ক্ষতিপূরণ
ধীরে ধীরে চলে যাচ্ছে বনানী । একদম একা । চোখের কোণে জল, মনে তোলপাড় অস্থিরতা । সেভাবে যেন হাঁটছেও না, শুধু কোনোক্রমে শরীরটাকে টেনে টেনে বয়ে নিয়ে যাচ্ছে বাড়ি ফেরার রাস্তায় ।
ঘটনাটার সূত্রপাত গত পরশু । পরশু বিকালেই তনিমা বউদির বাড়িতে এসেছিলো বনানী । বিয়েবাড়িতে পরে যাওয়ার মতো একটা ভালো শাড়ি ধার নিতে । রাতে বনানীর এক জায়গায় নেমতন্ন । কিন্তু বিয়েবাড়িতে পরার মতো ভালো শাড়ি তেমন বিশেষ নেই ওর । কটকটে অভাবটা বনানীর ঘরে খুবই প্রকট । অথচ বড়ঘরের বিয়েতে হতশ্রী চেহারায় দাঁড়ালে মান থাকে না । তাই তনিমা বউদির কাছে হাত পাততে আসা । এ ব্যাপারে তনিমা বউদি এর আগেও বনানীকে হেল্প করেছে । মানুষটা ভালো, বনানীকে স্নেহ করে । সাজ-পোশাকের দিকে বউদির ঝোঁক খুব । বনানী আবার এসব ব্যাপারে বরাবরই কাঁচা । অভিজ্ঞতা এবং অভীপ্সা দুটোতেই । দামী শাড়ি কেনার সাধ্যও নেই, শখও নেই । খুব প্রয়োজন পড়লে তনিমা বউদির কাছ থেকে একদিন একবেলার মতো শাড়ি ধার করে নিয়েই ম্যনেজ করে দেয় ।
এবারেও বনানী সাহায্যের জন্য আসতেই আলমারির বিপুল শাড়িসম্ভারের মধ্য থেকে একটা দুর্দান্ত কাঞ্জিভরম বের করে বলে 'এইটা পড় বনানী । তোর যা গায়ের রং দারুন মানাবে । দেখিস বিয়েবাড়িতে সবাই তোর দিকেই তাকিয়ে থাকবে ।'
শাড়িটা হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ দেখল বনানী । তনিমা বউদির কল্যানেই এমন ভালো শাড়ি অঙ্গে উঠবে নাহলে হলে বনানীর যা আর্থিক অবস্থা তাতে এমন শাড়ি পরা তো দূরের কথা হাত ছোঁয়ানোও দূর অস্ত । বনানী চোখেমুখে কৃতঙ্গতা ফুটিয়ে শাড়িটা নিলো । একরাতের ব্যাপার, বিয়েবাড়ি মিটে গেলেই ফেরত দিয়ে দেবে ।
শাড়ির সাথে সাথে বউদি আরও এক বহুমূল্য জিনিস বের করে বনানীর সামনে রাখল । একটা নেকলেস । পাকা সোনার রং । সামনের দিকে তিনটে পাথর বসানো । মাঝেরটা বেশ বড়, জ্বলজ্বলে মণি ।
আলমারি থেকে নেকলেসটা বের করে বনানীর হাতে দিয়ে তনিমা বলে 'শাড়িটার সাথে ম্যচিং সেট । এই নেকলেসটা পড়লে দেখবি কলারটা আরও খুলবে'
বনানী সজোরে আপত্তি জানাল । অন্যের এমন বহুমুল্য রত্নহার নেওয়া ওর পক্ষে সম্ভব নয় । গয়না সম্পর্কে বনানীর অভিজ্ঞতা খুবই কম, তবুও হারটা দেখেই বুঝতে পারে এ নিশ্চয়ই অনেক টাকার জিনিস । সঙ্কোচে বনানী ব্যস্ত হয়ে ওঠল । কিন্তু তনিমা বউদি কোন আপত্তিতে কান দিলো না । গার্জেনসুলভ কণ্ঠে বলল 'এতো ভয়ের কি আছে । নেকলেস কি পড়লে ক্ষয়ে যায় নাকি । পরারই তো জিনিস।'
বনানী সামান্য প্রতিরোধ তুললেও শেষ অব্দি বউদির জোরের কাছে হার স্বীকার করে । তনিমা বনানীকে স্নেহ করে, হারটা সেই স্নেহের বশেই দেওয়া । বনানী না নিয়ে পারেনি ।
বিয়েবাড়িতে গিয়ে অবশ্য ভালোই লাগছিল ওর । একটা দারুণ তৃপ্তি বুকটাকে ভরিয়ে তুলছিল । বছর সাতাশের ভরন্ত যৌবনকে নতুন করে খুঁজে পাচ্ছিল বনানী । বহুমুল্য নেকলেস আর চোখ জড়ানো কাঞ্জিভরম শাড়ির বৃন্তে বনানীর শীর্ণকায় অস্তিত্ব যেন ভরা বর্ষার উথালপাথাল নদীর মতো ঢেউ দিয়ে উঠছিল । বউদির কথা ভুল নয়, অনেকের চোখই আটকে যাচ্ছিলো বনানীতে । বুকের ভিতরে জন্ম নিচ্ছিল অহংকার ।
বিপদটা ঘটেছিল বিয়েবাড়ি থেকে ফেরার পরই । বাড়িতে ঢোকার ঠিক আগের মুহূর্তেই বনানীর খেয়াল পরে গলায় নেকলেসটা নেই । আত্মতৃপ্তি উপভোগের কোন ফাঁকে অসাবধানতাবশত বহুমুল্য রত্নটিকে হারিয়ে ফেলেছে । হয়ত খুলে পরে গেছে নয়ত কেউ চুরি করে নিয়েছে । মোটকথা জিনিসটা খোয়া গেছে । বুকের ভিতরটা ধক করে ওঠে সঙ্গে সঙ্গে ।
শশব্যাস্ত বনানী বিয়েবাড়িতে দু'একজনকে ফোন করে । কোন হদিশ পায় না । কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই নিদারুণ সর্বনেশে দুর্ভাবনা গ্রাস করে । অন্যের এমন মূল্যবান জিনিস বেখেয়ালে হারিয়ে ফেলল ! কালকেই বউদিকে হারটা ফেরত দিতে হবে । কি মুখে দাঁড়াবে বউদির সামনে ! খালি হাতে যাওয়া যায় না । বিপদ আশঙ্কা করেই বনানী প্রথমে হারটা নিতে চায়নি । বউদিই জোর করেছিলো । কিন্তু এখন কি সেকথা বউদি মানবে ! হারিয়েছে যখন বনানী, তখন ক্ষতিপূরণটাও ওকেই করতে হবে । ক্ষতিপূরণের মূল্যটা আন্দাজ করতে গিয়েই বনানী আরও শঙ্কিত হয়ে ওঠে । নেকলেসটার অ্যাকচুয়াল দাম ও জানে না । তবে এমন রত্নখচিত গহনার বাজারদর যে বেশ ভারী রকমেরই হবে সে ধারণা আছে । কত হতে পারে ? বনানীর সাধ্যের মধ্যে নাকি তার অনেক বাইরে ? বনানীর সাধ্যই বা কতটুকু । ভালো একটা শাড়ি পর্যন্ত যার নেই নেকলেশের টাকা দেওয়ার সামর্থ্য কি তার ? কিন্তু ক্ষতিপূরণ যে করতেই হবে । বিবেকের কাছ থেকে পালানোর উপায় নেই ।
দুর্ভাবনায় নীল হয়ে যায় বনানীর শরীর । আচমকা এমন একটা বিপদ যে আসবে তা কল্পনাই করতে পারেনি । নিজেকে দিশেহারা লাগে । হারের ক্ষতিপূরণের অঙ্কটা যে ওর অভাবের সংসারে একটা তুমুল সর্বনাশ ডেকে আনতে চলেছে সেটা মনে হতেই আশঙ্কায় কেঁপে ওঠে । কোনভাবেই ভেবে পায়না কোথা থেকে টাকা যোগার করে নেকলেসের ক্ষতিপূরণ করবে । নিজের টিউশানি পড়ানোর কয়েকটা টাকাই তো সংসারের একমাত্র ইনকাম । তা দিয়েই চারটে পেট চলছে । ভাবনায় ভাবনায় সারারাত নিঃশব্দে কেটে যায় ।
শেষ অব্দি ব্যঙ্কে জমানো টাকটার কথা মনে পরে বনানীর । তেমন বিরাট কিছু নয় । ক্ষীণদেহ এক একাউন্টে পরে থাকা হাজার কুড়িক টাকা মাত্র । কিন্তু বনানীর কাছে ওটাই অনেক । তিল তিল করে টাকাটা জমিয়েছে । মুখে রক্ত তোলা পরিশ্রম করে গেছে লাস্ট দুটো বছর ।
একসময় সংসারের অবস্থা সচ্ছল ছিল । বাবার একটা যুতসই কাজও ছিল । হটাৎ শরীর খারাপে বাবার বিছানা নেওয়ার পরই সংসারটা তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল । ডাক্তারি খরচেই জলের মতো গলে গেল টাকা, ভাঙা হল সব ফিক্সড ডিপসিট এমনকি মায়ের সব গয়নাও । বাবার প্রাণটা রইল বটে কিন্তু পরিশ্রমটা আর রইল না । কাজেই বন্ধ হল পারিশ্রমিকও । তারপর থেকে বনানীর নিদারুণ জীবনসংগ্রাম । সকাল বিকেল টিউশানি পড়িয়ে কোনোক্রমে একটা জোড়াতালি দেওয়ার দুঃসাহসিক প্রচেষ্টা । সংসারের জোয়াল টানতে টানতে নিজের দিকে তাকানোর ফুরসৎ পায়নি । নিজের বিয়ে, সংসারের স্বপ্ন ক্রমশ ফ্যাকাশে হতে শুরু করেছে । তবুও বনানী হাল ছাড়েনি। একটু একটু করে টাকাটা জমিয়েছে । নিজের কোন শখ আহ্লাদ রাখেনি । হাতখরচা নামক বিলাসিতাকে যতদূর সম্ভব দূরে সরিয়ে রেখে নিদারুণ নিষ্ঠুরতায় টাকা কয়টা সংগ্রহ করে গেছে নিয়মিত । অনেক সময় প্রয়োজন নামক ভীষণ জরুরী হুঁশিয়ারিকেও অবহেলা করে গেছে দারুন স্পর্ধায় । সেই সঞ্চিত টাকা ! খুব দরকারেও যে টাকায় হাত দেয়নি কখনও । এখন সাময়িক ভুলের মাশুল দিতে গিয়ে সেই টাকাটাই অন্যের হাতে তুলে দিতে হবে ! ডানপক্ষ-বামপক্ষের হিসাব কষতে বারে বারে থমকায় ।
ওই টাকায় হাত না দিয়ে কি কারোর কাছ থেকে ধার নেবে বনানী ? প্রশ্নটা মনে আসে একবার । তবে প্ররোচিত করতে পারে না। হীন ভালো তবু ঋণ ভালো নয় । নিঃশব্দে সর্বনাশ ডেকে আনে । কয়েকটা দিন সময় পেলেও হয়ত কিছু একটা করা যেত । প্রয়োজনে আরও বেশি করে টিউশানি ধরত । দু'একটা পার্টটাইম কাজও করত । নিজেকে আরও একটু নিংড়ে আরও দু'একফোঁটা বেশী রস বের করে আনার চেষ্টা করত । কিন্তু হাতে সময় নেই । যা করতে হবে কালকেই । অতএব ব্যঙ্কের ওই টাকা কয়টাই একমাত্র ভরসা ।
আজ সেই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দিন । ভিতরের সব উৎকণ্ঠাকে নির্লিপ্ততার দৃঢ় আবরণে মুড়ে বনানী তনিমা বউদির ফ্ল্যাটে আসে । হাতে ভাঁজ করা কাঞ্জিভরম শাড়ি । গোপনে রাখা ব্যঙ্ক থেকে তোলা টাকার কয়েকটা বান্ডিল । বুকের পাঁজরভাঙ্গা কয়েকটা হাড় যেন । ধীর পায়ে সোফায় এসে বসে । বুকের অস্থিরতাটা যথাসম্ভব চেপে রাখার চেষ্টা করে । উচ্ছল তনিমাই প্রথমে বিয়েবাড়ির প্রসঙ্গ তোলে । নিরুদ্বেগ কণ্ঠে বনানী যতটা সম্ভব সংক্ষিপ্ত উত্তরে জবাব দেওয়ার চেষ্টা করে । 'কেমন বিয়েবাড়ি কাটল' থেকে 'কঞ্জিভরম শাড়িটা কেমন মানিয়েছিল' অব্দি স্বাভাবিক থাকে । কিন্তু যখনই বউদির মুখে থেকে 'নেকলেসটা কেমন মানিয়েছিল' অনিবার্য প্রশ্নবাণটা ছুটে আসে তখন আর বনানী নিজেকে ধরে রাখতে পারে না ।
'সর্বনাশ হয়ে গেছে বউদি' বলে হাউমাউ করে নেকলেস হারানোর দুঃসংবাদটা বলে ফেলে ।
শোনামাত্র তনিমা চমকে ওঠে ! খুব প্রিয় জিনিস হারিয়ে যাওয়ার দুসংবাদে মানুষ যেমন বাকহারা হয়ে যায় তনিমাও তেমনই বোবা হয়ে যায় । বনানীকে ভালোমন্দ কিছুই বলে উঠতে পারে না । সময়ব্যায় না করে বনানী শাড়ীর গোপন ভাঁজ থেকে বের করে টাকার বান্ডিল কয়টা বউদির হাতে ধরিয়ে দেয় ।
'বউদি নেকলেসটার দাম কত জানি না । তবে এই কয়টা টাকা যোগার করতে পেরেছি । প্লিজ তুমি রাখো' বলতে বলতে বনানীর গলা বুজে আসে ।
এতোটা তনিমা প্রত্যাশা করেনি । বেশ ভ্যবাচ্যাকাই খেয়ে যায় । অদ্ভুত রকমের একটা নীরবতা গ্রাস করে ওকে । পাথরের মূর্তির মতো হয়ে যায় । প্রত্যুত্তরে বনানীকে কিছুই বলতে পারে না ।
বনানী আশ্চর্য হয় । মনের মধ্যে অনেক দুর্ভাবনা ছিল । বউদি হয়ত ভীষণ রেগে যাবে, খুব চেঁচামেচি করবে, বনানীর এমন বেখেয়ালিপনার জন্য চাঁছাছোলা অনেকগুলো কথা শোনাবে । কিন্তু বাস্তবে তনিমা কিছুই করে না । নিথর বসে থাকে শুধু । ভুতে পাওয়া মানুষের মতো । হাতে টাকার স্যাঁতস্যাঁতে ছোঁয়া ছাড়া আর কিছুই অনুভব করতে পারছে না ।
সেই অস্বস্তিকর অবস্থায় বনানী বেশিক্ষন স্থিতু হতে পারে না । টাকাগুলো বউদির হাতে দিয়ে নীরবে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যায় । মনের মধ্যে একটা খিঁচ । বউদি কি কিছু মনে করলো ? টাকার পরিমানটা কি নিতান্তই কম হল ? বউদি তো জানে বনানীর নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা ! তবু বউদি কি মেনে নিতে পারলো না । সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে বিরক্তিকর রকমের একটা অস্বস্তি বার বার খোঁচা দিচ্ছে বনানীর বুকে । এতো কষ্টের জমানো সব টাকা দিয়েও সমতুল্য ক্ষতিপূরণ হল না । নিজের সবটা উজাড় করে দিয়েও বউদির কাছে সেই ছোটই হয়ে গেল । নিজের বিবেকের কাছেও । তনিমা বউদি কি বুঝবে সে কথা । ক্ষমা করতে পারবে বনানীকে ?
রুমের মধ্যে তনিমা তখনও ভাববিহ্বল । নিঃশব্দে বনানী কখন ঘর ছেড়ে চলে গেছে খেয়াল করে না । একই রকম মূর্তির মতো হাতে টাকার বান্ডিলগুলো ধরে স্থির দাঁড়িয়ে থাকে । তনিমার বর নিশীথ পাশের রুম থেকে বেরিয়ে ওকে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে প্রশ্ন করে 'কি গো, এভাবে দাঁড়িয়ে আছো কেন ? কে এসেছিলো ?
নিশীথের গলার আওয়াজে তনিমা একটু নড়ে । কণ্ঠনালীর অনেক গভীর থেকে উত্তর বেরিয়ে আসে 'বনানী'
'তোমার হাতে ওটা কি ? এতো টাকা ! কে দিল ?' টাকার বান্ডিলে দৃষ্টি পরে নিশীথের । ব্যাপারটায় আশ্চর্য হয়ে তনিমার একদম কাছে সরে আসে ।
'বনানী দিল । ক্ষতিপূরনের টাকা' আগের মতই উত্তর করে তনিমা ।
'কিসের ক্ষতিপূরণ ?' নিশীথ অবাক ।
'ওকে বিয়েবাড়িতে পড়ার জন্য একটা নেকলেস দিয়েছিলাম । সেটা হারিয়ে ফেলেছে । তার ক্ষতিপূরণ'
'কোন নেকলেস' নিশীথের তর সয় না ।
'সেই যে তিনটে পাথর বসানো নেকলেসটা' উত্তর দেয় তনিমা ।
'সেইটা । সেই সিটিগোল্ডের হারটা । আমাদের বিল্টুর নতুন দোকান থেকে গত মাসে যেটা কিনেছিলে । সাড়ে নয়শো টাকা দাম নিয়েছিল, ওই ঝুটো পাথরের নেকলেসটা ?' বিস্মিত নিশীথের গলায় ব্যগ্রতা ঝরে পরে ।
'হুম সেইটা । এখন আর ওর দাম সাড়ে নয়শো নয় । পাক্কা কুড়ি হাজার টাকা । এই নাও গুনে দ্যাখো' কথাটা বলেই বান্ডিল কয়টা স্বামীর হাতে তুলে দেয় । চোখাচুখি হয় দুজনেরই । ঝুটো পাথরের নেকলেস এতগুলো কড়কড়ে আসল টাকা পাইয়ে দেবে ভাবতে পারেনি কেউই । লোভে চকচক করে ওঠে চারটে চোখ ।
বিপন্ন বনানী তখন ক্লান্ত শরীরটাকে টানতে টানতে কোনক্রমে বাড়ি ফেরার পথটা পার করছে ।
_____________