দুটি কবিতা ।। রানা জামান
বাংলা ভাষা তুষার শান্তি
কার্জন হলে জিন্নাহ যখন বললো উচ্চ স্বরে,
উর্দু ভাষা বলতে হবে বাংলার প্রত্যেক ঘরে।
ছাত্র সকল প্রতিবাদে বললো তখন 'নো নো!'
বাংলা বলতে মানবো নাতো বাঁধা-নিষেধ কোনো।
শুরু হলো মিছিল মিটিং চিকা মারা রাতে,
ছাত্র শিক্ষক আমজনতা ছিলো দ্রোহের সাথে।
আন্দোলনে পেরিয়ে যায় পুরো পাঁচটি বছর,
পুব আকাশে আঁধার ঘুচে আসতে থাকে পসর।
বায়ান্ন সাল ফেব্রুয়ারি নিয়ে এলো সামনে,
ভাষা রক্ষায় পাকি শাসক যত খুশি দাম নে।
একুশ তারিখ রোজ সকালে কার্ফু আইন ভাঙে,
তাজা রক্তে ঢাকার অনেক রাস্তা সড়ক রাঙে।
শহীদ হলো সালাম জব্বার রফিক সফি বরকত,
শাসক হারায় দূরে গেলো বাংলা বলার হরকত।
শহীদ মিনার গড়া হলো স্মরণ রাখতে ওঁদের,
মায়ের ভাষা তুষার শান্তি চৈত্রের প্রখর রোদের।
বাংলা রাখি মাথায় ধরে
মায়ের বোলে শেখা ভাষা
বাংলা আমার অধিক খাসা
পড়ার পরে লিখি,
ব্যথা পেলে মাকে ডাকি
আমের ভর্তার স্বাদটা চাখি
জলে সাঁতার শিখি।
এই ভাষাটা করতে রক্ষা
অনেক দ্রোহী পেলো অক্কা
বাংলা রক্তে ভিজে,
প্রতি বছর একুশ এলে
শ্রদ্ধার পায়রা পাখা মেলে
গাইছি গানটা নিজে।
ইংলিশ শিখি ঠেকায় পড়ে
বাংলা রাখি মাথায় ধরে
ও যে মনের খোরাক,
বিদেশ গেলে সুযোগ পেয়ে
বাংলায় উচ্ছ্বল উঠি নেয়ে
পেয়ে যাই যে বোরাক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন