Featured Post
নিবন্ধ ।। অমর ২১শে ফেব্রুয়ারী বাঙ্গালীর বাংলা ভাষা দুর্জয় দিবস ।। বটু কৃষ্ণ হালদার
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
অমর ২১শে ফেব্রুয়ারী বাঙ্গালীর বাংলা ভাষা দুর্জয় দিবস
বটু কৃষ্ণ হালদার
২১ শে ফেব্রুয়ারি এলেই আব্দুল গাফফার চৌধুরীর সেই মর্মস্পর্শী গানের কথা মনে পড়ে যায়:--"আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি
আমি কি ভুলিতে পারি
ছেলেহারা শত মায়ের অশ্রু-গড়া এ ফেব্রুয়ারি
আমি কি ভুলিতে পারি
আমার সোনার দেশের রক্তে রাঙানো ফেব্রুয়ারি
আমি কি ভুলিতে পারি"।
শুধু বাঙালি নয়, বিশ্বের প্রতিটি জাতির মাতৃভাষার মর্যাদা, স্বাধিকার, স্বাধীনতা ও মানুষের মতো বাঁচার দাবির সংগ্রামের দুর্জয় অনুপ্রেরণা সৃষ্টির চির অনির্বাণ শিখার দীপ্তিতে দিগন্ত উদ্ভাসিত করেছে ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’।
‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ এদেশের মানুষকে শিখিয়েছে আত্মত্যাগের মন্ত্র, বাঙালিকে করেছে মহীয়ান।
সমগ্র বিশ্বের ইতিহাস জানে ভাষা আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে একটি দেশের জন্ম হয়েছিল তার নাম বাংলাদেশ। আর ভাষাটির নাম হল সমগ্র বাঙালি জাতির প্রাণের ভাষা বাংলা ভাষা।আর সেই বাঙ্গালীদের উপর পাকিস্তানি হায়নাদের চাপিয়ে দেওয়া ভাষাটার নাম ছিল উর্দু।জাত ধর্ম নির্বিশেষে আপামর বাঙালি জনসাধারণ পাকিস্তানীদের জোর করে চাপিয়ে দেওয়া উর্দুভাষা মেনে নেয়নি। যার ফলে ভাষা আন্দোলন তৎকালীন সময় অর্থাৎ ১৯৫২ সালে ব্যাপক রূপ ধারণ করে।দাবালনের আগুনের ফুলকির মতো চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে।সেই আন্দোলন রুখতে তৎপর হয়ে পড়ে পাকিস্তানিরা। কিন্তু বাঙালির প্রাণের বাংলা ভাষা কেড়ে নিতে পারেনি তাদের মুখ ও মন থেকে।
কি ছিল সেই ইতিহাস তা একটু জেনে নেওয়া দরকার।
১৯৪৭ সালে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ব্রিটিশ ভারত ভাগ হয়ে পাকিস্তান অধিরাজ্য ও ভারত অধিরাজ্য নামক দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের উদ্ভব হয়। পাকিস্তানের ছিল দুইটি অংশ: পূর্ব বাংলা (১৯৫৫ সালে পুনর্নামাঙ্কিত পূর্ব পাকিস্তান) ও পশ্চিম পাকিস্তান। প্রায় দুই হাজার কিলোমিটারের (প্রায় ১২৪৩ মাইল) অধিক দূরত্বের ব্যবধানে অবস্থিত পাকিস্তানের দুটি অংশের মধ্যে সাংস্কৃতিক, ভৌগোলিক ও ভাষাগত দিক থেকে অনেকগুলো মৌলিক পার্থক্য বিরাজমান ছিল। ১৯৪৮ সালে পাকিস্তান অধিরাজ্য সরকার পূর্ব পাকিস্তান তথা পূর্ব বাংলাকে ইসলামীকরণ তথা আরবিকরণের অংশ হিসেবে ঘোষণা করে যে, উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা, পাশাপাশি বিকল্প হিসেবে আরবি হরফে বাংলা লিখন অথবা সমগ্র পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা আরবি করারও প্রস্তাব দেওয়া হয়। আবার, সমগ্র পাকিস্তানের সকল ভাষা লাতিন হরফে লেখার মাধ্যমে বাংলার রোমানীকরণের প্রস্তাবও করা হয়। এসকল ঘটনার প্রেক্ষাপটে পূর্ব বাংলায় অবস্থানকারী বাংলাভাষী সাধারণ জনগণের মধ্যে গভীর ক্ষোভের জন্ম হয় ও বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। কার্যত পূর্ব বাংলার বাংলাভাষী মানুষ আকস্মিক ও অন্যায্য এ সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারেনি এবং মানসিকভাবে মোটেও প্রস্তুত ছিল না। ফলস্বরূপ বাংলাভাষার সম-মর্যাদার দাবিতে পূর্ব বাংলায় আন্দোলন দ্রুত দানা বেঁধে ওঠে। আন্দোলন দমনে পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি করে ঢাকা শহরে মিছিল, সমাবেশ ইত্যাদি বেআইনি ও নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি (৮ই ফাল্গুন ১৩৫৮) এ আদেশ অমান্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু সংখ্যক ছাত্র ও প্রগতিশীল কিছু রাজনৈতিক কর্মী মিলে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। মিছিলটি ঢাকা মেডিকেল কলেজের কাছাকাছি এলে পুলিশ ১৪৪ ধারা অবমাননার অজুহাতে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। গুলিতে নিহত হন বাদামতলী কমার্শিয়াল প্রেসের মালিকের ছেলে রফিক,সালাম, এম. এ. ক্লাসের ছাত্র বরকত ও আব্দুল জব্বারসহআরও অনেকে। এছাড়া ১৭ জন ছাত্র-যুবক আহত হয়। শহীদদের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়ে ওঠে। শোকাবহ এ ঘটনার অভিঘাতে সমগ্র পূর্ব বাংলায় তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ২১শে ফেব্রুয়ারির ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে সারাদেশে বিদ্রোহের আগুন দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে। ২২শে ও ২৩শে ফেব্রুয়ারি ছাত্র, শ্রমিক, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক ও সাধারণ জনতা পূর্ণ হরতাল পালন করে এবং সভা-শোভাযাত্রাসহ ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে। ২২শে ফেব্রুয়ারি পুলিশের গুলিতে শহীদ হন শফিউর রহমান শফিক, রিক্সাচালক আউয়াল এবং অলিউল্লাহ নামক এক কিশোর।২৩শে ফেব্রুয়ারি ফুলবাড়িয়ায় ছাত্র-জনতার মিছিলেও পুলিশ অত্যাচার-নিপীড়ন চালায়। এ নির্লজ্জ, পাশবিক, পুলিশি হামলার প্রতিবাদে মুসলিম লীগ সংসদীয় দল থেকে সেদিনই পদত্যাগ করেন। ভাষা আন্দোলনের শহীদ স্মৃতিকে অম্লান করে রাখার জন্য মেডিকেল কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গণে রাতারাতি ছাত্রদের দ্বারা গড়ে ওঠে শহীদ মিনার, যা ২৪ ফেব্রুয়ারি উদ্বোধন করেন শহীদ শফিউর রহমানের পিতা। ২৬শে ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে শহীদ মিনারের উদ্বোধন করেন দৈনিক আজাদ পত্রিকার সম্পাদক আবুল কালাম শামসুদ্দীন।
ক্রমবর্ধমান গণআন্দোলনের মুখে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার শেষ পর্যন্ত নতি স্বীকার করতে বাধ্য হয় এবং ১৯৫৪ সালের ৭ই মে পাকিস্তান গণপরিষদে বাংলা অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে গৃহীত হয়।১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান প্রণীত হলে ২১৪ নং অনুচ্ছেদে বাংলা ও উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে উল্লিখিত হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হলে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলা প্রবর্তিত হয়। সর্বস্তরে বাংলার ব্যবহার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার ১৯৮৭ সালে বাংলা ভাষা প্রচলন আইন জারি করে। ইউনেস্কো ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর বাংলা ভাষা আন্দোলন,মানুষের ভাষা এবং কৃষ্টির অধিকারের প্রতি সম্মান জানিয়ে ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে যা বৈশ্বিক পর্যায়ে সাংবার্ষিকভাবে গভীর শ্রদ্ধা ও যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে উদ্যাপন করা হয়।
এবার আসা যাক আসামের শিলচরে বরাক উপত্যকায় ভাষা আন্দোলনের প্রসঙ্গে।এখানের ইতিহাস বলছে বহু যুগ ধরে বসবাসকারী বাংলা ভাষা সংস্কৃতি বুকের মাঝে বাঁচিয়ে রেখে ছিল বরাক উপত্যকার বাঙালিরা।কিন্তু আসাম সরকার তাদের উপর জোর করে অসমীয়া ভাষা চাপিয়ে দিচ্ছিলেন।কিন্তু আপামর বাঙালিরা অসমিয়া ভাষা মেনে নেয় নি।কারণ রক্তে মিশে আছে বাংলা ভাষা,সংস্কৃতির মূলমন্ত্র।শুরু হয় আন্দোলন।১০ অক্টোবর, ১৯৬০ সালের সেই সময়ের অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিমলা প্রসাদ চলিহা অসমীয়াকে আসামের একমাত্র সরকারী ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়ার প্রস্তাব উত্থাপন করেন। উত্তর করিমগঞ্জ-এর বিধায়ক রণেন্দ্রমোহন দাস এই প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু ২৪ অক্টোবর প্রস্তাবটি বিধানসভায় গৃহীত হয়।বরাক উপত্যকার বাঙালীদের ওপরে অসমীয়া ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে ১৯৬১ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি তারিখে কাছাড় গণ সংগ্রাম পরিষদ নামক সংগঠনটির জন্ম হয়। আসাম সরকারের এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে ১৪ এপ্রিল তারিখে শিলচর, করিমগঞ্জ আর হাইলাকান্দির লোকেরা সংকল্প দিবস পালন করেন । বরাকের জনগণের মধ্যে সজাগতা সৃষ্টি করার জন্য এই পরিষদ ২৪ এপ্রিল একপক্ষ দীর্ঘ একটি পদযাত্রা শুরু করেছিল। ২ মে তে শেষ হওয়া এই পদযাত্রাটিতে অংশ নেওয়া সত্যাগ্রহীরা প্রায় ২০০ মাইল উপত্যকাটির গ্রামে গ্রামে ঘুরে প্রচার চালিয়েছিলেন। পদযাত্রার শেষে পরিষদের মুখ্যাধিকারী রথীন্দ্রনাথ সেন ঘোষণা করেছিলেন যে, যদি ১৩ এপ্রিল,১৯৬১ সালের ভিতর বাংলাকে সরকারী ভাষা হিসেবে ঘোষণা করা না হয়, ১৯ মে তে তারা ব্যাপক হরতাল করবেন। ১২ মে তে অসম রাইফেল, মাদ্রাজ রেজিমেন্ট ও কেন্দ্রীয় সংরক্ষিত পুলিশ বাহিনী শিলচরে ফ্ল্যাগ মার্চ করেছিল।১৮ মে তে অসম পুলিশ আন্দোলনের তিনজন নেতা নলিনীকান্ত দাস, রথীন্দ্রনাথ সেন ও বিধুভূষণ চৌধুরী (সাপ্তাহিক যুগশক্তির সম্পাদক) কে গ্রেপ্তার করে।১৯ মে তে শিলচর, করিমগঞ্জ ও হাইলাকান্দিতে হরতাল ও পিকেটিং আরম্ভ হয়। করিমগঞ্জে আন্দোলনকারীরা সরকারি কার্যালয়, রেলওয়ে স্টেশন, কোর্ট ইত্যাদিতে পিকেটিং করেন। শিলচরে তারা রেলওয়ে স্টেশনে সত্যাগ্রহ করেছিলেন। বিকেল ৪টার সময়সূচির ট্রেনটির সময় পার হওয়ার পর হরতাল শেষ করার কথা ছিল। ভোর ৫:৪০ এর ট্রেনটির একটিও টিকিট বিক্রি হয় নি। সকালে হরতাল শান্তিপূর্ণ ভাবে অতিবাহিত হয়েছিল। কিন্তু বিকালে স্টেশনে অসম রাইফেল এসে উপস্থিত হয়।
বিকেল প্রায় ২:৩০র সময় ন'জন সত্যাগ্রহীকে কাটিগোরা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের একটি ট্রাক তারাপুর স্টেশনের (বর্তমানের শিলচর রেলওয়ে স্টেশন) কাছ থেকে পার হয়ে যাচ্ছিল । পিকেটিংকারী সকলে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যেতে দেখে তীব্র প্রতিবাদ করেন। ভয় পেয়ে ট্রাকচালক সহ পুলিশরা বন্দীদের ফেলে পালিয়ে যায়। এর পর কোনো অসনাক্ত লোক ট্রাকটি জ্বালিয়ে দেয়, যদিও জনগণের তৎপরতার সাথে সাথে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তারপর প্রায় ২:৩৫ নাগাদ স্টেশনের সুরক্ষায় থাকা প্যারামিলিটারি বাহিনী আন্দোলনকারীদেরকে বন্দুক ও লাঠি দিয়ে মারতে শুরু করে। এরপর সাত মিনিটের ভিতর তারা ১৭ রাউণ্ড গুলি আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে চালায়।অনেক লোকের দেহে গুলি লেগেছিল। তাদের মধ্যে ন'জন সেদিনই নিহত হয়েছিলেন; দু'জন পরদিন শহিদ হন। ২০ মে তে শিলচরের জনগণ শহিদদের শবদেহ নিয়ে শোকমিছিল করে প্রতিবাদ সাব্যস্ত করেছিলেন।এই ঘটনার পর অসম সরকার বরাক উপত্যকায় বাংলাকে সরকারি ভাষা হিসাবে ঘোষণা করতে বাধ্য হয়।একইভাবে সংঘটিত হয়েছিল মানভূমের ভাষা আন্দোলন।
ইতিমধ্যে বিশ্বের সবথেকে সুন্দর ও সুমধুর ভাষার তকমা জুটেছে বাংলাভাষার কপালে। ইউনেস্কোতে নিজের জায়গা পাকা করেছে বাঙালির হৃদয়ের ভাষা।কিন্তু বাংলা ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস গভীর ভাবে অনুধাবন করলে বোঝা যায় এই ভাষা বিশ্বের ইতিহাসে সব থেকে বেশি অসহায় আর বিপন্ন।তার কারণ ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস বাংলা ভাষা ছাড়া অন্য ভাষার ক্ষেত্রে অসহায় ও বিপন্ন হয়ে আন্দোলন হয়েছে কি? মুখের ভাষা,মনের ভাষা সাহিত্যের ভাষা বাঁচিয়ে রাখতে কোন রক্তপাত ঘটেছে?
বর্তমান সময়ে এসেও এই বাংলায় জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে হিন্দি ভাষা।কিন্তু ভারত কোন নির্দিষ্ট ভাষার দেশ নয়।এই দেশ তো ভিন্ন ভাষা,ভিন্ন ধর্মের মহা মিলন ক্ষেত্র তা ভুলে গেলে চলবে না।হিন্দি ভাষা আগ্রাসনের পর এই বাংলায় উর্দু ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার প্রয়াস চলছে।
তবে মনে রাখতে হবে একুশে ফেব্রুয়ারি পূর্ব পাকিস্তান স্বৈরাচারী শাসকদের ভাষা নীতির প্রতিবাদে বাংলা ভাষা অধিকার প্রতিষ্ঠাতায় শহীদ হয়ে তরুণ ভাষা সৈনিকরা যে ইতিহাস রচনা করেছিল সেই গৌরব গাঁথা সাহস যুগিয়েছিল ৬১'র ভাষা আন্দোলনকে। তাই একুশে ফেব্রুয়ারির প্রেরণা শুধুমাত্র ওপার বাংলার বাংলা ভাষা সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখে তা নয় যখনই বাংলা ভাষা মুখের থেকে কেড়ে নেওয়ার প্রয়াস হয়েছে বাংলা ভাষা অস্তিত্ব বিপন্ন হয়েছে তখনই একুশে ফেব্রুয়ারি, ভাষা আন্দোলনকারীদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। তাই বর্তমান সময়ে নয় অতীতে এবং আগামী ভবিষ্যতেও বাঙ্গালীদের ভাষা সংস্কৃতি উপর কারো দখলদারি বাঙালি সমাজ মেনে নেবে না। যদি দরকার হয় তার জন্য আরও একটা ভাষা আন্দোলন গড়ে তুলবেই নিজের ভাষাকে বাঁচিয়ে রাখতে। বাংলা উন্মুক্ত ছিল বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য বর্তমানে আছে এবং আগামী ভবিষ্যতেও থাকবে।এখানে হিন্দি,উর্দুর প্রভাব কোনমতেই মেনে নেবে না।
--------–-----------------------
বটু কৃষ্ণ হালদার ,কোল _১০৪
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন