
বস্ত্রজাত
একটা পূরককথা, অগোছাল আলমারি থেকে জনৈক মারিঘুম টেনে হ্যাঁচড়ে বের করেছে শীতকালের সৌখিন ছড়াগুলোকে।
একেক রঙ, হরেক সাইজ, খেলাচ্ছলে গায়ে চড়াই, জ্বলে ওঠে ফিকে হয়ে আসা বস্ত্রাদির প্রাণ
শব্দকোষ থেকে সাজাই বর্ণমালাদের, প্রিয় সন্তানের স্থাপত্যে নিজের যতটুকু নিঙড়ে দেওয়া থাকে মায়ের
তারপর রোদ খাওয়ানোর জন্য হাতলওয়ালা চেয়ারে বারান্দায় বসিয়ে দিই ক্লিপ এঁটে।
ডুবে যাই ঘরের কাজে
ক্লিপের কষ্টে ছানারা ফোঁপায়
সজল চোখগুলো আড়ত হয়ে ওঠে দুঃখের
বৃষ্টি শুরু হয়.. কাগজগুলো এলোমেলো উড়ে বেড়ায় ঘরবারান্দায়
বোঁজা চোখে খিদের অপস্বপ্ন , চোখের কাঁচে গুড়ো ঘাম
আর চোখ খুললে কান্নায় মুছে যাওয়া কবিতার অক্ষরগুলো... অদৃশ্য অনূভুতিসমেত এড়িয়ে যাওয়া জনবর্জিত দিনের মত।