সুকুমারী চিঠি
গোবিন্দ মোদক
স্নেহের হিজিবিজবিজ্,
সেদিন হুলোর গান শুনে খিচুড়ি খেয়ে কাতুকুতু বুড়োর বাড়ি থেকে ফেরবার পথে তোমার আবোল-তাবোল কি একটা অসুখ করেছিল শুনেছি। সাবধান ! ট্যাশ গরু থেকে উৎপন্ন এই রোগে সবাই নাকি রামগরুড়ের ছানার মতো হয়ে যায়, আর রোগ সারলেই কুমড়োপটাশ ! ভাবছো অবাক কাণ্ড ! ভালো রে ভালো ! তুমি সেই বোম্বাগড়ের রাজার একুশে আইন-এর গল্প শুনেছো তো --- ওরকম কিম্ভূত খুড়োর কল আর হয় না ! তার ওপর আবার আছে কাঠবুড়ো-র গানের গুঁতো কিংবা লড়াই ক্ষ্যাপার ছায়াবাজী ! আর হুঁকোমুখো হ্যাংলা-র হাত গণনা কিংবা গন্ধবিচার-এর গল্প শুনলে অতি বড় ডানপিটের-ও কাঁদুনে রোগ ধরে ! তবে ভয় পেয়ো না ! এসব ভূতুড়ে খেলা আর চলবে না, কেননা 'বিজ্ঞান শিক্ষা' এইসব হ-য-ব-র-ল কে পাকাপাকি ভাবে বিদায় করবে।
ওহো ! কথায় কথায় আসল কথা ভুলে গেছি --- পাগলা দাশু আর কানে খাটো বংশীধর --- এরা দু'জনেই চালিয়াৎ হিসাবে ধরা পড়েছে। আজব সাজা পাবে ব্যাটারা ! ওদেরকে ডিটেকটিভরা-ই ধরেছে বটে, তবে জগ্যিদাসের মামা অবশ্য ওদেরকে খুব সহায়তা করেছে। ওরা ধরা পড়বার ফলে ভোলানাথের সর্দারি এবার বোধহয় ঘুঁচলো। আর ওদিকে নূতন পণ্ডিত "ফাজিলের ডিকশনারী" নামে যে বইটি লিখেছিল, সেটা তো প্রকৃতপক্ষে ওর জীবনের হিসাব। আর দ্রিঘাংচু-র নাচের বাতিক-টা গেছে এবার -- ও এখন হিংসুটিদের গান গায় ! সাধে কি বলে গাধা !
আর একটা কথা --- নন্দগুপী-রা এবার লক্ষ্মণের শক্তিশেল নাটক করবে। গতবার তো করেছিল অবাক জলপান! যাইহোক, পড়ার হিসাব ঠিক রেখো, নইলে ছুটি ফুরিয়ে গেলেই হিতে বিপরীত হবে ! কাজেই দিনের হিসেব করা চাই, নইলে হরিষে বিষাদ !
ভালো থেকো। ইতি, ---
তোমার কাকা কাকেশ্বর কুচকুচে।
(পুনঃ- ব্যাকরণ সিং কেমন আছে জানিও, ওর খবর অনেকদিন পাই না।)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন