Featured Post

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

ছবি
   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা ১২-১৪ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৫-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # *) ব্যবহার করবেন না। ৫) লেখার নীচে একটি ঘোষণা দিন:  'লেখাটি স্বরচিত ও অপ্রকাশিত'। মেল আইডি :  printednabapravat@gm

গল্প ।। অংশু।। অনিন্দ্য পাল



অংশু

অনিন্দ্য পাল

===========       

              
                                  ১.
 
বাইকটাতে স্টার্ট দিয়ে ক্লাচটা ধরে গিয়ারে ফেলতে যেতেই মাথাটা ঝট করে চক্কর দিয়ে উঠলো অংশুর। আজ একটু বেশিই টানা হয়ে গেছে, বাড়ি অব্দি ঠিকঠাক পৌঁছতে পারলে হয়। ক্লাবের ভিতরে একবার তাকিয়ে দেখলো অংশু, আরও একটা বোতল আছে, ওরা শেষ করেই বেরোবে। এত তাড়াতাড়ি তারও যে যাবার ইচ্ছা ছিলো তা নয়, কিন্তু পুলিশ খুব অত্যাচার চালাচ্ছে। দশটার পর হলেই ধরছে। তাই এই ন'টা বত্রিশে বেরিয়ে এসেছে অংশু। 
             দু'মিনিট ক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে একটু জ্ঞান-গম্যি জড়ো করে চালিয়ে দিল গাড়িটা। কুড়িতে চালাচ্ছে অংশু। ছররাতলার মোড়টা পেরিয়ে যাওয়ার পর একটু ঘোরটা কমলো, এখনও দু'কিলোমিটার। বাড়ি পৌঁছেই আছড়ে পড়বে বিছানায় -- ভাবতে ভাবতে গতিটা একটু বাড়াতেই হেডলাইটের আলোয় চোখে পড়লো কেউ একটা সাইকেল চালিয়ে রাস্তার ধার ঘেঁষে যাচ্ছে। একটা মেয়ে মনে হচ্ছে! এত রাতে? নেশার ঘোরে নিজেই নিজেকে বললো, "যাকগে, মরুকগে। অংশু, তোর কি? চল বাপ বাড়ি চল।" আর একটু কাছে আসতেই হঠাৎ একটা বদবুদ্ধি খেলে গেল অংশুর মাথায়। বদমায়েশি মজায় মনটা নেচে উঠলো। 
স্পিডোমিটারের কাঁটা ষাট ছুঁয়েছে। যা ---- ! একটা নোংরা গালাগাল দিয়ে, আবার নিজের মনে হেসে উঠলো অংশু। "এতক্ষণ পানাপুকুরে ডুবে ডুবে জল খাচ্ছে মালটা!" গাড়িটা আরো জোরে টেনে দিল, বলা যায় না কে কোথায় ঘাপটি মেরে আছে, ঘাপ করে ধরবে। বাড়ি পৌঁছে গেলে আর চিন্তা নেই। নেশার ঘোরটা বেশ কেটে গেছে এবার। মুখোরোচক আনন্দে তরল হয়ে বাইকটা নিয়ে হাওয়ায় ভেসে গেল অংশু। 
 
                                      ২. 
 
ওহ! আচ্ছা জ্বালাতন তো! এই সাত সকালে এরকম চিল-চেল্লাচ্ছে কে? রাতের নেশার ঘোরটা কাটলেও হ্যাংওভারটা রয়েছে। মাথাটা কেমন একটা ঝিমঝিম -- দপদপ করে উঠলো অংশুর। এক মুখ বিরক্তি নিয়ে  বাইরে বেরিয়ে এল সে। উঠোনটা লোকারণ্য। ভিড়ের মাঝখানে কিছু একটা রয়েছে। সবাই সেটাই দেখছে, কেউ কেউ চিৎকার করে গালাগাল করছে কোন এক লোক কে। হঠাৎ একটা কান্নার শব্দে অংশু চমকে উঠলো। চম্পার গলা যে! চম্পা কাঁদছে? ভালো করে কান পেতে শুনলো। হ্যাঁ, কোন ভুল নেই, চম্পাই কাঁদছে। কিন্তু কেন। সে তো বেঁচে বর্তে রয়েছে। একবার নিজের গায়ে হাত বুলিয়ে দেখে নিল অংশু। নাহ, ঠিকই আছে। তাহলে, চম্পা তো বিধবা হয় নি, তাহলে সাত-সকালে এরকম মড়া কান্না কাঁদছে কেন?  
বারান্দাটা পেরিয়ে নেমে এল অংশু, সবাই তার দিকে কেমন অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে আছে -- অংশুর অবাক লাগলো। "কি রে বাবা! কেসটা কি?" হাত দিয়ে ভিড় ঠেলে ভিতরে ঢুকে প্রথমেই তার চোখ গেল চম্পার দিকে। একটা সাদা কাপড়ে ঢাকা মানুষের পায়ের কাছে বসে মড়া কান্না কাঁদছে। মানুষটা কে? এবার অংশুর চোখটা গিয়ে পড়লো সেই সাদা কাপড়ে ঢাকা মানুষটার মুখের উপর। কিন্তু একি? এতো বৈঁচি! তার মেয়ে। ক্লাস ইলেভেনে পড়ে। হঠাৎ করে অংশুর চোখের সামনে গতকাল রাতটা ভিড় করে এল। পাশ থেকে কেউ একটা বললো, " কাল রাত থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেল না। পড়তি গে না কি দেরি হয়ে গেছলো। চম্পা, আমরা সবাই খুব করে খুঁজিছি, সব জায়গায়, তন্ন তন্ন করে, কিন্তু পাইনিকো। আজ সকালে ও পাড়ার হারুর ছেলে এসে খবরটা দিল। ছররাতলার মোড়টা পেইরে ঘোষেদের যে বড় পানাপুকুরটা, ওখেনে ডুবে ছেল। সাইকেলটা পাড়ে আটকে ছেল। বই এর ব্যাগটাও পিঠেই আটকে ছেল গো। তা তুমি বোধ হয় এসবের কিছুই জান না। আর জানবেই কি করে? মদের নেশায় তো বেছনায় পড়ে ছেলে। আহারে সোমত্ত মেয়েটা -- চলে গেল। খুব মিশুকে ছেল, জানো। আমারে সব সময় ..." 
               আর কিছু শুনতে পারছিল না অংশু। এমনকি চিৎকার করে মেয়েটাকে ডাকতে চাইলো, তাও পারল না, গলাটা আটকে গেল। শুধু কানে কাল রাতের একটা আর্তনাদ হঠাৎ ভেসে উঠলো, আর চোখে ভেসে উঠলো বাইকের হেড লাইটের আলোয় দেখা একটা মেয়ে, সাইকেল চালিয়ে রাস্তার ধার ঘেঁষে চলেছে। 
 
=============================== 
 
 

 

 
অনিন্দ্য পাল 
প্রজত্নে -- বিশ্বনাথ পাল 
গ্রাম -- জাফরপুর 
পোঃ-- চম্পাহাটিি 
পিন - ৭৪৩৩৩০
থানা -- সোনারপুর 
জেলা -- দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা 
পশ্চিমবঙ্গ, ভারত 
Mob: 9163812351
ধন্যবাদ। 





 

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় লেখা

প্রবন্ধ ।। লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা ।। শ্রীজিৎ জানা

মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা 2024 সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি

সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ : "ত্রয়ী কাব্য" -- সুনন্দ মন্ডল

কবিতা ।। বসন্তের কোকিল তুমি ।। বিচিত্র কুমার

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৭৯তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮০তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩১ অক্টোবর ২০২৪

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

উৎসবের সৌন্দর্য: সেকালে ও একালে।। সৌরভ পুরকাইত

মুদ্রিত নবপ্রভাত উৎসব ২০২৩ সংখ্যার ডাউনলোড লিঙ্ক