হ্যাপি উইমেন্স ডে
আবার মেয়ে ? চলবে না । নষ্ট করো !
সময় পেরোনোর আগেই ভ্রূণটাকে মেরে ফেলো ।
মেশিনটার ফরমাটই বোধহয় সেরকম ।
সবই মেয়ে ।
চলো পাল্টাও । ছুঁড়ে ফেলো মেশিনটা !
নতুন আনো । দেখা যাক ।
মুখে বলো "হ্যাপি উইমেন্স ডে" !
সেকী কথা ! ! বিয়ের বছর ঘুরে গেলো !
এখনো পণের টাকা বাকি ?
খুব অন্যায় ।
মারো । কাজ না হলে পুড়িয়ে মারো ।
নির্দয় জল্লাদ আমরা তখন ।
লোহা লক্করের পাঁজর শয্যায়
চিরনিদ্রায় বিবেক, মনুষ্যত্ব !
বোল উঠুক ব্যাক গ্রাউন্ডে_
"হ্যাপি উইমেন্স ডে "
আমরা কাজে কম্মে যাই ;
রাত বিরেতে বাড়ি ফিরি !
তাই বলে তাদেরও সে স্বাধীনতা ?
সম বেতনের অধিকার ?
কিম্বা
হিংস্র কামুক সিংহের রক্ত চক্ষু অগ্রে
স্বল্প বাসে অর্ধাবৃত
উত্থিত মাংস পিন্ডের হাত ছানি ?
পোশাকের স্বাধীনতা ?
এত দুঃসাহস !
ধরো মালটাকে !
মুখ বেঁধে ওই নির্জনে নিয়ে
কেড়ে নাও সব ইজ্জত আব্রু !
ধর্ষিতার লেবেল এঁটে চিলে কোঠায়
কিম্বা
মরার গাদায় ঠাঁই দাও ।
আর তারস্বরে বলো _
"হ্যাপি উইমেন্স ডে " ।
এই মেয়ে তুই বাসন মাজ, কাপড় কাচ ।
ঘরের সব কাজ কর ।
তোর স্কুলে গিয়ে কাজ নেই ।
সেইতো পরের বাড়ির ঝি হবি !
তার চেয়ে বরং ছেলেটা যাক ! ওর ভবিষ্যৎ আছে !
তীব্র হুংকার অসহায় পিতার !
বাতাসে ভাসুক ব্যঙ্গাত্মক ধ্বনি_
"হ্যাপি উইমেন্স ডে " ।
নারীরা স্বাধীন হবে ? নিজের পায়ে দাঁড়াবে ?
সবেতেই অবাধ বিচরন হবে !
তখন কী হবে পুরুষ তান্ত্রিকতার ! !
তাই সুকুমার বৃত্তি নষ্টের অছিলায়
কিম্বা
সংস্কারের বেড়ি দিয়ে আটকে রাখো
রান্না ঘর আর শোবার ঘরে !
ও হ্যাঁ, বলতে ভুলোনা _
"হ্যাপি উইমেন্স ডে " !