তুমি বলে দাও রবীন্দ্রনাথ
হঠাৎ ঝেঁপে বৃষ্টি আসার মতো
মনের গভীরে চঞ্চলতা তীব্র না হলে
কবিতা লিখব কী করে --
বলে দাও তুমি রবীন্দ্রনাথ।
মনের গহনে তীব্র দহন জ্বালা,
পুড়ে ছাইভস্ম হবার মুহূর্তে
যদি ফিনিক্সের মতো পুনর্জন্ম ঘটে,
তবেই এই হাত থেকে
আবার কবিতার জন্ম হবে--
দু:খের আতপে স্নান না সেরে কবিতা তার রূপ নেয় না--
এ কথা বলে গেছ স্বয়ং তুমি রবীন্দ্রনাথ।
প্রেমের তরলতম রূপের মধ্যে
বিচ্ছেদের করুণ সুর সুস্পষ্ট,
এক বুক অভিজ্ঞতার মাহেন্দ্রক্ষণে
আজও হৃদয় গুঙরে কাঁদে,
পাওয়ার সুখের চেয়েও
হারানোর বেদনা বুকে চেপে
যেন গভীর দীঘির বুকে
লম্বা বাঁশের লাঠি স্থির,
একা জেগে থাকে।
মাছরাঙা কখন যে
উড়ে এসে বসে
তবুও তো নিষ্পাপ নয়নে
কারণ জিজ্ঞাসা করেছে
এ নীরবতার।
অকস্মাৎ জলেতে কীসের শব্দ,
ঢিল ছুড়েছে চপলমতি কোনো কোমল বালক,
ঢেউ ছুটে এসে শান্তি ভঙ্গ করে!
রবীন্দ্রনাথ, তুমি বলে দাও
এ বেদনা রাখি কোথায়--
সে কি একবারও আমার হতে পারত না!
তিরবিদ্ধ
এমাথা ওমাথা ছড়িয়ে আছে আমার পাগলামির নমুনা,
তোমাকে বিরক্ত করবই করব--
একসময় ভালোবেসে লিখেছিলাম শেষহীন কবিতা যত,
তবুও তোমার ও নির্দয় হৃদয় জাগাতে পারিনি!
আজ এসেছ আমার হতে,
এটুকু সবুর কর--
প্রেমের অভিঘাত যদি এরপরও বিরক্তি আনে তো আনুক,
আমার ছাদের প্রান্ত হতে যতদূর চোখ যায় যাক তোমার,
দিগন্ত ছুঁয়ে ফেল এক আকাশ উড়ে নিয়ে
ঘরছাড়া পাখির মতো,
তবুও ভালোবাসার তির জুড়েছি আমার চোখে,
নিস্তার নেই তোমার!
আজ পাখির নরম শরীরের থেকেও আমার ভালোবাসা দামি,
হৃদয় ফুঁড়েছে তিরে--
দিগন্তরেখায় তোমার করতলে
আত্নসমর্পণ করবে বলে।
====================
নাম: ডা: চন্দ্রকান্ত চক্রবর্তী
১০৬ এন এস অ্যাভেনিউ,
শ্রীরামপুর, হুগলি।
পিন-৭১২২০১।