অক্টোপাস
রূপকথার রাজমহলে লাল ইট খসে যায়
মনের কৌটোয় স্মৃতিরা বড়ই অবুঝ
জমে থাকা যন্ত্রনা অঙ্কুরিত হয় নিঃশব্দে
সবুজ ছোট্ট পাতায় রোদের উত্তাপ।
এখনও সেই চোখ দুটি যেন তারা হয়
রাতের ঘাসে বুনো ভালবাসার রতি-জন্ম
কয়েকটি জাদু তুবড়ির রোশনাই
তারপরই আসে বিশ্বাসঘাতক অন্ধকার ।
সামনে পেছনে উত্তরে দক্ষিণে
অসংখ্য কিলবিলে অক্টোপাস
ভালোবাসা কোথায়?
আঁকড়ে ধরে অক্টোপাস- বিভীষিকা!
খেলা
খেলবো বলে তোর সঙ্গে মেতেছি খেলায়
স্বচ্ছ বর্ণালী ছায়ায় তুই রূপসী ইছামতী
ছুটে বেড়াস যেন নিঃশব্দ ছন্দের উপমা।
সাগর নিভৃতে অপেক্ষায় ক্রান্তিকাল -
স্ফুটনাঙ্কে চঞ্চল মোহময় দ্রাক্ষামধু
তোর কলাবতী রূপের কথা শোনায়।
এখনো আসেনি জাদুকরী বর্ষা ঋতু
গত বর্ষার বিগত মেঘেরা জানিয়েছে
তাদের সংগোপন বালুচর ব্রতকথা।
তোর বৃষ্টি হয়ে ওঠার খেয়ালী খেলায়
কৃষ্ণচূড়া কুট্টিনি বেসে আবির ছড়ায়
জুঁই ছড়ায় কৃষ্ণ মিলনের গুপ্ত সুবাস।
আমি ও সাজাই একান্ত আমারই ঘর্মকলি
খেলা শেষের খেলায় আজ বাজে হংসধ্বনি।
জারদৌসি বাহার
বিভাজিত স্বপ্নের বাতিঘরে রাত আসে
তুই আর আমি নিঃসঙ্গতায় সাঁতার কাটি
গোপন হিমবাহ ধ্বংস করেছে বসন্ত উত্তাপ
আধি আর ঘূর্ণাবর্তের প্রতিরূপ হয় প্রেম।
শরীর বোঝে শুধু শরীরেরই জাগ্রত কথা
আলোকবর্ষ দূরত্বে এখন তুই আর আমি
আমাদের নীরবতা হয়ে জ্বলে মৃত দুটি তারা
শরীর জুড়ে ছেঁড়া সোহাগের জারদৌসি