বাবা ভ্যাম্পায়ার
আজ
বাচ্চার স্কুলের এডমিশন টেস্ট। তাই সকাল থেকেই পৃথা একটু টেনশনে আছে। ছেলে
তুতানকে পই পই করে এতদিন যা শিখিয়েছে তা পাখি পড়ানোর মতো করে বলছে। আর
তুতান খালি মা আমি সব পারব বলে লাফিয়ে লাফিয়ে খেলে বেড়াচ্ছে। সকাল দশটা
বাজতেই পৃথা ছেলেকে রেডি করে প্রীতমকে বললো, চলো এবার তাড়াতাড়ি স্কুলে
পৌঁছাতে হবে। প্রীতমের স্কুটারে চেপে ওরা স্কুলে পৌঁছে দেখল, অন্যান্য
গার্জেনরাও নিজেদের বাচ্চা নিয়ে এসে গেছে। স্কুলের ম্যাডাম এক এক করে সব
বাচ্চাদের নাম ডেকে ভেতরে পরীক্ষা নিচ্ছে। তারপর গার্জেনদের ডাক পড়ছে।
এইভাবে চলতে চলতে এক সময় পৃথার ছেলের ডাক পড়লো। ম্যাডাম ওর পিঠে হাত দিয়ে
ভেতরে ডেকে নিয়ে গেল। তুতান ও মা বাবাকে হাত নেড়ে টাটা করে ভেতরে গেল।
কিছুক্ষণ বাদে ম্যাডাম বেড়িয়ে এসে ওদের বললো, প্রিন্সিপাল ম্যাডাম আপনাদের
ভেতরে ডাকছেন ।ওরা প্রিন্সিপালের রুমে ঢুকতেই ম্যাডাম পৃথার দিকে
তাকিয়ে খুব আশ্চর্য হয়ে বললো আপনার ছেলে তো সবই ঠিকঠাক বললো কিন্তু বাবা কি
করে জিজ্ঞেস করতেই ও বললো আমার বাবা ভ্যাম্পায়ারের কাজ করে। দেখুন এই
ব্যাপারটা যদি আপনারা একটু পরিষ্কার করে বলেন তাহলে আমাদের কৌতুহলের অবসান
হয় আর আপনাদের বাচ্চারও এডমিশনটা ঠিকঠাক হয়ে যায়। এই কথা শুনে ওরা দুজনেই
একসঙ্গে হাসতে লাগল। তারপর পৃথা হাসি থামিয়ে ম্যাডামকে আস্বস্ত করল, দেখুন
উনি না একটা প্যাথলজিক্যাল ক্লিনিকের অ্যাসিস্টান্টের কাজ করেন। প্রতিদিন
ওনাকে তো সিরিঞ্জ দিয়ে অনেকের রক্ত নিতে হয়। তাই আমি ওনাকে মজা করে
ভ্যাম্পায়ার বলে বাড়িতে ডাকি। ও যে তার জন্য বাবাকে ভ্যাম্পায়ারের কাজ করে
ভেবেছে এটা আমরা আগে বুঝিনি। বলে ওরা আবার হাসতে লাগল। এবার ম্যাডামরাও
ওদের হাসিতে যোগ দিল।
==================