১)গল্প বলার ছিল
----------
একটা
গল্প বলার ছিল-ভালোবাসার
গল্প-অন্ধকারে ঝর্না নামার গল্প।
দূর
থেকে শীতল হাসি,সবুজ
পানপাতার মত সুন্দর মুখমন্ডল
দেখেই হয়েছিল প্রেম।
এক
সন্ধ্যায়,সেদিন জ্যোৎস্না
রাত,দুজনের পাশাপাশি দেখা।জোনাকিরা
আনন্দে খেলছিল খেলা।কুকুরের ঘেউ
ঘেউ চিৎকারে বেড় হয়ে আসছিল
সামান্য হলুদ দাঁত।
প্রেমিকার
নীল চোখে ছিল ভূত,প্রেতের মায়া,
প্রথম
স্পর্শে বুকে টেনে নিল
নখযুক্ত আলতো হাতে।
শ্বাসকষ্ট.....
প্রেমিক
বোঝার আগেই গভীর কালো
অচীনপুর।
মোটামুটি
এ রকমি গল্পটা।
পরেরদিন
পাড়া জুড়ে কাক,ককিলের
বিরস ডাক।আকাশ কয়েক জন্মের দুঃখ
পুষে কালো।ইঁদুরপুরে হট্টগোল...
প্রেমিকা
কে?কেউ জানেনা।
আসলে
এই গল্পের প্রেমিক ইঁদুর
আর প্রেমিকা বিড়াল।
প্রমানহীন
হত্যা রহস্য চাপা
পড়ে...
আপনাদের
বলা হয়নি-বিড়ালের বাস
প্রেমনগরে।সেখানে সর্বদা চাঁদের আলো
উপচে পড়ে.....
2)আকাশ ও উল্কা
-------------
প্রেমে
বিচ্ছেদ এল রায়টের মত,
যেন
কোন ধর্মযুদ্ধ-অবুঝ দু দলের
লড়াই।
আকস্মিক
আঘাতে
জলন্ত
চোখ নিভে গেল চিরতরে,
অচল
প্রিয়কে দূরে ফেলে দিল
আরো
বহু দূরে....
কাঁদতে
কাঁদতে নামছে পৃথিবীতে নির্বাসনে।
মেঘ
রাজ্যে দাঁড়ালো কিছুক্ষণ,
ফ্ল্যাশব্যাক.....
মেঘের
গায়ে দেখতে পেল
কল্পনার
সেই ঘর
যা
এঁকেছিল কোন এক মধ্যরাতে
দুজন।
উল্কা
আজ নির্বাসনে,প্রিয়তমা থেকে অনেক দূর।
আকাশ
উল্কাকে মনে রাখেনি,হয়তো
প্রয়োজন হয়নি-
আকাশের
বুকে কোটিকোটি প্রেমিক নক্ষত্রের স্থান
প্রতিরাতে
প্রেমের মহোৎসব
প্রতিরাত রচিত হয়
আলোক উজ্জ্বল বাসর।
৩/ওরা
------
প্রখর
রৌদ্র
ঘুমিয়ে
গেছে তারা।
আপনার
পাড়ায় সূর্য ঢাকা-আকাশ
বাড়ি,
ওদের
পাড়ায় মুক্ত আকাশ!...
আবছা
আলোয় সন্ধ্যা নামে...
খেক
শিয়ালের হুক্কা হুয়ায় কান্না
যারা দাবিয়ে রাখে,জানেন
ওরা কারা?
আপনাকে
সিংহাসনে বসাতে গিয়েই
রক্ত
মেখেছে যাদের গোটা পাড়া।
নিশিরাত...
ফিসফিসিয়ে
পিরিতের কত কথা!
দীন-দুঃখিনী মানুষ ওরা-ভোটারের
জোগান দাতা।
ওরা
সবাই অভিমন্যু,
চক্রব্রূহে
আপনি রাজা।
সকাল...
দূর্বা
ঘাসে শিশির যেন অশ্রু
বিন্দু!
মনমরা
হয়ে'সহজপাঠ'এর পাতা
উলটে যাচ্ছে,
জানেন
ওরা কারা?
ভবিষ্যতের
ভোটার ওরা-অবোধ ওরা,
যুগে
যুগে অবোধ শিশু-ভোটার
ওরা!
৪/অচেনা শহর
-------------------
শূন্যতা
ছুটে চলে অচেনা শহরে।
মৌন
পৃথিবী, নির্বাক সূর্য।
রক্তবর্ণ
আকাশের মায়াবী আলপনা আঁকি
প্রশ্নে-বিষ্ময়ে!
সীমান্তে
দাঁড়িয়ে একা।
ডানা
ছাঁটা পাখির ব্যর্থ
আশায়
হেসে
ওঠে অন্তহীন পথের গোলকধাঁধা।
ইসরাফিল
কবে দেবে সিঙ্গাতে ফুঁ?
এই
আশায় ভোরের শুকতারা হাসে।
টেবিলে
ছেঁড়া ডায়েরীর পাতা,
একটি
চিঠির খাম-ঠিকানায় গায়ে
বড় বড় অক্ষরে লেখা
দোজখ-বেহেস্তের নাম!
৫/চক্ষুশ্রবা
-------------
হিমালয়ের
কথা মনে হলেই ইচ্ছে
হয় যোগী হয়ে যাই।
কেউ চোখের সামান্য ঈশারায়
যদি ডাকে!...
আমার
ওই যে অতীত...বলতে
লজ্জা লাগে-ওই যে
আমার চক্ষুশ্রবা, এমন ভাবেই ডেকেছিল।
সে ভালোবাসতো শাস্ত্রীয় সংগীত।নিজের লেখা লিরিক্সে কি
সুন্দর ভাবে মেশাত মিথ্যের
টুকরো টুকরো কাচের গুঁড়া।
খন্জর
আঁকা আঁচল উড়িয়ে চলে
গেছে কয়েক দশক আগে!শুনেছি নব্বইয়ের দশকে
দেখা গেছে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায়;তারপর গুজরাটের গোধরায়!এখন সে উন্মাদের
মিছিলে-আসামের বিঁভুইয়ের বুকে.....তার বিকট হাসির
শব্দ গোটা দেশ শুনতে
পায়।আমার শরীরের নেমে আসে
তাপমাত্রা।আগুন জ্বালানোর মানুষ খুঁজতে খুঁজতে
দেশলাই কাঠির নামে হয়
হুলিয়া জারি -'দেশলাই কাঠি
নাকি দেশদ্রোহী!'
======================
নাম:ফরহাদ হোসেন
পোস্ট:গড়ালবাড়ী
জেলা:জলপাইগুড়ি
ফোন:৮৭৫৯০৬৮৮০৬