পরিযায়ী পাখি
চিত্তরঞ্জন গিরি
নদী কি নদীতে মেতেছে, কি জানি।
না হলে কেন পূবালী মেঘ ধীরে ধীরে সরে যায় সন্ধ্যার অন্ধকারের দিকে।
মেঘ তো অক্ষরের প্রতিধ্বনী। ছন্দে ছন্দে শ্রাবণের গান গায় অনাবিল তৃপ্তির আঙ্গিকে।
কিন্তু আজ কি এমন হলো। ভাঙ্গা পাঁজরের হাড়ের ভেতর তোকে খুঁজতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছি।
দরজা কি ভুলে গেল তোকে আটকাতে। মাধবীর জ্যোৎস্নায় তোর জন্য আরও আরও অনেক প্রতীক্ষায় কত নৌকা ভাসিয়ে হিমশিম খাচ্ছি।
জানি। কাঙ্গাল আমি। সপ্তসুরের ডিঙ্গায় মায়াচ্ছন্ন।
কোকিলের ডাক কৃষ্ণচূড়ার রঙ মহুয়া পলাশের উচ্ছ্বাস এসব ছাড়া কি ফাগুনকে মানায় ? দীনতা আর কত ঢাকবে বল। আমি যে সম্মোহিনীর মায়াবী রশ্মিতে আচ্ছন্ন।
তোর কি মনে পড়েনা ? তাও ঠিক মনে পড়বে কি করে। পশ্চিমী রং লেগেছে তোর অন্তরের ফল্গু স্রোতে। পরিযায়ী সত্তায়।
মনে পড়বে কি করে, কাঁচা হলুদ রঙের সর্ষের ক্ষেতে তোর পা আম্রপালি র নৃত্যে জেগেছিল আর আমি সাঁড়াষির বানে ভেসেছিলাম মোহাচ্ছন্ন বিম্বিসারের প্রেমিক আত্মায়।
চৌকাঠ এখনো জেগে রয়েছ নিষ্ঠুর বারান্দায়।
জোনাকির মতো টিম টিমআলো জ্বেলে জেগে আছি প্রতীক্ষার প্রতীক্ষায়।
************************************
,
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন