কেঁদে ফেললে
---------------
কেঁদে ফেললেই সূর্য ডুবে যায়
চারপাশে কেমন যেন একটা অন্ধকার নেমে আসে
কোথাও কোনো শব্দ শোনা যায় না
যে কথার সূত্রে শুরু হয়েছিল যাত্রা
রোদ্দুর জানলায় বসে বসে
সেই হাওয়া বারবার গায়ে এসে লাগে
শোনা যায় বেশ কিছু কথা
যাদের উৎসবিন্দুতে দাঁড়িয়ে তুমি
কোনো এক সকালে তোমার পৈত্রিক ভিটেয়
শুরু করে দিয়েছিলে অবাধ্য খননকার্য
একটু একটু করে আত্মম্ভরিতার পর্দা উঠতে থাকে দরজার ফাঁক দিয়ে পালকের মতো উড়তে উড়তে
ভেসে আসে পায়ে পায়ে হাঁটা দিনের রক্তিম রাজহাঁস
শতাব্দী প্রাচীন দুয়ারে বসে বসে বার্ধক্য হাওয়া
তোমার কথার ভারে ডুবে গিয়েছিল অমোঘ ঘুমে
আজ নির্জন অন্ধকারের ঐশ্বর্যে শরীরে স্পন্দন
আলোর সংকেতে গভীর কন্দর থেকে উঠে আসে
সোনালী প্রজাপতি তোমার ধানের উঠোনে
ঠিক এরপরেই নড়ে ওঠে সদর দরজার পাল্লা
ততক্ষণে তোমার মাটির কেল্লা আকাশ আলোয় হাসছে।
**************************