সালংকারা
ওই হাতে হাত মুক্তি পেলে
জেগে ওঠে ব্যক্তিগত
শব্দ শুনতে পাচ্ছ ডাকল মেয়ে
আমি তখন সবার মুখের উৎস দেখি
জল খানিক লেগে, স্রোত তখনও,
মৃত চর এক ফেনার মতোই
চারপাশের অন্ধকার জ্বলে নেভে
ট্রাফিকের সিগন্যাল নেটে এই বাংলা
ওই বাংলার খবর।
হাওয়া অফিসও ব্যস্ত
শঠতায় ফুলে উঠছে চোয়াল
দাঁত হয়তোবা এই বেরিয়ে পড়ল
কোলাহল কলরবের মাঝে ধ্বসে
যাচ্ছে পাড় কেউ টেরও পায় না
পুরনো বাড়িটায় প্রদীপ জ্বালাল কেউ,
একা মেয়েটার গায়ে
অসংখ্য জ্বলছে বাল্ব, অন্য দিকে
সালংকারা বউটি ভাসিয়ে
দিল সীতাহার সিঁথি
খড়কুটোর মতো ভেসে
গেল কনকচূড়।
যদি অভিজ্ঞ হতাম
যদি আমরা কোনও দিনও ভালবাসায় অভিজ্ঞ হয়ে উঠি
সে দিন পদ্যের বাড়ি যাব
হাঁটতে হাঁটতে ধানের শীষের সাথে কথা বলব
পায়ে পায়ে যে ঘাসগুলোকে মাড়িয়ে গেছি ওদেরও
দু-এক কথা বলব প্রেমের
যদি আমরা ভালবাসায় অভিজ্ঞ হয়ে উঠি জোনাকিদের
বাড়ি যাব
বকুলের ফুলে আড়মোড়া ভাঙতে ভাঙতে ডুবে যাব
গানের ভেতরে
কিন্তু একটা চিহ্ন খুঁজতে গিয়ে যে ভাবে
আর পাঁচটা মানুষ ভালবাসে আমরা সে ভাবেই
এক অস্থির সময়ে ভেসে গেছি
দুজনেই লিখেছি একে অপরের ক্ষতি বিচ্ছেদের
যদি আমরা ভালবাসায় অভিজ্ঞ হয়ে উঠতাম
হয়তোবা একটা 'ভালবাসা' তৈরি হতো!
কুমুদ
অত সব আয়োজন দেখতে দেখতে
কুমুদের কথা মনে পড়ে
বুনো ঘাস পেরিয়ে যাই
রাজপথ তুমিও খানিক ছল করো
সারল্যের মাটিতে
ডালে ফুলে কত কি খবর আসে
কাগজের অফিস থেকে
শিহরিত হই চলে যেতে হবে জানি
এখনই নয় আর একটু পরে
গোপনে যে স্পর্শ ফুটে ওঠে
বলো টের পাও
অত সব আয়োজন দেখতে দেখতে
কুমোদের কথা মনে পড়ে।
===================
অমৃতা চট্টোপাধ্যায়
কলকাতা
কলকাতা