আলাদা
শংকর হালদার
তোমার সাধের বট, পাখিদের আনন্দমহল
বুড়ো বটতলা এখন-
ধূ-ধূ প্রান্তর
বাতাসের আনাগোনা
সবুজের বিচরণ ক্ষেত্র ।
থেমে গেছে পাখির কাকলি
একচেটিয়া রোদের রাজত্ব,
স্মৃতিরা ক্রমশ মুছে যায়
স্মৃতির ভাণ্ডার হতে ।
যে উঠান তোমার ছোঁয়া পেত
তুমিও আশীর্বাদ. ..
বিজয়ার রাঙানো সিঁদুর আর মিষ্টি মুখ
এখন অতীত ।
আগাছার বাড়-বাড়ন্ত, সে উঠান এখনও কাঁদে ।
স্নেহের অনুজ... পৃথক বাটি,পৃথক মাটি, পৃথক রীতি-নীতির অধিকারী ।
বাস্তুর দৈর্ঘ্য, প্রস্থেরও পৃথক পরিসীমা ।
সীমানার মাঝে ভাষার সীমাবদ্ধতা
থমকে গেছে হাত বাড়ানো সম্পর্ক
বিভাজ্যতার সকল নিয়ম আজ বাস্তব ।
মা এখন পৃথক অন্নে পরজীবি।
দুপুরের রোদ গায়ে মেখে যখন বিকেল হয় হয়
বিয়াড়া খিদে থালা খোঁজে,
পারণার ডাক আসে কত অবহেলায়
নতুন নিয়মে দু'চোখ ঘামে. ..
দুঃখের ছায়া ক্রমশ বড়ো হয়
নিরিবিলি রাতের মতো ,
এটাই কি সাংসারিকতার ইতিহাস?
এটাই কি কাম্য ছিল উদয়-অস্তের মাঝে ?
_________
শংকর হালদার
দাড়া, জয়নগর, দঃ চব্বিশ পরগনা, পশ্চিমবঙ্গ,ভারতবর্ষ,৭৪৩৩৩৭
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন