শুয়ে সেই কবিতা লাইনের সাথে আমার চাক্ষুষ প্রাকৃতিক দৃশ্যের উপলব্ধি করতে শুরু করলাম , সন্ধ্যেবেলা তাকে সরল ভাবে বোঝাতে শুরু করি -
সেখানে কবি একটি পাখিকে নিয়ে কি সুন্দর ভাবে বর্ণনা করে চলেছেন . ........................ কবির ভাষায় কিছুটা ভোর বা সকালের সেই দৃশ্যে ; পাখিটি একটি কেঁচো কে কিভাবে খাচ্ছে এবং তার কেমন সুতীক্ষ্ণ দৃষ্টিভঙ্গী মানুষের চলাচলের আওয়াজ পেলেই ভয়ে উড়ে পালিয়ে যায় একপর্যায়ে কবি উরন্ত পাখিকে নৌকার দাঁড় ও আকাশকে সমুদ্রের জলের সাথে তুলনা করেছেন ।
আমি তো তেনার মতো এত বড় কবি নই, তাই দুজনার দৃষ্টিভঙ্গীর সাথেও আকাশ পাতাল পার্থক্য রয়েছে, তবুও আমি তার কাছে শতবার ক্ষমা প্রার্থী। ওনার বর্ণনায় একটি পাখি আর আমার দেখা কয়েকটি পাখি যেন আকাশ ভেদ করে উড়ে চলে গেল সেদিন।
======================
অঙ্কিতা পাল, ভাঙ্গড় দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন