নারী সমপ্রজাতিরে করো সম্মান!!
শুভ্রা ভট্টাচার্য
নারী হিসাবে এ অসম্মান অপমান
আমার মরমে জাগায় ভীষণ ব্যথা,
শুনি মেয়েরাই নাকি মেয়েদের শত্রু !
সমাজে এখনও এমন প্রচলিত কথা!
কথাটি গভীরে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন
আছে কি এমন গুরুতর এর কারণ!
মনের গহীনে সবারই ভাবা দরকার
এর আসল উৎস বাধা বিপত্তি বারণ!
সমপ্রজাতির সহিত লড়াইয়ের ক্ষেত্রে
আসল উৎসটার খোঁজ জানা প্রয়োজন,
পুরুষের দ্বারা অবদমন ও বঞ্চনা হতেই
ধারাবাহিক এ রাগিং প্রথার হয় প্রচলন।
যুগ হতে যুগে নারী পেয়েছে অত্যাচার
কষ্টটা তাদের রয়েছে অন্তরেতে সুপ্ত,
ছেলেদের সাথে এঁটে উঠতে পারে নি
তাবলে জেনো ব্যথারা হয়নি কভু লুপ্ত।
পুরুষের অত্যাচারকে বহু নারী আজও
মানিয়ে চলাকেই সাদরে করেছে যে গ্রহণ,
খাওয়া পরার মতো মূলগত চাহিদা হিসাবে
দৈনিক মারধোর খেয়েই তাদের দিনযাপন।
নিজ প্রজাতিকে যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী ভেবে
সঞ্চিত যত ব্যথার বিদ্বেষ বিষ উদগীরণ,
দৈহিক শক্তিতে বলীয়ান পুরুষের ভয়ে
প্রাচীনে নারী নারীতে করেছে নিপীড়ন।
ভীতত্রস্ত দূর্বলমনস্ক কূপমন্ডুক মেয়েরা
বোঝে না লড়াইটা আসল কাহার সাথে,
ক্ষণ আবেগের ক্ষোভ দুঃখ জ্বালা মেটাতে
সমপ্রজাতিকে দুর্বল ভেবে লড়াইয়ে মাতে।
আয়েসে খাওয়া পরার সুবিধার্থে ওরা
ছেলে তোষামোদি মনোভাবে সদা রয়,
নারীতে রাগিং নামক বিকৃত আনন্দের
উৎপত্তি মূলত পুরুষকে পাওয়া ভয়।
এখনো মানুষ কিছু ভিত্তিহীন ধ্যানধারণা
অবৈজ্ঞানিক কুসংস্কারের জালে আবদ্ধ,
নারীরা সেসব সম প্রজাতিতে চাপিয়ে
সঙ্কীর্ণতায় মনের দ্বারকে করেছে রুদ্ধ।
আপাত সুবিধা সংরক্ষণ পেয়ে নারীরা
ভাবে আহা কি সুখ দিল পুরুষ সমাজ!
বিপক্ষে গিয়ে বলে না কেউ "চাইনা এসব
স্বনির্ভরতায় সম যোগ্যতায় বাঁচি আজ।"
বিশ্বে নারী পুরুষ একে অন্যের পরিপূরক
তাই একই নিয়মেই পাশাপাশি লড়বো,
কেউ কাওকে খর্ব অসম্মানিত না করে
এসো,সুস্থ সুন্দর সমতার সমাজ গড়বো।"
"মেয়েরা বস্তু নয় যন্ত্র নয়,মানুষ" এ ভাবনা
গ্রথিত হোক নারী পুরুষ নির্বিশেষে মননে,
সেকালের বস্তাপচা একপেষে রীতি ভেঙে
হিংস্রতা নিঠুরতা বর্বরতা রুখবো যতনে।
পরিশেষে বলি,মাতৃত্বের কারণে মনুষ্যত্ব
অক্সিটোসিন ডোপামিনের অধিক ক্ষরণ,
তাই সমানুভুতির বাতাবরণে প্রজাতিরে
স্নেহ ভালোবাসা আদরে রাখি আমরণ!!
#=====#
শুভ্রা ভট্টাচার্য
Chuchurah Hooghly
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন