ঋতুমতী
আমার ছোট্ট বোন ঝিনটি। জন্মের পর ডাক্তার যখন তোকে আমার হাতে দিলো স্বর্গ সুখ অনুভব করছিলাম তোকে হাতে পেয়ে। হটাৎ করে তুই একদিন বড় হয়ে গেলি। আমার কাছে এসে জানতে চাইলি দিদিভাই ঋতু কী???
আমি তো অবাক ক্লাস 6 এ পড়া মেয়ে আমায় ঋতু মানে জানতে চাইছে। মাথায় টোকা মেরে বললাম এটা তোর ছোট বেলায় শেখা উচিত ছিল। তুই দেখলাম খুব হাসছিস। আরে সেই ঋতু নয় রে তোদের কি জানো একটা হয় না।
ও আচ্ছা তা সেটা কার থেকে জানলি.... বলতেই তোর মুখের বিষন্নতা বুঝিয়ে দিলো না আমায় দিদি নয় বন্ধু হতে হবে।
উত্তর দিতে শুরু করলাম- তুই যেদিন প্রখর দাবদাহে খুব কষ্ট পাবি। কাউকে বোঝাতে পারবিনা তোর কষ্ট সেদিন গ্রীষ্ম। তোর কষ্টটা যখন অঝোর ধারায় ঝড়বে সেদিন বর্ষা। মেঘ কেটে যেদিন তোর মুখে দেখতেপাবি পেঁজা তুলোর মতো মেঘের ফাঁকে রোদের ঝিলিক সেদিন তোর শরৎ। তার পর দিন দেখবি তুই শিশিরের মতো ভিজছিস অনুভব করবি হেমন্ত। শিশির ভেজা ঘাসে যখন তুই খুব ক্লান্তি অনুভব করবি তোর প্রিয় নলেন গুড়ের সন্দেশ ধরবো তোর মুখে। জড়তা
কেটে তোর জীবনে প্রথম বার আসবে আজীবনের বসন্ত।
বিজ্ঞের মত ঘাড় নাড়লো ঝিনটি।