Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

গল্প।। পুনরাবৃত্তি ।। আলাপন রায় চৌধুরী


পুনরাবৃত্তি

                 - আলাপন রায় চৌধুরী


                                                           ১

"আচ্ছা আচ্ছা, আপনিই লোক পাঠিয়েছিলেন তাহলে।" একটু হেসে বললো সত্য। "বলুন!"

"হ্যাঁ স্যার, আমিই...। আমার নাম করণ বাত্রা। প্লিজ বসুন।" এই বলে থানার ও.সি. বাত্রা সাহেব ইশারা করে কনস্টবলকে ওনার কেবিনের দরজাটা ভেজিয়ে বাইরে দাঁড়ানোর জন্য নির্দেশ দিলেন।

তারপর ও.সি. আসল কথাটা শুরু করলেন। "এবার বলি ব্যাপারটা আপনাকে।"

"আপনি নয়, তুমি বলুন আমাকে। আমি অনেক ছোট।"

"ওকে...! দেখুন, আমাদের কাছে একটা টীম-এর কয়েকজন এসেছিলো। সবাই ট্রেকার ওরা। তা ওরা একটা অদ্ভুত ক্লেম করে- ওরা নাকি এগজোটিক হিমবন্ত ন্যাশনাল পার্ক-এ ভূত দেখেছে! আই মিন, ওরা ভূত শব্দটা ব্যবহার না করলেও ব্যাপারটা সেরমই।"

"ওকে, দেন..."

"ওরা আমায় বলে যে ন্যাশনাল পার্কে নাকি ওরা একজনকে খাদে পড়ে যেতে দেখেছে! এবার ব্যাপার হলো এই যে ওরা ব্যাপারটা তখনই পার্ক কর্তৃপক্ষকে জানায়।"

"ওহ, তাহলে পার্ক-এর গার্ডরা সার্চ অপারেশন চালায়নি?"

"হ্যাঁ, চালিয়েছিল, বাট ওরা কিছু পায়নি- কোন লাশ নয়, বিলংগিংস নয়, ছেঁড়া জামাকাপড় বা ব্লাড ড্রপস, অ্যাবসলাউটলি নাথিং ওয়াস ফাউন্ড!"

"এরম হওয়ায় ওরা পুলিশকে জানায় ঘটনাটা, আর এখন হয়তো ওরা ছুটি কাটিয়ে ফিরেও গেছে।"

"হমম, সবই তো বুঝলাম। কিন্তু আপনি আমায় ডেকে পাঠালেন?"

"না না, এখানেই শেষে নয় স্যার। সেই কথাতেই আসছি। ব্যাপারটা ওরা আমায় জানাতেই আমি লোক পাঠাই পার্কে। আমরা কাউকে খুঁজে পাইনি স্যার।"

"হুম, দ্যাটস স্যাড! তো আমি এক্ষেত্রে কিভাবে সাহায্য করতে পারি আপনাকে?"

"পার্কের একজন পুরোনো লোক আছেন- এখন রিটায়ার করে পার্কেরই এক কোনায় থাকেন পুরোনো কোয়ার্টার-এ । ওনার নাম  রবি- এই  রবিজি  আমায় বললেন যে এটা নাকি নতুন নয়!.আগেও এরম দেখা গেছে, ফ্রিকোয়েন্টলি না হলেও ! মেয়েটি যাকে পড়তে দেখেছে সে অশরীরী!"

"হোয়াট?"

"হ্যাঁ স্যার! এই জন্যই প্রচুর খোঁজা-খুঁজি করেও কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি!"

"আচ্ছা যে পড়ে গেছে তাকে কেমন দেখতে ছিল? তার কোন ডেসক্রিপসন পেয়েছেন কি?"

"ওদের ট্রেকিং গ্রুপের একটি মেয়ে- কি যেন নামটা? চিত্রা, হ্যাঁ, চিত্রা! ও লোকটাকে পড়তে দেখেছিল! আমরা ভাসা ভাসা ডেস্ক্রিপশন শুনি স্যার। উই হ্যাড টু রাশ টু দ্য স্পট আফটার দে রিপোর্টেড।"

"আপনাদের তো রিপোর্ট রেকর্ড করার খাতা আছে। সেখানে আপনারা কিছু লিখে রাখেননি রেকর্ড করার সময়?"

"হ্যাঁ স্যার, দাঁড়ান, খাতাটা আনিয়ে নিচ্ছি!" এই বলে ওসি বেল বাজালেন আর বাইরে থেকে একজন কন্স্টবেল ঘরে ঢুকতেই তাকে খাতাটা আনতে বলে দিলেন তিনি।

কন্স্টেবল দরজা বন্ধ করে বেরিয়ে যেতেই সত্য জিজ্ঞেস করল, "কিছু মনে করবেন না, কিন্তু আপনি সিওর যে সার্চটা ঠিক ঠাক করা হয়েছে?"

"১০০% সিওর স্যার! গার্ডরা অবধি করেছে. এমনিতেও পার্কটার পিছনেই বর্ডার। সেই জন্য ওই অঞ্চলটাকে আমরা একটু চোখে চোখে রাখি, আর বিশেষ গুরুত্বও দি।"

"হুম্..." বলে সত্য শুনতে লাগল, আর ওসি বলে চললেন, "আমি আমার যে কনস্টেবলদের পাঠাই তারা পার্কটা ভালো ভাবে চেনে। তাই ওদেরই পাঠাই। এছাড়া ওখানকার গার্ডরা তো স্যার, হাতের তালুর মতোই... আমি নিশ্চিত যে দে লেফ্ট নো স্টোন আনটার্নন্ড ইন দিস কেস!"

"তাহলে বলছেন যে আপনাদের সার্চ সাকসেসফুল ছিল। তার মানে হয় ওই মেয়েটি ভুল বলছে, বা যে পড়ে যায় সে..."

এর মধ্যেই কনস্টেবলটি খাতা নিয়ে এসে টেবিলে রেখে আবার দরজা বন্ধ করে চলে গেল।

"হ্যাঁ আপনি কি যেন বলছিলেন স্যার?" আগ্রহের সাথে জিজ্ঞেস করেন করণ বাত্রা।

"না, আমি বলছিলাম যে এটা কোন এলাবোরেট প্রাঙ্ক বলে তো মনে হচ্ছে না। পুলিশকে নিয়ে এরকম ভাবে মজা করে ট্রেকারদের কি লাভ?"

"হ্যাঁ স্যার, সেটাই। রবিজি তো বললেনই এটা ভূত-প্রেতের ব্যাপার..."

"হুম্, আরেকটা ব্যাপার লোকটা যদি পড়ে গিয়ে এদিক-ওদিক চলে গিয়ে থাকে বা কেউ তাকে নিয়ে গিয়ে থাকে সেটা তো জানাজানি হবে। সেরমও কিছু শোনেন নি?"

"না, নিচে কেউই লোকটাকে পড়তে দেখেনি। এদিকে চিত্রা ক্লেম করছে যে লোকটা ওপর থেকে পড়েছে।"

"এবার রিপোর্টটা দেখব। কিন্তু তার আগে একটা জিনিস বলুন- পার্কে তো নিশ্চয়ই সিসিটিভি আছে। সেটার ফুটেজ চেক করেছেন?"

"না স্যার, আসলে পার্কের ব্যাপারটাতে বেশ শোরগোল পড়ে যায়। তো সবাই বেরিয়ে এসে জড়ো হয়। তার মধ্যে রবিজিও ছিলেন। অনেক তল্লাশি করেও যখন পাওয়া গেল না লোকটাকে, তখন রবিজি লোকটার ডেস্ক্রিপশন না শুনেই বললেন যে এটা ভুতের কেস।"

"আপনার রবিজির সাথে তো কথা বলতে হচ্ছে তাহলে। পুরনো কোয়ার্টারে পেয়ে যাবো তো ওনাকে?"

"হ্যাঁ হ্যাঁ।"

"ওকে" বলে সত্য একটু চুপ করতেই, রিপোর্ট খাতার পেজ উল্টাতে উল্টাতে ওসি বললেন, "এই, এই যে স্যার, এখানে, হ্যাঁ এই তো, দেখুন!"

"টল, লিন, ভেরি ফেয়ার, অরেঞ্জ টি-শার্ট, ব্রাউনিশ বা সোনালী চুল... উমম্, নর্থ ইন্ডিয়ান না বিদেশী? বিদেশিই মনে হচ্ছে তো!"

"হ্যাঁ স্যার, হতেই পারে। অনেক বিদেশী আসে এই ন্যাশনাল পার্কে।"

"হ্যাঁ বটে।"

"তবে একটা ব্যাপার স্যার, আমায় টিকিট কাউন্টার থেকে বলল ওরম কেউ কিন্তু ঐদিন পার্কে আসেনি। এতে আমার রবিজির কথাটা আরো যুক্তিপূর্ণ লাগে। আফটার অল পুরনো লোক!"

"কোন চোরা পথে ঢোকেনি তো লোকটা?"

"স্যার, সেরম পথ থাকলেও ওরম কোন ইন্ট্রুশন বা ইনফিল্ট্রেশন-এর রিপোর্ট ইদানিংকালে আমাদের কাছে নেই।"

"হুম্, ওকে, ঠিক আছে। আমি দেখছি এই ব্যাপারে আমি কি করতে পারি। ভূত হোক বা অন্য কিছু, ব্যাপারটা বেশ ইন্টারেস্টিং!"

এই বলে সত্য "থ্যাংক ইউ, বাত্রা সাহেব!" বলার সাথে সাথে নিজের হাতও বাড়িয়ে দিল।

"নো প্রবলেম স্যার। ইউ আর মোস্ট ওয়েলকাম, এন্ড থ্যাংকস টু ইউ টু!" বাত্রা বললেন, আর তার সাথে দু'জনে জোরে করমর্দন করলেন।


                                                              

এখানে বলে রাখা ভালো যে সত্য একজন প্রবাসী বাঙালি মিস্ট্রি-হান্টার- বিভিন্ন অতিপ্রাকৃতিক ঘটনা  নিয়ে চর্চা করা, সেইসব ব্যাপারে অনুসন্ধান করাই তার নেশা। কোথাও অ্যানম্যালস্ বা প্যারানরমাল কিছুর সন্ধান পেলেই সত্যর মন বেরিয়ে পড়তে চায় সেই জায়গার উদ্দেশ্যে! এদিকে পেশা বলতে একটা ব্যবসা আছে তার। তাছাড়া তার আরেকটা পেশাও আছে যার কথা সে কাউকে জানায় না। তাই আমারও বলা বারণ! যাইহোক এই কেসটা নিয়েও সে লেগে পড়ল। তবে কিছুদূর এগোনোর পর কিছুতেই আর কেসটা নিয়ে এগোতে না পারায় সে একটু অধৈর্য হল, আর তার স্যার-এর সাহায্য নেবে ঠিক করল।

যদি কেউ ভাবে যে সত্যর স্যারের ঘরবাড়ি দেখলেই বোঝা যাবে যে উনি মিস্ট্রি হান্টার বা অ্যানোম্যালস-প্যারানরমাল ব্যাপার-স্যাপারে আগ্রহ রাখেন, তাহলে সেটা ভুল হবে। উনি রিটায়ার করেছেন কিছুদিন হল। পাঞ্জাবের গুরুদাসপুরে মোটামুটি নিরিবিলি জায়গায় একটা ছোট্ট বাংলো-স্টাইলড বাড়িতে থাকেন। ৫ ফুট ১০ ইঞ্চির সত্যর থেকে ৪ ইঞ্চি বেশি লম্বা, ছিপছিপে চেহারা। এখনো অনেক চুলই কালো। শখের মিস্ট্রি হান্টার মিস্টার এস. খান্না বারান্দায় বসে চা খাচ্ছিলেন। সত্য জানিয়েছিল যে সে দেখা করতে আসবে; তাই অপেক্ষাতেই ছিলেন। সত্য গেট খুলে ঢুকতেই চায়ের যেটুকু বাকি ছিল সেটুকু চুমুক দিয়ে চটপট শেষ করে ফেললেন। সত্য স্মিত হাসতে হাসতে সরু কংক্রিটের রাস্তা ধরে বারান্দার ধারে আসতেই হাতের ইশারায় মিস্টার খান্না তাকে ভেতরে ঢুকে আসতে বললেন।

ভিতরে ড্রইং রুমে মাঝামাঝি সোফাতে দু'জনে কোনাকুনি বসে কথা শুরু করলেন।

"বল সত্য কেমন আছো? আর কেসটা ঠিক কি?"

"স্যার, আমি ভালোই আছি। কেসটা বেশ জটিল, অন্তত আমার তো লাগছে! তাই এলাম আর কি…"

"হুম, তাহলে ফাইনালি জটিল কেস পেলে, সত্য!" এই বলে একটু হাসলেন মিস্টার খান্না। "আচ্ছা, বলো, দেখি সাহায্য করতে পারি যদি কিছু…"

"হ্যাঁ আমি নিজেও পাজলড! আমি চাইছিলাম এরকম চ্যালেঞ্জিং কেস!"

"কিন্তু এটা একদম আউট অফ দা বুক হয়ে গেছে, তাই তো?"

"হ্যাঁ স্যার। তবে আমার মনে হল আপনি হয়তো একটা রাস্তা দেখাতে পারবেন।" একটু লজ্জা মিশ্রিত হাসি হেসে বলল সত্য।

"হুম আচ্ছা।"

"পুরো ব্যাপারটা খুলে বলি। ১৯৭০-এর দশকে হিমাচলের এগজোটিক হিমবন্ত ন্যাশনাল পার্কে একটা অ্যাক্সিডেন্ট হয়। একজন হাইকার খাদে পড়ে যায়। তারপর থেকে মাঝে মাঝে তার 'ভূত'-কে সেই পার্কে দেখা যায়- ওই একই জায়গা থেকে সে পড়ে যাচ্ছে! লোকে সেটা এখনো দেখতে পায় মাঝে সাজে।"

"ওহ্ এটা তো খুব কমন ব্যাপার। আনুক শুনেছি এরম!"

"হ্যাঁ স্যার এরম তো কত গল্প শুনে বড় হয়েছি। কিন্তু আপনি শুনলে অবাক হবেন যে, যে লোকটি খাদে পড়ে গেছিল সে মারা যায়নি। অনেকদিন হসপিটালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে সে বেঁচে গেছিল, আর…"

"ওয়াহ্, হাউ ইন্টারেষ্টিং…, হ্যাঁ, বলো…"

"বেঁচে গেছিলো সে, আর এখনো বেঁচে আছে। ব্রিটিশ সিটিজেন মিস্টার জর্জ ক্লার্ক!"

"বলো কি!"

"হ্যাঁ স্যার, সাসেক্সে থাকেন। ৭০-এর উপর বয়স। আমি নিজেও কথা বলেছি ওনার সাথে।"

"তুমি শিওর? কোন ভুল হচ্ছে না তো?"

"না, ফুললি ভেরিফাইড! উনি কথায় কথায় স্বীকারো করলেন ব্যাপারটা। ইনোসেন্টলি কথা বলে কথা বার করেছি।"

"ও, বাট তুমি বললে যে ভূত…"

"ওটাই তো স্যার!"

"হুম, আমায় ভাবতে হচ্ছে তো তাহলে… আচ্ছা, কথা কীভাবে বললে?"

"ফেসবুক স্যার, ফেক প্রোফাইল, হে হে!"

"আহ্ হা হা হা! আই শুড হাভ নোন!"

"ভাগ্যিস ফ্রেন্ড রিকোয়েস্টটা একসেপ্ট করলেন। না হলে ঘি উঠতো না এত সহজে।"

"ওনার হাইকিংয়ের শখ এখনো আছে, অ্যাকসিডেন্ট হওয়া সত্ত্বেও।"

"প্যাশন, সত্য, তোমার-আমার মতই…"

"হ্যাঁ স্যার, সেই...! ওনার ফ্রেন্ড লিস্ট থেকে ওনার বোনের প্রোফাইলে ঢুকে বেশ কিছু পুরনো ফটো পেলাম- কোনোটা ৬০, কোনোটা ৭০ বা ৯০-এর দশকে তোলা। কয়েকটাতে মিস্টার ক্লার্কও আছেন- তখন বয়স কম।"

"এন্ড হি ইস দ্য সেম ম্যান, রাইট?"

"ইয়েস! আমি ঘেঁটেঘুঁটে যেটা পেয়েছিলাম সেটা পুরনো লোকাল কাগজের ব্ল্যাক এন্ড হোয়াইট ছবি হলেও সেটা দেখে বোঝা যাচ্ছিল যে একই লোক। এছাড়া আই উইটনেস অ্যাকাউন্ট তো ছিলই- সেই মেয়েটি তো কালারেই দেখেছে ওনাকে- ওনার অতীতের চেহারাটাকে।"

"আই সি। খবর হয়েছিল তাহলে…"

"হ্যাঁ, লোকাল কিছু পেপারে বেরিয়েছিল খবরটা ১৯৭২-এ। তবে উনি যে বেঁচে গেছিলেন সেটা আর কাগজে বেরোয়নি। আমি অন্তত কোনো রেকর্ড পাইনি।"

"আচ্ছা, ওখানে শুধু এক্সিডেন্টের খবরটা দিয়েছিল…?"

"হ্যাঁ স্যার, আর উনি যে গুরুতর আহত, সেটা। মৃত্যুর ব্যাপারে কোনো ফলো আপও বেরোয়নি, ইফ অ্যাট অল হি হ্যাড ডাইড। আর, যে হসপিটালে ছিলেন তার পুরনো রেকর্ড থেকেও কনফার্ম করেছি। এছাড়া অন্য কোথাওও ওনার মারা যাওয়ার কোনো খবর নেই।"

"আচ্ছা। আর এতেই তোমার সন্দেহ হয় যে…"

"হ্যাঁ, এর থেকেই আমার মনে হয় যে সে যাত্রায় উনি বেঁচে গেছিলেন।"

"তা ওনার 'ভূত'-কে কেউ দেখেছে এর মধ্যে?"

"হুম, এরম মাল্টিপল সাইটিংস হয়েছে স্যার। একটা সম্প্রতি হয়েছে, এই এক মাস আগে। আই উইটনেস টেস্টিমনিটাও হাতে পেয়েছি- চিত্রা নামে একজন টুরিস্ট। একটা গ্রুপ এসেছিল।"

"একই জিনিস?"

"হ্যাঁ, যতটা জানতে পেরেছি একই স্যার।"

"আচ্ছা, তারা তো ডিসক্রাইব করবেই… এছাড়া?"

"এছাড়া, একজন পুরনো গার্ড আছে পার্কের, রবি নাম। ওনার সাথে কথা বলেছি…"

"ওকে, তো উনি কি বললেন?"

"বাকি যাদের এক্সপেরিয়েন্স হয়েছে, মানে ১৯৭৬ থেকে, ওনার চাকরির আমল থেকে…"

"আচ্ছা আচ্ছা, এই লোকটা ঠিকঠাক তো সত্য?"

"হ্যাঁ স্যার, রিজিওনাল পুলিশ স্টেশনের ওসি ভালো সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন। আরেকটা ব্যাপার- আমি ওনার পিছনে খোচর লাগিয়েছিলাম।"

"বাহ্, তুমি এসিস্টেন্টও পেয়ে গেছো?"

"হ্যাঁ স্যার, একটি মেয়ে, সিম্মি বলে। ও আমার সাথে মুভ ইন করবে শীঘ্রই।"

"আচ্ছা, বাহ! এবার তোমার কাজে গতি আসবে।"

"হ্যাঁ, সিম্মিকে যেটুকু চিনি, বেশ কাজের মেয়ে!"

"হুম, তো সিম্মিও ক্লিনচিট দিয়েছে রবিকে?"

"হুম, তাই রবিজির কথায় সামান্য ইম্পারফেকশন থাকলেও মিথ্যে কথা বলে না লোকটা।"

"এই রবি তাহলে ইনফরমেশনের খনি?"

"হ্যাঁ স্যার, পুরনো লোক! বেশকিছু সাইটিংস-এর কথা বললেন। সব মনে না থাকলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে তো সাল আর মাসও বলে দিলেন।"

"তো সব আই উইটনেসরা একই জিনিস দেখেছে?"

"হ্যাঁ, ওই শ্বেতাঙ্গ যুবকের খাদে পড়ে যাওয়া- সবক্ষেত্রে একই ডেস্ক্রিপশন!"

"ইন্টারেস্টিং…! আর জায়গাও এক?"

"হ্যাঁ স্যার, একই স্পট। কিন্তু কোন প্যাটার্ন পেলাম না!"

"মানে?"

"মানে বছরের আর কি, স্পেসিফিক গ্যাপ নেই কোন। যে এত বছর পর পর হচ্ছে, বা ওরম কিছু।"

"আচ্ছা আচ্ছা, বুঝলাম। অদ্ভুত কেস এটা! আর কিছু ইনফো পেয়েছো?"

"ওই স্যার, সাইটিং-এর কয়েকটা ডেট- ১৯৮৪, ১৯৯১, ১৯৯৯, প্রতিটাই সেপ্টেম্বর মাসের দ্বিতীয় ভাগে।"

"আচ্ছা, আই সি। ইন্টারেস্টিং…! দাঁড়াও, নোট করে নি।"

"এখানে একটা প্যাটার্ন আছে স্যার, যদি রবিজির কথা ঠিক হয় তো। সেপ্টেম্বর!"

"উমম্ হুমম..., দেখব!" সব নোট করে নিয়ে মিস্টার খান্না বললেন, "ঠিক আছে। আমায় একটু ভাবতে দাও।"

"কবে আসবো তাহলে?"

"আমায় হপ্তাখানেক সময় দাও। তারপর যোগাযোগ করে চলে এসো।"

"ওকে স্যার।"

"আচ্ছা ওই স্পটটার আর কোন ছবি আছে?"

"হ্যাঁ, ওটা 'এক্সিডেন্ট স্পট' বলে পরিচিত। গুগলে ওটার অনেক এইচ কিউ ছবি আছে।"

"আচ্ছা তবে সার্চ করলে বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল পেয়ে যাব ওটার।"

"হুম হুম।"

"ওকে, তুমি কিছু খাবে এখন?"

"না স্যার, আমি বাস পাল্টানোর ফাঁকে খেয়ে নিয়েছি।"

"আচ্ছা, ঠিক হ্যায় দেন। সাবধানে ফিরো। টেক কেয়ার!" এই বলে মিস্টার খান্না সত্যর সাথে করমর্দন করলেন।


                                                                  

সত্যর সাথে দেখা হওয়ার এক সপ্তাহ পর মিস্টার খান্না সত্যকে ডেকে পাঠালেন। সত্য আবার তাঁর বাড়ি গিয়ে হাজির হলো।

সত্যকে ঘরে বসানোর পর উনি ফ্রিজের দিকে এগোতে এগোতে বললেন: "কোল্ড কফি আছে। খাবে নাকি?"

সত্য একটু লজ্জা পেয়ে বলল, "আচ্ছা ঠিক আছে, স্যার। দিচ্ছেন যখন..."

"হুম, আমি জানি তুমি কোল্ড কফি পছন্দ করো। তাই এনে রেখেছিলাম আগেই।"

মিস্টার খান্না কফির ক্যান এনে সোফার সামনে টেবিলের উপর রাখলেন। তারপর ক্যানটা খুলে সত্যর দিকে এগিয়ে দিলেন। সত্য সেটা ধরে বলল: "খুব ঠান্ডা স্যার। একটু রুম টেম্পারেচার-এ থাক। তারপর...।"

"ওকে, অ্যাজ ইউ উইশ...। এবার যে জন্য ডেকেছিলাম, সেই কাজের কথায় আসি।"

"হ্যাঁ, আমিও মুখিয়ে আছি। পুরো রাস্তা চিন্তা করছিলাম যে কি হতে পারে।"

"আচ্ছা ফিজিসিস্ট জন ব্রান্ডেনবার্গের নাম শুনেছো?"

"না স্যার।"

"আমার মনে হয়েছিল শোনোনি।‌ না হলে তুমি হয়তো এই রিডলটা সলভ করে ফেলতে।"

সত্যকে একটু অবাক হতে দেখে মিস্টার খান্না বাকিটা বলতে লাগলেন, "উনি আমেরিকান। ওনার একটা নতুন থিওরি বাজারে এসেছে।"

"আচ্ছা আচ্ছা।"

"এই যে ক্রিপটিড-এর কেসগুলো দেখো, যেমন আফ্রিকার মোকেলে মবেম্বে। এই আছে, এই নেই, একোর্ডিং টু আই উইটনেসেস...।"

"হ্যাঁ, ইয়েতির ব্যাপারেও এরম শুনেছি আমি।" বলে উঠলো সত্য।

"হুম, ঠিকই শুনেছো...। উমম, লক নেস মনস্টার-কেও আজ অবধি পাওয়া যায়নি। কিন্তু স্কটল্যান্ড-এর লোকে দাবি করে তারা তাকে দেখেছে। কিছু আনক্লিয়ার অথচ আনএক্সপ্লেনড ফুটেজও আছে বটে।"

"হ্যাঁ, কিন্তু লক নেস হ্রদে যতগুলো এক্সপিডিশন হয়েছে তার একটাও মনস্টারের অস্তিত্বের কোনো প্রমাণ পায়নি।"

"হ্যাঁ, কোন প্রমাণ নেই। শুধু একবার একটা মোটর-বোট অ্যাক্সিডেন্ট হয়। চালক মারা যায়। হঠাৎ কেন এরকম হয়েছিল তার কারণ কেউ বলতে পারেনি। অনেকে মনে করে যে হ্রদের জলে দৈত্যটা চরে বেড়াচ্ছিল, আর বোটটা তার গায়েই ধাক্কা খায়।"

"হ্যাঁ, কেসটা চেনা চেনা লাগছে...।"

"দেখো যারা ধরো ছবি, ফুটেজ বা বাস্তবে ওটাকে দেখেছে তাদের কথা শুনে মনে করা হয় যে ওটা এক প্রজাতির অবলুপ্ত জলচর ডাইনোসর যার নাম প্লিসিওসর।"

"হ্যাঁ হ্যাঁ, এটাও পড়েছি স্যার। কিন্তু এগুলো কি এই কেসের সাথে রিলেটেড?"

"হ্যাঁ সেই জন্যই তো বলছি। ব্যাপারটা ভাবো, মোকেলে মবেম্বে এই আছে, এই নেই। ওদিকে লক নেস মনস্টার মেসোজোয়িক যুগের ডাইনোসর।"

"উমম্, এর থেকে কি প্রমাণ হচ্ছে?"

"বলছি! তার আগে আরো আছে। ১৯৭৭ সালে নর্থ আমেরিকার লেক শ্যামপ্লেইন-এ একটা ছবি তোলা হয়। দূর থেকে তোলা ছবি- দূরে একটা ডাইনোসর দেখা যাচ্ছে লেকের জলে। ওই কিছুটা লক নেস মনস্টার বা 'নেসি'র মতই লাগছে। অথচ কেউ কোনদিন ওখানে কোন ক্রিপটিড বা ডাইনোসর দেখেনি! আজ অবধি তো নয়।"

" এ আগে পড়িনি কোথাও, স্যার!"

"ঠিক আছে...। ও, নেসি যে ওই লক নেসের জন্তুটারই ডাকনাম সে তো জানোই।"

"সত্য অল্প মাথা নেড়ে বলল, "স্যার, কিন্তু ওরকম তো অনেক ফেক ফটোও হয়।"

"এই ফটোটা পরীক্ষা হয়েছে বহুবার সেই '৭৭ থেকে। এটা ১০০% জেনুইন ! ওখানেই তো মজা।"

প্রত্যুত্তরে একটা মৃদু "হুম..." বলার সময় সত্যকে বেশ চিন্তামগ্ন দেখালো।"

মিস্টার খান্না বলে চললেন, "এবার ব্যাপারটা ভাবো সত্য- তিনটে ক্রিপটিড। প্রতিটা ক্ষেত্রেই লোকে জন্তুটাকে দেখেছে বলে দৃঢ়ভাবে দাবি করে; অথচ সার্চ করে কোনদিন কিছু পাওয়া যায়নি।"

"তাহলে এর মধ্যে একটা প্যাটার্ন আছে বলছেন?"

"একদম আছে। তবে আমি বলছিনা, বলছেন জয়ন ব্রান্ডেনবার্গ!"

"ওহ্, আই সি, সেই জন্যই..."

"হ্যাঁ, এবার বলি খুলে ব্যাপারটা।"

সত্য কিছুটা বিস্ময় আর কিছুটা কৌতূহল নিয়ে শুনে চললো তার স্যার-এর কথা।

"দ্যাখো, আজকে যেখানে কঙ্গোর নদীগুলো বা ওই স্কটল্যান্ড বলো বা ওই লেক শ্যামপ্লেইন- এই সব জায়গাই একসময়ে ছিল ডাইনোসরদের খাস বিচরণভূমি। সে অবশ্য কোটি কোটি বছর আগের কথা।"

"আচ্ছা, তারই কয়েকটা আজও রয়ে গেছে বলছেন?"

"নো, তারা নেই।"

"তাহলে?"

"ওগুলো তাদের ছায়া বা ইমেজ। কিছু সেকেন্ড-এর জন্য প্রকট হয়।"

সত্য যারপরনাই অবাক হয়ে বলল, "ইমেজ, হোয়াট দ্য...!" তার শেষ কথাগুলো শোনা গেলো না।

"হ্যাঁ, ইমেজ, প্রফেসর ব্র্যান্ডেনবার্গ-এর মতে তাই-ই। এইবার কিভাবে জিনিসটা কানেক্ট করলাম সেইটা বলি।"

সত্য অবাক ভাবটা কাটানোর চেষ্টা করতে করতে মাথা নেড়ে সায় দিল।

আমি ওই হিমবন্ত ন্যাশনাল পার্কের পরিবেশ-প্রকৃতি, ইত্যাদি নিয়ে একটু ইনফো পড়ছিলাম। নেটে সার্চ করে নির্ভরযোগ্য সাইট থেকে দেখছিলাম। হঠাৎ ওখানকার মিনারেল কম্পোজিশনের টপিকটা চোখ বোলাতে গিয়ে একটা ব্যাপার আমার চোখে পড়ল!"

"কি?", কৌতুহলী সুরে জিজ্ঞাসা করল সত্য।

"ওখানকার পাহাড়গুলোতে হাই কোয়ার্টস কনটেন্ট আছে। আর এখানেই ব্রান্ডেনবার্গ আসছেন।"

সত্য একটু ভুরু কুঁচকে বললো, "ওহ্!"

"কোয়ার্টস-এর ব্যাপারটা চোখে পড়তেই আমার ব্যান্ডেনবার্গের নতুন থিওরিটা মাথায় খেলে গেল।"

"আচ্ছা আচ্ছা, নতুন থিওরি?"

"হুম সত্য, ওনার মতে এই কোয়ার্টস হলো এক কেরামতি মিনারেল। এর ওয়ার্মহোল তৈরী করার ক্ষমতা আছে!"

"ওয়ার্মহোল! কিভাবে?" অবাক হয়ে প্রশ্ন করল সত্য।

"দ্যাখো না, উনি নেসি আর শ্যামপ্লেইন মনস্টারের ব্যাখ্যা দিয়েছেন এই ভাবেই। হয়তো ইয়েতিটাও একই কেস। হু নোস্?"

"আচ্ছা স্যার, হতে পারে...। তবে পায়ের ছাপগুলো..." শেষ কথাগুলো মনে মনেই ভাবলো সত্য, তবে স্যার ছন্দে আছেন বলে এই মুহূর্তে ইয়েতির প্রসঙ্গটা আর তুললো না। উনি বলতে থাকলেন, " ওই রিজিয়ানগুলোয় জলের তলায় বা আশেপাশে, কোয়ার্টস-এর প্রাচুর্যের ফলে স্পেস-টাইম ডিসটরশান দেখা দেয়।"

"আই সি! আর তার থেকেই তৈরি ওয়ার্মহোল, যার মধ্যে দিয়ে কোটি কোটি বছর আগের এক্সটিনক্ট হওয়া প্রাণী অল্প সময়ের জন্য চোখের সামনে ভেসে উঠছে।"

"অ্যাবসোলিউটলি! আর শুধু ভেসেই উঠছে না, ইমেজগুলো এতটা কনভিন্সিং যে লোকে সেগুলোকে সত্যি সত্যি রক্ত-মাংসের প্রাণী ভাবছে।"

"হ্যাঁ স্যার, এমনকি তার অথেন্টিক ছবি পর্যন্ত তুলে ফেলেছে! একেবারে তেলেসমাতি ব্যাপার! ভাবা যায় না!"

"আর এর থেকেই জন্ম নিয়েছে ক্রিপটিড মিথ্স। তবে ৩-টের এক্সপ্লেনেশনই পাওয়া যাচ্ছে এই থিওরী থেকে।"

"এই থিওরী দিয়ে তার মানে কিছু-কিছু জেনুইন ভূত-প্রেতের কেসও ব্যাখ্যা করা যাবে।"

"হ্যাঁ, কিছু কিছু, সব নয়..."

"এই যেমন মিস্টার ক্লার্ক ভূত নন...। কিন্তু স্যার, মিস্টার ক্লার্কই কেন?"

"হুম, এটাতেই আসছিলাম। আর এটারও একটা সম্ভাব্য কারণ আছে। প্যারা-সাইকোলজিতে মানা হয় যে কোথাও কোনো ট্রমাটিক ইভেন্ট ঘটলে সেটা যেখানে ঘটেছে সেখানকার পরিবেশে একটা ছাপ রেখে দেয় ঘটনাটা।"

"আচ্ছা, এটা শুনেছি। কিন্তু আমি ভাবতাম ভূতের ব্যাপার। ব্রান্ডেনবার্গ-এর থিওরি অজানা ছিল। তাই ওই অ্যাঙ্গেল দিয়ে ভাবিনি কখনো।"

"হ্যাঁ গো। আর অনেকে ক্লেম করে না যে তারা গোটা একটা সেনাবাহিনী দেখেছে চোখের সামনে, বা প্রাচীন দুই রাজার বাহিনীর যুদ্ধ হতে দেখেছে ভর দুপুর বেলায়। হয়তো এবার তার এক্সপ্লেনেশন পাওয়া যাচ্ছে।"

"হ্যাঁ, এই ধরনের কেসগুলো আমারও জানা। ইতিহাস ঘেঁটে দেখা গেছে সত্যি সত্যি অতীতে কোনো এক কালে ওই স্পটে ওরম যুদ্ধ হয়েছিল!"

"হুম, আর দ্যাখো, যুদ্ধও কিন্তু এক ধরণের ট্রমাটিক ইভেন্টই!"

"তাহলে সবকিছু পরলোক বা অন্য ডাইমেনশন-এর কেস নয়। অতীতের দৃশ্যও দেখা যায় ওয়ার্মহোল-এর জানালা দিয়ে।"

"তবে দেখতে হবে যুদ্ধের কেসগুলোয় কোয়ার্টস বা ওরম কিছুর ভূমিকাও আছে কিনা। নাকি শুধুই ট্রমা..."

"সেটাই স্যার। মিস্টার ক্লার্ক-এর কেসটায় যদিও ট্রমা আর কোয়ার্টস দুটোই আমরা পাচ্ছি। পাহাড় থেকে পড়ে যাওয়ার আতঙ্ক আর শক! আর আশেপাশের পাহাড়ের পাথরে প্রচুর কোয়ার্টস।"

"হ্যাঁ, এটা ক্লাসিক কেস বলতে পারো। ভদ্রলোক আজও ইংল্যান্ডে বহাল তবিয়তে বেঁচে আছেন, আর এদিকে হিমাচল প্রদেশে লোকে ওনারই ভূতের ভয়ে তটস্থ হচ্ছে!"

"হা হা হা, সেই স্যার! উমম্, তাহলে ব্যাপারটার নিষ্পত্তি হল।"

"হ্যাঁ, আশা করা যায়। এবার কফিটায় চুমুক দাও প্লিজ। এতক্ষণে ঠান্ডা কমেছে ঠিক।" চাপা হাসি হাসতে হাসতে বললেন মিস্টার খান্না।

সত্য মাথা নিচু করে ক্যানটা ধরতে যাচ্ছিল; এমন সময় কিছু একটা মাথায় আসতেই, মুখ তুলে আবার প্রশ্ন করল, "একটা ব্যাপার স্যার- এই যে সাইটিং-গুলো, এগুলো মাঝে মাঝে হয় কেন?" আই মিন, রেগুলার বা সবসময় হচ্ছে যে তা তো নয়..."

"ভেরি ভ্যালিড পয়েন্ট সত্য! আমার মনে হয় তিথি, ঋতু, পরিবেশ; বা বিশেষ বিশেষ দিনের আবহাওয়া। তারপর ম্যাগনেটিক ফিল্ড! ওটাও ইম্পর্টেন্ট। আমি যতদূর জানি এগুলোর একটা প্রভাব পড়ে, বা এগুলো অনুঘটক হিসাবে কাজ করে। যতদূর মনে পড়ছে, জ্যোতিষ শাস্ত্রতেও ব্যাপারগুলো আমরা পাই।"

"আর স্যার, এরমও তো হয় বা হতে পারে যে ঠিক যেদিন এ-ব্যাপারটা হয়েছিল ঠিক সেই দিনেই এই ব্যাপারটার পুনরাবৃত্তি হয় আজকের দিনের মানুষের চোখের সামনে। একই ডেট-এ আর কি..."

"ইয়েস, এটাও পসিবল। ওই যে তুমি বলেছিলে না, লেট সেপটেমবারে..., না সরি, সেকেন্ড হাফ অফ সেপ্টেম্বরে ২-৩টে সাইটিংস হয়েছে। আর বাকিগুলোর ডেট জানা নেই। তো দ্যাখো সেপ্টেম্বর-এর ২২-২৩ তারিখে তো অটমনাল একুইনক্স থাকে। তার একটা ইফেক্ট..."

"ওহ্ আই শুড হাভে নোন দিস বিফোর!"

"কি?"

"স্যার, ক্লার্ক বাবুর ব্যাপারটা ৭০'স-এ যে পেপারে বেরোয় তার ডেট ছিল ২৪শে সেপ্টেম্বর। তার মানে একদিন আগের ঘটনা হলে উনি পড়ে গিয়েছিলেন ২৩ তারিখে।"

"হুম, বাট দিনটার ব্যাপারে তুমি নিশ্চিত? নোট করে রেখেছো?"

"হ্যাঁ স্যার, নোটও করা আছে আর মাথায়ও আছে।"

"আচ্ছা ওকে, তাহলে তো ঠিকই আছে।"

"রবিজি যা বলেছিলেন সেটা তো বলছিলামই আপনাকে। সেকেন্ড হাফ অফ সেপ্টেম্বরে সাইটিংস। রবিজির ডেট মনে ছিল না। হোক না হোক ওই ২২ থেকে ২৩ তারিখ নাগাদ সব সাইটিংসগুলো হয়!"

"হুম, ইন্ট্রেস্টিং ইন্ডিড!"

"তাহলে ওই দিন পড়ে যাওয়ার জন্যই হয়তো দেখায় ওই টাইমে।"

"হ্যাঁ হ্যাঁ, কোয়াইট পসিবল। তবে এটাও ভুললে চলবেনা যে ইট ইজ দ্য একুইনক্স ডে; তাই ওটারও হাত থাকতে পারে।"

"সেই। এই ক্ষেত্রে হয়তো দু'টোই একসাথে এক জায়গায় এসেছে- দ্য আনফরচুনেট ডেট এন্ড অটাম একুইনক্স! আর তার সাথে কোয়ার্টস আর ট্রমা! দ্য গ্রেট আলাইনমেন্ট, স্যার।"

"যা বলেছ!" বলে মিস্টার খান্না আর সত্য দু'জনেই হাসতে লাগলেন, আর তার ফাঁকে বললেন, "নাও ফিনিশ ইওর কফি বিফোর ইউ লীভ!"

জটিল রহস্যের সমাধান হওয়ায় অনেকটা নিশ্চিন্ত হয়ে সত্য শেষ পর্যন্ত কফিতে চুমুক দিলো।
                                                                                                                         
                                                               সমাপ্ত
 


নাম: আলাপন রায় চৌধুরী। 
ঠিকানা: দমদম, কলকাতা- ৭০০০৬৫।
চলভাষ নম্বর: + ৯১ ৮৯৬১ ১০৫ ৭৬৫।
হোয়াটস এপ: +৬৪ ০২২ ৩১৮ ৪১১৪।




 

=========================================================

Better  Some Tabs. For You

1. 



Samsung Galaxy Tab A 10.1 (10.1 inch, RAM 2GB, ROM 32GB, Wi-Fi-Only), Black

Deal Price: Rs. 12,499.00

Extra 10%  direct off  on SBI Card (20-23 Jan, 2021)

For Details CLICK HERE

2. 


Lenovo Tab M10 HD Tablet (10.1 inch, 2GB, 32GB, Wi-Fi Only) Slate Black

Deal Price: Rs. 9,990.00

Extra 10%  direct off  on SBI Card (20-23 Jan, 2021)

For Details CLICK HERE

3. 

Samsung Galaxy Tab A7 (10.4 inch, RAM 3 GB, ROM 32 GB, Wi-Fi-only), Grey

Deal Price: Rs. 16,999.00

Extra 10%  direct off  on SBI Card (20-23 Jan, 2021)

For Details CLICK HERE

=======================

Click Here To Find More Tabs.

========================

মন্তব্যসমূহ