নারী
অনেকের কাছে অভ্যাস,তো অনেকের কাছে লালসা,
অনেকের কাছে চাওয়া-পাওয়া, তো অনেকের কাছে ভালোবাসা।
অনেকের কাছে অনুভূতির প্রকাশ, তো অনেকের কাছে পরিতৃপ্তি।
এতো কথা যখন সবাই ভাবে,তখন অপরজন বলে
প্রয়োজন আছে কি খুব!!? না হলেও চলে ....
হ্যাঁ, না হলেও চলে .....
তবু মন চায়,নিরালা বাড়ির কোণে,
অপেক্ষারত নারী,নীরবে পাশে এসে দাঁড়াক,
বেড়ে দিক অন্ন,পরম তৃপ্তি ভরে ক্ষুধাবৃত্তি সম্পন্য।
মাতৃসমা নারী,হোক প্রেয়সী, নিক কাছে টেনে,ভরে দিক আদরে আদরে,
গলে যাক প্রতি আদরে একটু একটু করে,
তৃপ্ত হই দোঁহে,একে অপরের সান্নিধ্যে।
পরিশ্রান্ত দেহে যখন নিদ্রা আসে চোখে,
ক্রন্দনরত শিশু,শান্ত মাতৃদুগ্ধে।
পাশ ফিরে দেখি মমতাময়ী মা স্তনদুগ্ধ দানে ব্যস্ত,
দিনভর পরিশ্রান্ত,ক্লান্ত প্রেয়সী,তখন গর্বিত জননী।
হ্যাঁ,না হলেও চলে .....
কিন্তু নারীর অন্নপূর্ণা রূপ,বা প্রেয়সী জায়া,
স্তনদানে মত্ত জননী তৃপ্ত স্নেহশিলা বা সেবিকা,
কোনো রূপটাই কি হতো পরিপূর্ণ,
যদি নারী না হত পুরুষের কন্ঠললিতা!!?
নারী যেমন সৃষ্টির দুহিতা, পুরুষ সৃষ্টিকর্তা,
তাই পরিপূর্ণ দুজনাতে,তৃপ্ত নারী তার নানা রূপে,
পুরুষও ধন্য নারীর ভিন্ন স্পর্শে।
এটাই চাওয়া-পাওয়া,এটাই ভালোবাসা,
এটাই অনুভূতির প্রকাশ, এটাই পরিতৃপ্তি।