সরলার মেয়ে
অনেক ধুমধাম করে সরলা তার একমাত্র মেয়েটাকে বিয়ে দিল। ছেলে ভালো ঘর ভালো। এক মায়ের এক ছেলে। সংসারে কোনো ঝামেলা নেই। ছেলের আয়ইনকামও মন্দ নয়। সবার মুখে মুখে জামাইয়ের প্রশংসা শুনে সরলার বুক ভরে উঠত। জিনিস পত্র সোনাদানা সব দিয়েছিল তারা মেয়েকে ।
দিলে কি হবে কিছুদিন পর থেকেই অশান্তি শুরু হয়ে গেল। কিছুতেই তাদের পেট ভরে না। আজ এটা নিয়ে আয় তো কাল ওটা নিয়ে আয়। চাহিদার যেন শেষ নেই। আর সহ্য করতে না পেরে মেয়েটি একদিন প্রতিবাদ করল। ব্যস কোথায় আর যাবে, ঝগড়াঝাটি মারামারি, তাতেও শান্তি হল না। পাশেই ছিল কেরোসিন তেলের জার কিছু ভেবেওঠার আগেই মানুষ রূপি দৈত্যটি ঢেলে দিল মাম্পির গায়ে। মা নামের রাক্ষসী দেয়াসলাই দিল ঠুকে। আগুন জ্বলে উঠল দাউদাউ। মায়ের কান পর্যন্ত মেয়ের চিৎকার আর পৌঁছাতে পারলনা। মূহুর্ত্তের মধ্যেই সব শেষ...
তার পরেরদিনই ছিল মাদুর্গার বোধন।মেয়েকে হারিয়ে পাগল সরলাকে তার স্বামী বুঝিয়েছিল "দেখো সরলা এইত আমাদের মেয়ে এসেছে। তুমি ভালো করে চেয়ে দেখ তোমার সামনে তোমার মাম্পি দাঁড়িয়ে"। হয়ত মা-ই সরলাকে শক্তি দিয়েছিল নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার।সেদিন সরলার সত্যিই মনে হয়েছিল তার মাম্পিই যেন মা দুর্গা হয়ে তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
সেদিন থেকে
মাদুর্গার মুখটা দেখলেই সরলার বুক ভরে ওঠে খুশিতে। মায়ের মধ্যেই যে সে তার মেয়েকে দেখতে পায় ...