মা
ঠাকুরমার ঝুলি কিছুতেই আদির পিছু ছাড়ছে না।
আদির স্পষ্ট মনে আছে, একবার স্কুলগাড়িতে ওর বেস্ট ফ্রেন্ড সোমকে ঠাকুরমার ঝুলি-র একটা গল্প বাংলায় শুনিয়েছিল। ধরাও পড়ে গিয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে গার্জিয়ান কল, একশো টাকা ফাইন, ডায়েরীতে ম্যামের কমেন্টস। এক্সজ্যামে পাঁচ নাম্বার কাটা। সে সব থেকে বাঁচতে আদি ছুটে গিয়েছিল মায়ের কাছে। সব শুনে মা স্কুলে গিয়ে ফাইন দিয়ে 'স্যরি' বলে এসেছিল। আর আদির মাথায় হাত বুলিয়ে বলেছিল, ঠাকুমার কাছে আর যাস না বাবা। আমি জানি ঠাকুমাই তোকে বাংলা গল্পটা শুনিয়েছিল।
অফিসে সেই ঠাকুরমার ঝুলি –র জন্য ওয়ার্নিং। দুদিনের মধ্যে পড়ে প্রেজেন্টেশান তৈরি করতে হবে। নইলে রিজাইন দিতে হবে। ছোটবেলায় বাংলা পড়ার জন্য পানিশমেন্ট। আর বড় হয়ে না পড়ার জন্য!
ঠাকুমা আর নেই। তবে ওর মা এখনও আছে। পানিশমেন্ট থেকে বাঁচতে আদি ছোটবেলার মতো ছুটে যায় মায়ের কাছেই। মা নিশ্চয় এখন আর মায়ের মতো নেই। সাত বছর আগেই ঠাকুমা হয়ে গিয়েছে।